
আব্রাহাম লিংকন, শ্যামনগর থেকে: শ্যামনগরে গ্রাম পুলিশ পেটানো মামলার আসামি আব্দুস সবুরকে সাতক্ষীরা থেকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
শ্যামনগর উপজেলার রমজাননগর ইউনিয়নের ভেটখালী বাজারে গত ৭ জুন সকাল ১০ টায় ভেটখালী ব্রীজের উপর ইমামুল হক গ্রাম পুলিশ ডিউটি করতে থাকেন। এসময় তিনি করোনা সংক্রমণ প্রতিরোধে সরকারি নির্দেশনা অনুযায়ী সবাইকে মুখে মাস্ক লাগানোর কথা বলেন। তারানীপুর গ্রামের লস্কার শেখের পুত্র সবুর ওরফে গরু সবুরকে মুখে মাস্ক লাগানোর কথা বলেন ইমামুল হক গ্রাম পুলিশ। তখন সবুর ক্ষিপ্ত হয়ে বলে আমাকে চিনিস? কথা কাটাকাটির এক পর্যায়ে তাদের মধ্যে বাগবিতণ্ডা শুরু হয়। তখন সবুর ইমামুল হককে এলোপাতাড়ি মারতে থাকে। তখন ইমামুল হক গ্রাম পুলিশ অন্য গ্রাম পুলিশকে ডাকলে তারা এসে সবুরের সাথে হাতাহাতি হয়। পরে সবুর ফোন করে তার ছেলেদের ডাকে এবং ইমামুল হককে বাজারের ভিতর দিয়ে তাড়িয়ে নিয়ে যায় এবং ইমামুল হক গ্রাম পুলিশ পালাতে গিয়ে পড়ে যায়। তখন সবুর ও তার ছেলেরা বেদম মারপিট করতে থাকে এবং তার ইউনিফর্ম ছিড়ে ফেলে। তখন কোন রকমে তাদের হাত থেকে ছাড়িয়ে একবাড়ীতে পালিয়ে রমজাননগর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান শেখ আল মামুনের কাছে ফোন দেয়। চেয়ারম্যান আরও চৌকিদার সহ দফাদার পাঠিয়ে তাকে উদ্ধার করেন। এ বিষয়ে ইমামুল বাদী হয়ে ৮ জুন শ্যামনগর থানায় একটি মামলা দায়ের করেন। মামলা নং ৬/২১৭।
গোপন সংবাদের ভিত্তিতে শ্যামনগর থানা পুলিশ এসআই সানির নেতৃত্বে, একটি ফোর্স সাতক্ষীরা ইসলামি হাসপাতাল থেকে মামলার প্রধান আসামি তারানীপুর গ্রামের লস্কার শেখের পুত্র সবুর শেখকে আটক করেন । এখনও ৪ জন আসামি পলাতক রয়েছে ।
শ্যামনগর থানার এসআই সানি বলেন, ১১ জুন ২০২১ তারিখ দুপুর ১ টার সময় গোপন সংবাদের ভিত্তিতে সাতক্ষীরা ইসলামি হাসপাতাল থেকে মামলার প্রধান আসামি তারানীপুর গ্রামের লস্কার শেখের পুত্র সবুর শেখকে আটক করতে সক্ষম হয়েছি। তিনি বলেন, আসামী সবুরকে সাতক্ষীরা জেলা হাজতে প্রেরন করা হয়েছে এবং অন্য আসামিদের ধরার চেষ্টা চলছে।