
আব্দুর রশিদ: সাতক্ষীরায় বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ও তার পরিবারের সদস্যদের ৪৭ তম শাহাদাৎ বার্ষিকীর শোক সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। সাতক্ষীরা জেলা আওয়ামী লীগের আয়োজনে পিএন হাইস্কুল মাঠে বিকাল ৪টায় উক্ত শোক সভার আয়োজন করা হয়। সভায় অংশ নেয় জেলা, উপজেলা আওয়ামী লীগসহ সহযোগী অঙ্গ-সহযোগী সংগঠনের নেতৃবৃন্দ।
সাতক্ষীরা জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আলহাজ্ব নজরুল ইসলাম বলেন, ১৫ আগস্টে বঙ্গবন্ধুসহ তার পরিবারের সবাইকে হত্যা করেছে সেই ৭১এর পরাজিত শক্তিরা। শিশু রাসেল বলেছিলো আমি বাংলাদেশে পরিচয় দিবনা, তাও ঘাতকরা তাকে ছাড়েনি। জামায়াত-বিএনপি আবারও মাথাচাড়া দিয়ে উঠেছে। সাতক্ষীরায় ২০১৩ সালের মত তান্ডব আর করতে দেয়া হবে না। আমরা আওয়ামী লীগ আগের চাইতেও শক্তিশালী। শান্ত সাতক্ষীরায় আপনারা অশান্ত করার চেষ্টা করবেননা। হত্যা, জ্বালাও, পোড়াও রাজনীতি আর প্রশ্রয় দিবনা। আমরা আওয়ামী লীগ সহযোগী সংগঠনগুলোকে সাথে নিয়ে তাদের প্রতিহত করবো। আগামী জাতীয় নির্বাচন সুষ্ঠ ও নিরপেক্ষ নির্বাচন হবে। নেতাকর্মীদের সজাগ থাকার জন্য আহবান জানানো হচ্ছে। সামনে নির্বাচন আপনারা সবাই ঐক্যবদ্ধ থেকে দলের শৃঙ্খলা বজায় রাখবেন, যেন জামায়াত-বিএনপি কোনরকম নৈরাজ্য ঘটাতে না পারে।
সাতক্ষীরা জেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি অধ্যক্ষ আবু আহমেদ বলেন, বিএনপি নৈরাজ্য করার বিভিন্ন রকম উষ্কানিমূলক কর্মকান্ড পায়তারা করছে। মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন আপনারা সুষ্ঠভাবে আন্দোলন সংগ্রাম করেন। কোন রকম নৈরাজ্য করলে আমরা আওয়ামী লীগ, ছাত্রলীগ, যুবলীগ রাজপথে রাজনৈতিক ভাবে মোকাবেলা করবো।
জেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সভাপতি ও সাবেক সাংসদ ইঞ্জিনিয়ার শেখ মুজিবুর রহমান বলেন, ১৫ আগস্ট বঙ্গবন্ধকে হত্যার পরে আমি নিজে অনেক নেতাদের দেখেছি। তারা কখনো ভয়ে মুখ খুলতোনা। আমি মুক্তিযোদ্ধা। কিন্তু আমি ঢাকাসহ সাতক্ষীরায় প্রতিবাদ করার চেষ্টা করেছি। আওয়ামী লীগের জন্মই আন্দোলন সংগ্রামের মাধ্যমে। বিএনপির ভাইরা আমাদেরকে ভয় দেখিয়ে লাভ হবে না।
পৌর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক শাহাদাত হোসেন বলেন, আমি দীর্ঘদিন যাবৎ পৌর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক। আমি অনেক দেখেছি এই শহরে। বিগত আমলে প্রতিটা আন্দোলন সংগ্রামে আমিই একমাত্র বলিষ্ট ভূমিকা রেখেছি। জামায়াত-বিএনপি যতই মাথা চাড়া দিয়ে উঠুক আমি পৌর আওয়ামী লীগকে সাথে নিয়ে তাদেরকে প্রতিহত করতে পারি ইনশাল্লাহ। আমার পৌর আওয়ামী লীগের লোক এখনো আমি বের করিনি। তবে পরিস্থিতি বুঝে আমি তাদের সাথে মোকাবেলা করতে প্রস্তুত।
এসময় অন্যান্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন সদর উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি শেখ আব্দুর রশিদ, শিক্ষা ও মানবসম্পদ বিষয়ক সম্পাদক লায়লা পারভীন সেঁজুতি, পৌর আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মো. রাশেদুজ্জামান রাশি, জেলা তাঁতীলীগের সাধারণ সম্পাদক শেখ আলমগীর হোসেন প্রমুখ।
এসময় উপস্থিত ছিলেন সাতক্ষীরা জেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা অধ্যক্ষ আবু আহমেদ, শেখ সাহিদ উদ্দিন, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক সৈয়দ ফিরোজ কামাল শুভ্র, সদর উপজেলা চেয়ারম্যান আলহাজ¦ মো. আসাদুজ্জামান বাবু, মহিলা বিষয়ক সম্পাদক শিমুন শামস্, স্বাস্থ্য ও জনসংখ্যা বিষয়ক সম্পাদক ডা. সুব্রত কুমার ঘোষ, পৌর আওয়ামী লীগের সভাপতি শেখ নাসেরুল হক, সাবেক সহ-দপ্তর সম্পাদক জিয়াউর বিন সেলিম যাদু, জেলা আওয়ামী লীগের নির্বাহী কমিটির সদস্য শেখ মনিরুল হোসেন মাসুম, নাজমুন আসিফ মুন্নী, মাহফুজা সুলতানা রুবি, জেলা যুব মহিলালীগ নেত্রী সাবিহা হোসেন, জেলা যুবলীগ নেতা সৈয়দ আমিনুর রহমান বাবু, সদর উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান এস.এম মারুফ তানভীর হুসাইন সুজন, জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি এস.এম আশিকুর রহমান আশিক, সাধারণ সম্পাদক মো. সুমন হোসেন, জেলা তাঁতীলীগের সভাপতি কাজী মারুফ, জেলা তাঁতীলীগের প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি মীর শাহিন, সাধারণ সম্পাদক শেখ তৌহিদ হাসান, আওয়ামী লীগ নেতা মো. দিদারুল ইসলাম প্রমুখ। সমগ্র অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন জেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক কাজী আকতার হোসেন।