আব্দুর রশিদ: চিহ্নিত নাশকতা মামলার আসামী আহম্মদ আলীর ছেলে সাইফুল কর্তৃক অন্যের বাড়ি দখল চেষ্টার অভিযোগ উঠেছে। এসময় সে বাড়িতে ভাংচুর চালায় সে। ভুক্তভোগীরা এলাকাবাসীর কাছে প্রতিকার চাইলে দ্বিতীয় দফায় হামলা করে জাকির নামের এক ব্যাক্তির মাথা ফাটিয়ে তার স্ত্রীর শ্লীলতা হানির অভিযোগও পাওয়া গেছে। আহতরা সাতক্ষীরা সদর হাসপাতালে চিকিসাধীন আছে।
প্রত্যক্ষদর্শীদের কাছ থেকে জানা যায়, শুক্রবার সকালে অর্ধশত নাশকতা মামলার আসামী আহম্মদ আলীর ছেলে সাইফুল ইটাগাছা পশ্চিমপাড়া এলাকার আকবর হোসেনের জমির মালিকানা দাবী করে দোকানঘর ও রান্নাঘরে ভাংচুর চালায়। এসময় সাইফুলের সাথে ছিল সামাদ, শহীদ ও আনোয়ার হোসেন সহ অজ্ঞাত আরও কয়েকজন। আকবরদের বাড়ির রাস্তা চটার বেড়া দিয়ে আটকে দিয়ে চলে যায়। এসময় আকবর হোসেন, তার ছেলে জাকির ও পুত্রবধূ তাসলিমা এলাকাবাসীদের ডেকে এ বিষয়ে সহায়তা চান। সহায়তা চাওয়ার কিছুক্ষণ পরে সাইফুল তার সাথে সামাদ, শহীদ ও আনোয়ার হোসেন সহ অজ্ঞাত আরও কয়েকজনকে সাথে নিয়ে দ্বিতীয় দফায় হামলা করে। হামলার সময় সামাদ লাঠি দিয়ে বারি দিয়ে জাকির হোসেনের মাথা ফাটিয়ে দেয়। একই সময় সাইফুল জাকিরের স্ত্রীকে বেধড়ক মারপিট করে।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে জাকির জানান, ‘সকালে আমাদের বাড়িতে ভাংচুর চালিয়ে চলাচলের পথ বন্ধ করে দেয় সাইফুল। প্রতিকার চেয়ে স্থানীয়দের ডেকে আমি ও আমার স্ত্রী অভিযোগ করি। এতে ক্ষিপ্ত হয়ে সাইফুল ও তার সহযোগীরা আবারও হামলা করে আমার মাথা ফাটিয়ে দেয়। সাইফুল আমার স্ত্রীর শ্লীলতাহানিও করেছে। সে ধর্ষক সাইফুল নামে এলাকায় পরিচিত। তারা বাবা জামায়াতের কর্মী আহম্মদ আলী প্রায় অর্ধশত নাশকতার মামলায় পালিয়ে আছে। সে এখন এই অঞ্চলে গোপনে জামায়াতি কার্যক্রম চালিয়ে রেখেছে। আর সেসব ক্যাডার নিয়েই এলকায় ত্রাসের রাজত্ব কায়েক করেছে।’
এদিকে জাকিরের স্ত্রীর জানান, ‘আমার স্বামীকে মারপিট থেকে বাঁচাতে গেলে সাইফুল আমার চুলের মুঠি ধরে কিলঘুষি মারতে থাকে।’ তিনি কাঁদতে বলেন ‘আমার স্পর্শকাতর স্থানে প্রথমে আঘাত করে পরে হাত দিয়ে চেপে ধরলে আমি জ্ঞান হারাই। এরপর আর কিছু বলতে পারিনা। চোখ খুলে দেখি আমি হাসপাতালে। পারতপক্ষে এ এলাকার কোন নারী সাইফুলে সামনে যায়না। সে এলাকায় লম্পট হিসেবে পরিচিত।’
হামলা ও শ্লীলতাহানির বিষয়ে সাইফুলের কাছে জানতে চাইলে তিনি সংবাদ না করার জন্য অনুরোধ করেন।
জাকিরের পিতা আকবর হোসেন জানান, ‘প্রায় ৪০ বছর পূর্বে সুরাইয়া বেগমের কাছ থেকে আমি সাড়ে ১১কাঠা জমি ক্রয় করি। এই এলাকার দখলবাজ হিসেবে পরিচিত সাইফুল এ জমি তার বলে দাবি করে আসছে। এ নিয়ে একটি মামলাও বিচারাধীন আছে। তার মধ্যেই সাইফুল আজ এত অপকর্ম করে গেল। তার ও তার বাবার নাশকতা ও অপকর্মের বিচার না হওয়ায় এত সাহস পায় সে।’