
আব্রাহাম লিংকন, শ্যামনগর থেকে: বাংলাদেশ ভারত সীমান্ত নদী থেকে অবৈধ ভাবে বালু উত্তোলনকারী ইমামের খুঁটির জোর কোথায়? শ্যামনগরের কৈখালীতে কোন ভাবেই থামছে না অবৈধ বালু উত্তোলন।
সরজমিনে গিয়ে দেখা গেছে যে, কালুন্দী নদী থেকে অবৈধ বালু উত্তোলন করে কৈখালী বিজিবি ক্যাম্পে স্থলভ‚মি প‚রন করা হচ্ছে। সরকারি ভাবে বিজিবি ক্যাম্প তৈরির জন্য সাতক্ষীরা শফিক ঠিকাদারের লাইন্সেস মাধ্যমে সাব কন্টেকটার ইকবাল টেন্ডার গ্রহন করেন।বিজিবি ক্যাম্প চত্বর নিচু জায়গার কারনেই ইমাম আলীকে বালু ভারটির দ্বায়িত্ব দিলে ইমান আলী সুযোগ গ্রহন করে। যদিও সরকারি ভাবে ইমান আলী ৮ টাকা ফুট ঠিকাদারের কাছ থেকে নিচ্ছে। নদী থেকে বালু উত্তোলন নিষেধ থাকলেও তা মানছে বেপরোয়া বালু ব্যাবসায়ী এই ইমান আলী। সে বিভিন্ন প্রশাসনের দোহায় নিয়ে নদী থেকে ড্রেজার মেশিন দিয়ে ভেটখালী ব্রিজের গোড়ায় বালুর গোলা করে উচ্চ মুল্যে বালু বিক্রি করছে। তবে ঠিকাদার প্রতিষ্ঠানের ব্যক্তি ইকবাল জানান, বালুর কন্টাক্ট ইমাম কে দেওয়া হয়েছে। সে কোন জায়গা থেকে আনবে সেটা আমার জানার বিষয় না।
এ বিষয় বালু ব্যাবসায়ী ইমাম আলী বলেন, আমি কালিগঞ্জ খানজিয়া ডাকের চর থেকে বালু ক্রয় করে নিয়ে আসি। এদিকে এলকায় নানা প্রশ্ন উঠেছে, কালিগঞ্জ খানজিয়া ডাকের চর থেকে বালু আনতে গেলে প্রায় দুইদিন লেগে যায় কিন্তু প্রতিদিন রাতে বালুগুলো আনলোড করে থাকে।
একটি বিশেষ স‚ত্রে জানাগেছে যে, ইমাম বিভিন্ন সরকারি নির্মানাধীন কাজে এ সুযোগ গ্রহণ করে থাকে। যদিও প্রশাসন সঠিক ম‚ল্যে তাদের পাওনা মিটিয়ে থাকলেও তারা বালু মহল থেকে বালু না নিয়ে স্থানীয় ভাবে প্রশাসনের দোহায় দিয়ে এমন কার্যক্রম চালিয়ে আসছে।
নাম প্রকাশের অনিচ্ছুক এক প্রশাসন কর্মকর্তা জানান, বালু ব্যবসায়ী ইমান আলী প্রায় সময় সাংবাদিক পরিচয় দিয়ে প্রশাসনের হাত থেকে রেহাই পেয়ে যায়। তার সাংবাদিকতার বিষয় নিয়ে সাধারণ মানুষ নানামুখী প্রশ্ন তুলে। আসলে বালু ইমাম আদৌও সাংবাদিক না কি বালু উত্তোলনের জন্য একটি কার্ড সংগ্রহ করে রেখেছে?