
নিজস্ব প্রতিবেদক: সাতক্ষীরা পৌরসভা ও চারটি ইউনিয়নকে করোনায় রেড জোন হিসেবে চিহ্নিত করা হয়েছে। এছাড়া ইয়োলো জোন হিসেবে চিহ্নিত করা হয়েছে ১৪টি ইউনিয়নকে। জনসংখ্যার আনুপাতিক হারে ও করোনা আক্রান্তের সংখ্যার উপর ভিত্তি করে এ প্রতিবেদন করা হয়েছে বলে জানিয়েছে সাতক্ষীরা স্বাস্থ্য বিভাগ। চিহ্নিত এসব এলাকাগুলোকে লকডাউন করার জন্য সুপারিশ করে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরে পত্র পাঠানো হয়েছে। এছাড়া জেলার বাকি এলাকা গ্রিন জোনের আওতায় স্বাভাবিক থাকবে।
সাতক্ষীরা সিভিল সার্জন কার্যালয় থেকে জানা গেছে, সাতক্ষীরা পৌরসভায় ৮৬ হাজার জনসংখ্যার মধ্যে ৮ জন করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন। কলারোয়া উপজেলার দেয়াড়া ইউনিয়নে ২৭ হাজার ৮৬৬ জনসংখ্যার বিপরীতে আক্রান্ত তিনজন, দেবহাটা উপজেলার সখিপুর ইউনিয়নে ২৩ হাজার ৯৬০ জনসংখ্যায় আক্রান্ত তিনজন, তালা সদর ইউনিয়নে ৩৩ হাজার ২৭ জনের বিপরীতে তিনজন ও তালার জালালপুর ইউনিয়নে ২১ হাজার ৬৯৯ জনের মধ্যে দুইজন আক্রান্ত রয়েছে। এই এলাকাগুলোকে রেড জোন হিসেবে চিহ্নিত করা হয়েছে।
এছাড়া আশাশুনি সদর, কলারোয়া উপজেলার জালালাবাদ, কেড়াগাছি, লাঙ্গলঝাড়া, সাতক্ষীরা সদর উপজেলার ঘোনা, কালিগঞ্জ উপজেলার ভাড়াশিমলা, কুশোলিয়া, দেবহাটা উপজেলার সদর, পারুলিয়া, তালা উপজেলার খলিশখালি, মাগুরা ও সরুলিয়া ইউনিয়নকে ইয়োলো জোন হিসেবে চিহ্নিত করা হয়েছে।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের তথ্যে, ঢাকার বাইরে গড়ে ১০ হাজারে একজন বা এক লাখে দশ জন করোনা রোগী শনাক্ত হলে সেই এলাকাকে রেড জোন হিসেবে গণ্য করা হবে। এই নির্দেশনার আলোকে দেয়াড়া, সখিপুর, তালা সদর, জালালপুর ও সাতক্ষীরা পৌরসভাকে রেড জোন হিসেবে চিহ্নিত করেছে সাতক্ষীরা স্বাস্থ্যবিভাগ।
সাতক্ষীরা সিভিল সার্জন ডা. মো. হুসাইন সাফায়াত জানান, স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের চিঠির আলোকে জেলার সাতক্ষীরা পৌরসভা ও চারটি ইউনিয়নকে রেড জোন হিসেবে চিহ্নিত করে লকডাউন ঘোষনার জন্য সুপারিশ করে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরে পত্র পাঠানো হয়েছে। এখনো পরবর্তী নির্দেশনা পাওয়া যায়নি। নির্দেশনা পেলেই এসব এলাকাগুলোকে লকাডাউন করা হবে। জেলায় গতকাল (বৃহস্পতিবার) দুপুর পর্যন্ত করোনা আক্রান্তের সংখ্যা রয়েছে ৮৬ জন। এর মধ্যে সুস্থ হয়েছেন ২৭ জন।
তিনি বলেন, রেড জোন হিসেবে চিহ্নিত এলাকা লকডাউন ঘোষনার পর সবকিছুই বন্ধ করে দেওয়া হবে। ইয়েলো জোন হিসেবে চিহ্নিত এলাকায় সীমিত আকারে চলাচল ও দোকানপাট খোলা থাকবে। রেড ও ইয়োলো জোনের বাইরে গ্রীন জোন এলাকায় সবকিছুই স্বাভাবিক থাকবে। তবে প্রতিটি স্থানে সামাজিক দূরত্ব নিশ্চিতকরণ ও প্রত্যেকে মাস্ক ব্যবহার বাধ্যতামূলক।