
নিজস্ব প্রতিবেদক: তালা উপজেলার ইসলামকাটি ইউনিয়নের সুজনশাহা গ্রামে দিন দুপরে বিধবা হতদরিদ্র রাধা রাণী দাসের বসত ঘর আগুন ধরে পুড়ে গেছে। সোমবার দুপুর ৩ টার দিকে বাড়ীতে কেউ না থাকার সুযোগে হঠাৎ বসত ঘরে আগুন ধরে যায়। আগুনে বসত ঘরে সর্বস্ব পুড়ে ছাই হয়ে গেছে। আগুন জ্বলতে দেখে প্রতিবেশিরা ছুটে এসে আগুন নিন্ত্রনে আনার চেষ্টা করে। খবর পেয়ে ফায়ার সার্ভিস ঘটনাস্থালে এসে আগুন নিয়ন্ত্রে আনে। হতদরিদ্র বিধবা রাধা রাণী দাসের মাথা গোজার অবলম্বন বসত ঘর আগুনে পুড়ে যাওয়ায় একেবারে নি:স্ব হয়ে গেছে। ঘরে থাকা আসবা পত্র কাপড় চোপড়, জাতীয় পরিচয় পত্র, জমির কাগজ পত্রসহ নগত কিছু টাকাও পুড়ে ভস্মিভূত হয়েছে। অভিযোগ উঠেছে ১৩ শতক জমির মধ্যে এনজিও থেকে তৈরী করা একটি ঘরে বসবাস করত সুজন শাহা গ্রামের মৃত দুলাল দাসের মেয়ে স্বামী পরিত্যাক্ত রাধা রানী দাস এবং তার এক ছেলে সনজিৎ দাস। ছেলে ভাটায় শ্রমিকের কাজ করতে যাওয়ায় মেয়ের কলেজ পড়ুয়া ছেলে হৃদয় দাস কে নিয়ে থাকতেন বিধবা রাধা রাণী দাস। অন্যের জমিতে কাজ করে সংসার চালায় ওই বিধবা নারী। সোমবার সকালে বাড়ী থেকে অন্যের বাড়ীতে বেড়াতে গিয়েছিল রাধারাণী দাস। এছাড়া নাতনি হৃদয় দাসও গ্রামের একটি বাড়ীতে টিউশনি করতে যায়। এরই মধ্যে বাড়ীতে কেউ না থাকায় বসত ঘরে হঠাৎ আগুন ধরার ঘটনা ঘটে। অভিযোগ উঠেছে ওই সুজনশাহা মৌজার ১৫৩ ও ১৫৪ দাগের ১৭৩ নং খতিয়ানে ১৩ শতক জমি নিয়ে প্রতিবেশী এক ব্যক্তির সাথে মামলা চলে আসছে। স্থানীয়রা জানান, ঘটনার দিন ওই বাড়ীতে দুপুরে কোন রান্না না হলেও বসত ঘরে অগ্নিকান্ডের ঘটনাটি রহস্য জনক। এদিকে বিধবা বসত ঘরে অগ্নিকান্ডের ঘটনার খবর পেয়ে মঙ্গলবার দুপুরে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন তালা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আফিয়া সারমিন, তালা উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ঘোষ সনৎ কুমার, ইসলামকাটি ইউনিয়ন আ.লীগের সভাপতি ও সাবেক চেয়ারম্যান অধ্যাপক সুভাষ চন্দ্র সেনসহ স্থানীয় আওয়ামী লীগ নেতৃবৃন্দ। ইসলামকাটি ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি ও সাবেক চেয়ারম্যান অধ্যাপক সুভাষ চন্দ্র সেন জানান, বিষয়টি খুবই কষ্টদায়ক। বিধবা রাধা রাণী দাসের বসত ঘরে অগ্নিকান্ডের ফলে একেবারে সব পুড়ে শেষ হয়ে গেছে। তিনি পরিবারটির পাশে দাঁড়ানোর জন্য সরকারের দৃষ্টি আকর্ষন করেছেন।