
নিজস্ব প্রতিবেদক, শ্যামনগর: শ্যামনগর উপজেলার সুন্দরবন ঘেঁষে বুড়িগোয়ালিনী ইউনিয়নের আবাদ চন্ডিপুর গ্রামের মোঃ বিল্লাল গাইন পিতা মোঃ অমেদ আলি গাইন এবং আনছার মল্লিক এর সহিত জমিজমা নিয়ে দীর্ঘদিন শত্রুতা ছিল। তার জের ধরে আনছার মল্লিককে ফাঁসানোর জন্য হরিণের চামড়া দিয়ে তাকে ফাঁসানোর চেষ্টা কালে হাতেনাতে বন বিভাগের কর্মকর্তাদের কাছে ধরা পড়ে বাঙালি বিল্লাল। এঘটনায় বন বিভাগ এর তরফ থেকে বন আইনে মামলা হয়। মামলা নং সি আর -২৩/২১। মামলার জামিন দিতে গেলে আদালত জামিন না মঞ্জুর করে আসামি বাঙালি বিল্লাল কে জেলহাজতে প্রেরণ করেন।
তখন তার সহযোগীরা আদালত থেকে বাড়িতে ফিরে বুধবার সকাল আনুমানিক ৯টার দিকে ক্ষিপ্ত হয়ে মনসুর মল্লিক ও আনসার মল্লিকের বাড়িতে লাঠিসোটা দেশি অস্ত্র নিয়ে এলাকার ত্রাস মোশারফ হোসেন, রহমত আলী, ইব্রাহিম, মামুন, অমেদ আলী গাইন, জবেদ আলী,ছবেদ আলি গাইন অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করে বাড়ির ভিতরে প্রবেশ করে হামলা করে মহিলাদের শ্লীলতাহানি ঘটায়, বাড়ির বৃদ্ধদের কিল ঘুষি মারে। ঘরে ইটপাটকেল মেরে ঘরের চালের এজবেস্টার ভাঙচুর করে ।
মুনছুর আলি মল্লিক তাৎক্ষণিক ৯৯৯ নং পুলিশকে অবগত করলে শ্যামনগর থানা পুলিশের সাব ইন্সপেক্টর দীপ্তেশ রায় ও মারুফ উপস্থিত হয়ে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন। ঘটনার পর থেকে এলাকায় উত্তেজনা বিরাজ করছে। এলাকার সাধারণ মানুষের সাথে কথা বলে জানা গেছে যেকোনো সময় আবারো সংঘর্ষের সম্ভাবনা রয়েছে।