
মোঃ মোকাররাম বিল্লাহ ইমন: মানবপাচার হতে উদ্ধারপ্রাপ্ত নারী ও পুরুষদের সহায়তা প্রদান এবং পাচার প্রতিরোধ কার্যক্রমকে আরও শক্তিশালী করার লক্ষ্যে সাতক্ষীরায় সিটিআইপি অ্যাক্টিভিস্টদের (কাউন্টার ট্রাফিকিং ইন পার্সন্স) একটি রিফ্রেশার্স প্রশিক্ষণ অনুষ্ঠিত হয়েছে। উইনরক ইন্টারন্যাশনালের বাস্তবায়নে এবং উন্নয়ন সংস্থা রূপান্তরের আয়োজনে সুইজারল্যান্ড সরকারের সহায়তায় আশ্বাস প্রকল্পের আওতায় এই প্রশিক্ষণটি শনিবার ১১ অক্টোবর একদিন ব্যাপী সাতক্ষীরার ‘হোটেল টাইগার প্লাস’ কনফারেন্স রুমে অনুষ্ঠিত হয়।
প্রশিক্ষণের মূল উদ্দেশ্য ছিল কর্মীদের দক্ষতা বৃদ্ধি, সচেতনতা কার্যক্রম গ্রহণ ও বাস্তবায়ন প্রক্রিয়া সম্পর্কে কৌশলগত জ্ঞান অর্জন। বক্তারা পাচারের শিকার ব্যক্তিদের সঠিক সহায়তা নিশ্চিত করতে এবং মানব পাচার প্রতিরোধে সক্রিয় ভূমিকা পালনের উপর গুরুত্বারোপ করেন।
অনুষ্ঠানে বক্তারা বলেন, মানব পাচার একটি জঘন্য অপরাধ, যেখানে জোরপূর্বক শ্রম, যৌন দাসত্ব এবং ব্যবসায়িক উদ্দেশ্যে যৌনশোষণমূলক কাজে নিয়োজিত করার জন্য অবৈধ কার্যক্রম সংঘটিত হয়। এছাড়াও, চাকরির প্রলোভন দেখিয়ে বা অন্য কোনো বেআইনি উপায়ে দেশের অভ্যন্তরে বা বিদেশে প্রেরণ করে শোষণ করাও মানব পাচারের অন্তর্ভুক্ত।
আলোচনায় উঠে আসে যে, বর্তমানে মানব পাচারকারীরা ফেসবুক, টুইটার, ইমু, হোয়াটসঅ্যাপ, টেলিগ্রাম, টিক টক এবং অনলাইন ওয়েবসাইটের মতো প্ল্যাটফর্ম ব্যবহার করে সহজ-সরল মানুষকে ফাঁদে ফেলছে। বক্তারা জানান, বাংলাদেশের দালালদের মাধ্যমেও বহু মানুষ পাচার হয়ে যাচ্ছে। এই ধরনের আধুনিক কৌশল সম্পর্কে জনসচেতনতা সৃষ্টি এবং পাচার রোধে কর্মীদের দক্ষতা বৃদ্ধি এই প্রশিক্ষণের অন্যতম লক্ষ্য।
প্রশিক্ষণ কর্মশালায় উপস্থিত ছিলেন প্রকল্প সমন্বয়কারী সুবোল কুমার ঘোষ, প্রোগ্রাম অফিসার দীপ্তি রায়, কমিউনিটি ফ্যাসিলিটেটর মাহাবুবুর রহমান ও কুমারেশ মন্ডল। ট্রেইনার হিসেবে ছিলেন সিটি আইটি সদস্য কর্ণ বিশ্বাস কেডি, শাফিরুর ইসলাম, আইরিন সুলতানা এবং অগ্রগতি সংস্থার সোস্যাল কাউন্সিলর সুমাইয়া নাজনীন, এবং এছাড়াও সিটিআইপি সদস্যবৃন্দরা এই রিফ্রেশার্স প্রশিক্ষণে সক্রিয়ভাবে অংশ নেন। কর্মশালায় উপস্থিত সকলে পাচার প্রতিরোধে সম্মিলিতভাবে কাজ করার অঙ্গীকার করেন।