জিয়াউর রহমান শ্যামনগর থেকে: সাতক্ষীরার শ্যামনগরে বিভিন্ন সড়ক-মহাসড়কে দাপিয়ে বেড়াচ্ছে প্রাণঘাতী ইটভাটার মাটি, বালু ও ইট বহনকারী ডাম্পার, ট্রাক্টর (টলি) ও শ্যালো ইঞ্জিনচালিত অবৈধ যানবাহন। এতে একদিকে নষ্ট হচ্ছে সড়ক, অন্যদিকে প্রতিনিয়ত ঘটছে দুর্ঘটনা। হচ্ছে শব্দদূষণ। বাতাসে ওড়া ধুলাবালুর প্রভাব পড়ছে পরিবেশের উপর। বাড়ছে মৃত্যুর ঝুঁকি। প্রশাসনের নাকের ডগায় এ ধরনের অবৈধ যানবাহন চলাচল করলেও অদৃশ্য কারণে প্রশাসন আছে নীরব ভূমিকায়। এতে ক্ষুব্ধ সাধারণ নাগরিকরা। প্রশাসনের কাছে এসব গাড়ির বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি জানিয়েছেন স্থানীয় বাসিন্দারা। সুন্দরবন উপকূলীয় এলাকার আবুল কাশেম বলেন, উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় সড়ক-মহাসড়ক দিয়ে প্রতিনিয়ত মাটি, বালু ও ইটবাহী ডাম্পার, ট্রাক্টর, শ্যালো ইঞ্জিনচালিত গাড়ি চলছে। মাটি, ইট ও বালুবাহী অতিরিক্ত ওজনের এসব গাড়ির কারণে কোটি কোটি টাকা ব্যয়ে নির্মাণ করা পাকা সড়কগুলোর কার্পেটিং উঠে যাচ্ছে। সড়কে খানাখন্দের সৃষ্টি হচ্ছে। রাস্তায় মাটি পড়ে বাড়ছে জনদুর্ভোগ ও মৃত্যুর ঘুঁকি। ঘটছে সড়ক দুর্ঘটনা। এসব যানবাহন চালকদের ড্রাইভিং লাইসেন্স নেই। শ্যামনগর উপজেলা রিপোর্টার্স ক্লাবের সভাপতি এস কে সিরাজ বলেন, উপজেলার বিভিন্ন সড়ক-মহাসড়কে প্রতিনিয়ত অবৈধ যানবাহন চলাচল করে। এসব অবৈধ যানবাহন এর বিষয়ে প্রশাসন এখনো পর্যন্ত তেমন কোনো পদক্ষেপ গ্রহণ করেন নাই, তিনি এ ধরনের অবৈধ যানবাহন বন্ধের লক্ষ্যে প্রশাসনের জরুরী হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন। সংবাদ কর্মী জি এম মনিরুজ্জামান মিশুক বলেন, ইটভাটার মাটি, বালু ও ইট বহনের ডাম্পার, ট্রাক্টরের চাকায় কোটি কোটি টাকার সড়ক নষ্ট হচ্ছে। শব্দদূষণ ও ধুলাবালুর প্রভাব পড়ছে পরিবেশের ওপর। প্রাণহানিও ঘটছে প্রতিনিয়ত। এসব যানবাহন ও চালকদের বিরুদ্ধে দ্রুত ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি জানান তিনি। শ্যামনগর উপজেলা নির্বাহি কর্মকর্তা মোছাঃ রনি খাতুন বলেন, অবৈধ যানবাহনের বিরুদ্ধে আমাদের অভিযান অব্যাহত রয়েছে।
শ্যামনগরে দাপিয়ে বেড়াচ্ছে প্রাণঘাতী অবৈধ ডাম্পার
পূর্ববর্তী পোস্ট