
আহাদুর রহমান জনি: সাতক্ষীরা শহরস্থ ইটাগাছা চিত্তর মোড়স্থ আওয়ামী লীগের অফিসে ভাংচুরের অভিযোগ পাওয়া গেছে। গতকাল সকালে হঠাৎ স্থানীয় আওয়ামী লীগের নেতা কর্মীরা মোড়ে গিয়ে দেখেন আ’লীগ অফিসের কোন অস্তিত্ব নেই।
নেতাকর্মীরা জানায় শুক্রবার রাতে ১টার সময়ও চিত্তর মোড়ে ৭নং ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের অফিসের অস্তিত্ব ছিলো। ফজরের নামাজের সময় পাশ্ববর্তী মসজিদের মুসল্লিরা বের হয়ে দেখে আওয়ামী লীগ অফিস ভাংচুর করা। পরে কর্মীরা ওই স্থানে আসলে আ’লীগ অফিসের কোন অস্তিত্বই দেখতে পাননি। এ বিষয়ে উদ্ধতন নেতাদের নির্দেশে ভাংচুরকারী আবুল কালাম আজাদকে আসামী করে থানায় এজাহার দায়ের করেছেন ৭নং ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের কর্মী আসাদুজ্জামান লাভলু।
এবিষয়ে ৭ নং ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক রেজাউল করীম জানান, ‘৭ নং ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের একটি দলীয় অফিস ছিলো। এই অফিসে আমরা দলীয় কার্যক্রম সহ বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনার সম্স্থ অনুষ্ঠানের কার্যক্রম আমরা এখানে পরিচালনা করি নেতাকর্মীদের নিয়ে। ১২ তারিখ আমি এখানে এসে দেখি নেতাকর্মীদের নিয়ে এখানে আমাদের কোন অবকাঠামো নেই নিশ্চিহ্ন। পরবর্তীতে আমরা বিভিন্ন খোজ খবর নিয়ে জানতে পারি পৗরসভার কর্মচারীরা যারা এই ওয়ার্ডের বিভিন্ন ড্রেন সংষ্কার করে তারাই এই অফিস ভাঙচুর করে কে বা কারা কার নির্দেশে কোথায় েিয় গেছে আমরা জানিনা। পরবর্তীতে আমরা শুনলাম যাচাইবাছাই করে আমাদের ৭ নং ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সভাপতি ওয়ার্ড কাউন্সিলর তার বাসায় মালামাল গুলো নিয়ে রেখেছে। আমি এই বিষয়টি সুষ্ঠু তদন্তের জন্য জেলা আওয়ামী লীগ, পৌর আওয়ামী লীগ সহ সকল নেতৃবৃন্দের কাছে আহবান জানাচ্ছি । আমরা নেতাকর্মীরা খু াদের মাথাগোজার ঠাই নেই। যারা এই বিষয়ে দোষী তাদেরকে ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য দাবি জানাচ্ছি।’
৭নং ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সুব্রত বিশ্বাস জানান, ‘আমি সাতক্ষীরা শহরের ৭ নং ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের এই বেহাল দশা দীর্ঘদিন ধরে শুনে আসছি। শুনে আসার পরে আমার কাছে বিভিন্ন লোক বিভিন্নভাবে অনুরোধ করে জানায়। জানানোর পরে আমি এই ৭ নং ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের আবার সুসংগঠিত করার জন্য আমি আবার ৭ নং ওয়ার্ড কাউন্সিলে সভাপতি পদে ঘোষণা দিয়েছি।বহুদিন ধরে আমি এদের সাথে কথা বলে এদের পাশে আছি। কারা ভেঙেছে কেন ভেঙেছে তা তদন্ত করার জন্য আমি সাতক্ষীরা জেল প্রশাসক সহ সকলের কাছে দাবি জানাচ্ছি।’
পৌর আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক আব্দুর রশীদ জানান, ‘এখন আমি কাল রাত ১ট পর্যন্ত ওয়ার্ড আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক রেজাউল করীম সহ ৮-১০ জন লোক এখানে অবস্থান নিয়েছিলাম। তখনো অফিস ঠিক ছিলো। আজ সকালে এসে দেখি অফিসের কোন অস্তিত্ব নেই।’
এ বিষয়ে ৭নং ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সভাপতি শেখ জাহাঙ্গীর হোসেন কালু জানান, ৪-৫বছর পূর্বে বাঁশ খুটি দিয়ে আমি কার্যালয়টি নির্মান করি। জায়গাটি রোডসের। রোডস কর্তৃক স্থাপনা সরিয়ে নেয়ার মাইকিং করলে কার্যালয়টি অন্যত্র স্থানান্তরিত করার জন্য আমি নিজ দায়িত্বে অফিসটি সরিয়ে নিয়েছি।
তবে পৌর আওয়ামী লীগের সভাপতি শেখ নাসেরুল হক ও সাধারণ সম্পাদক সাহাদাৎ হোসেন জানান, ‘এটি একটি স্পর্শকাতর বিষয়। এ বিষয়ে আমরা এজাহার দায়ের করেছি। এ চক্রান্তের বিরুদ্ধে সাংগঠনিক ও আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।’