এস কে সিরাজ, শ্যামনগর থেকে: সুন্দরবনের অভয়ারণ্য নটাবেকী এলাকায় বন বিভাগের সহযোগিতায় জেলেরা প্রবেশ করে বিষ প্রয়োগে মাছ শিকার ও ফাঁদ পেতে হরিণ শিকার করার অভিযোগ উঠেছে অসাধু জেলেদের বিরুদ্ধে। সরকারি ভাবে সম্পূর্ণ নিষিদ্ধ অভয়ারণ্য এলাকায় জেলেদের প্রবেশ করে মাছ শিকার করেছে। জানা গেছে, সাতক্ষীরা রেঞ্জের কদমতলা স্টেশন কর্মকর্তা সোলাইমান হোসেন ও তার ক্যাশিয়ার এর সাথে গোপন চুক্তিতে জেলেরা অবাধে অভয়ারণ্য এলাকায় প্রবেশ করছেন। যেহেতু বন বিভাগের কর্মচারীদের প্রতি গোনে মোটা অংকের টাকা দিয়ে জেলেরা সুন্দরবনের অভয়ারণ্য এলাকায় প্রবেশ করার কারণে তারা তাদের ঘুষের টাকা পুসিয়ে নিতে যত্রতত্রে মাছ ধরছে জাল দিয়ে, ছিপ দিয়ে ও বিষ প্রয়োগ করে এমনটি জানিয়েছেন সুন্দরবনের অভয়ারণ্য থেকে মাছ নিয়ে সোনার মোড় মাছের সেটে বিক্রি করতে আসা জেলে রহমত আলী। উপজেলার হরিনগর এলাকার জেলে কাশেম আলী জানান, সুন্দরবনের অন্য জায়গার তুলনায় অভয়ারণ্য এলাকাগুলোতে প্রচুর মাছ পাওয়া যায়। সে কারণে অভয়ারণ্য এলাকায় ঢুকতে কদমতলা স্টেশন কর্মকর্তা ও ক্যাশিয়ার কে প্রতি গোনে গোন চুক্তিতে টাকা দিতে হয়। অপর জেলে আলী হোসেন বলেন, ফরেস্টারদের মোটা অংকের টাকা দেওয়ার কারণে জেলেরা সুন্দরবনের বিভিন্ন এলাকায় প্রবেশ করে অবাধে হরিণ শিকার করে লোকালয়ে নিয়ে আসছে। সুন্দরবন উপকূলীয় এলাকার ইউপি সদস্য মোস্তফা জানান, ইতিমধ্যে অনেকেই হরিণের মাংস সহ ফরেস্ট ও কোস্টগার্ড এর কাছে আটক হয়েছে। প্রায় শোনা যায় সুন্দরবন থেকে হরিণ মেরে লোকালয় এনে বিক্রি করা হচ্ছে হরিণের মাংস। তিনি আরো বলেন, সুন্দরবনে অবাধে সর্বত্রে বিচরণ থাকায় জলদস্যুদের তৎপরতা ও বৃদ্ধি পেয়েছে। প্রায় সময় জেলেদের অপহরণ করে মুক্তিপণ আদায় করা হচ্ছে। এদিকে পশ্চিম সুন্দরবনের সাতক্ষীরা রেঞ্জের কদমতলা স্টেশন কর্মকর্তা সোলায়মান হোসেনের সাথে কথা হলে তিনি উপরোক্ত বিষয়টি সঠিক নয় বলে তিনি জানান। তিনি আরো বলেন, অভয়ারণ্য এলাকায় জেলেদের প্রবেশ করতে দেওয়া হয় না এবং নিয়মিত ফরেস্ট এর টিম অভিযান পরিচালনা করে থাকেন।
সুন্দরবনের অভয়ারণ্য এলাকায় গোপন চুক্তিতে জেলেদের অবাধ বিচরণ, বিষ দিয়ে মাছ ও ফাঁদ দিয়ে হরিণ শিকারের অভিযোগ!
পূর্ববর্তী পোস্ট