এস কে সিরাজ, শ্যামনগর থেকে: সুন্দরবন লাগুয়া দীপ অঞ্চল গোলাখালী গ্রাম সংলগ্ন মাদার নদী থেকে অবৈধভাবে বালি উত্তোলন করার অভিযোগ উঠেছে। বেশ কিছুদিন ওই এলাকা থেকে বালি উত্তোলন করায় গোলাখালী এলাকার বিভিন্ন জায়গায় বেরিবাঁধে ফাটল ধরেছে বলে অভিযোগ করেছে ওই এলাকার ভুক্তভোগী ও বেড়িবাঁধ ভাঙ্গন আতঙ্কিত এলাকাবাসী। স্থানীয় মাসুদ হোসেন বলেন, সুন্দরবন সংলগ্ন শ্যামনগর উপজেলার দীপাঞ্চল গোলাখালি গ্রামটিতে ৮৮ টি পরিবার বসবাস করে থাকে। চারিদিকে নদীবেষ্টিত থাকায় জোয়ারের তোড়ে ও জলোচ্ছ্বাসে প্রায় বেড়িবাঁধ ভেঙে এলাকায় লবণ পানি ঢুকে থাকে, জরাজীর্ণ বেড়িবাঁধ টি নিয়ে ওই এলাকার মানুষ প্রায় আতঙ্কিত হয়ে থাকেন, তিনি আরো বলেন, বেশ কিছুদিন যাবত কৈখালী এলাকার আব্দুল মজিদ নামক এক ব্যক্তি ড্রেজার মেশিন দিয়ে গোলাখালি সংলগ্ন মাদার নদী থেকে বিজিবির নাম করে বালি উত্তোলন করছেন, বিষয়টি নিয়ে নৌ পুলিশ কে অভিযোগ করলে, শুক্রবার সকালে নৌ পুলিশ থানার ওসি মনজুরুল আলম বালি উত্তোলন বন্ধ করে দেন, কিন্তু পরবর্তীতে উক্ত আব্দুল মজিদ আবারো বালি উত্তোলন শুরু করেন। এদিকে ড্রেজার মেশিন আব্দুল মজিদের সাথে কথা হলে তিনি বলেন, বিজিবির মাধ্যমে বালি উত্তোলন করা হচ্ছে, তাদের ক্যাম্পের সামনে এ বালি ভরাট করা হচ্ছে। স্থানীয় জেলে রহিমা খাতুন বলেন, বেড়িবাঁধ সংলগ্ন নদী থেকে প্রায় বালি উত্তোলন করায় গোলাখালি এলাকার বিভিন্ন বেড়িবাঁধে ফাটল ধরেছে, আমরা দীপাঞ্চল এলাকায় বসবাস করি, এখানে কোন সাইক্লোন সেন্টার নেই, প্রায় নদীর জোয়ারের পানি আমাদের গ্রামে ঢুকে পড়ে। এভাবে অপরিকল্পিত পন্থায় বালি তুললে যেকোনো সময় ভেড়িবাঁধ ভেঙে আমাদের গ্রাম প্লাবিত হতে পারে। শ্যামনগরের দীপাঞ্চাল গোলাখালি এলাকার বেড়িবাধ আতঙ্কিত মানুষেরা সংশ্লিষ্ট ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন।
শ্যামনগরের মাদার নদী থেকে বালি উত্তোলনের অভিযোগ
পূর্ববর্তী পোস্ট