
আব্রাহাম লিংকন, শ্যামনগর থেকে:
গত বুধবার (৯ ফেব্রæয়ারী) বেলা ১২ টার দিকে কৈখালী ইউনিয়নের বৈশশালী এলাকা থেকে চেয়ারম্যান শেখ আব্দুর রহিমকে গ্রেফতার করে শ্যামনগর থানার এসআই নুর কামালের নেতৃত্বে পুলিশের একটি টিম। গ্রেফতারের প‚র্বে পুলিশকে বাঁধাদান সহ একজন পুলিশ আহত হওয়ায় স্থানীয়দের বিরুদ্ধে শ্যামনগর থানায় নিজ বাদী হয়ে এসআই নুর কামাল ১৮ জনের নামোল্লেখসহ ৩০ জনকে অজ্ঞাত আসামি করে একটি মামলা দায়ের করেন। যার মামলা নং-৯ ।
আসামিরা হলেন, ১ শেখ আব্দুর রহিম (৪৭), পিতা-শেখ আবু দাউদ, সাং-জয়াখালী, থানা-শ্যামনগর, জেলা-সাতক্ষীরাকে গ্রেফতার প‚র্বক থানায় হাজির হয়ে ধৃত উক্ত আসামী সহ পলাতক আসামী ২ রুহুল কুদ্দুস (৪০), পিতা-কেফা পাড়, সাং-জয়াখালী, ৩ আমিনুর (৩৮), পিতা-মাকাত গাইন, ৪ মোসলেম গাজী (৫০), পিতা-আহাম্মদ আলী গাজী, ৫ ন‚রুজ্জামান ওরফে জামু (৪০), পিতা-কেরামত গাজী, ৬ আশরাফ (৪২), পিতা-আক্কাস গাজী, ৭ আবুল হোসেন (৪২), ৮ আব্দুস সাত্তার (৩৫), উভয় পিতা-আহার আলী গাজী, ৯ আবুল কালাম (৪৫), পিতা-আব্দুল পিতা-ন‚রুজ্জামান জামু, ১৩ হাবিবুর গাজী (৩২), পিতা-হামিদ গাজী, ১৪ আল-আমিন (২৮), পিতা-করিম গাজী, ১৫ মিজানুর গাজী (১৪) পিতা-সাজুদ্দিন গাজী, সর্ব সাং বৈশখালী, (১৬) শফিকুল ইসলাম (৩৫) পিতা-মাজেদ গাজী, ১৭ আব্দুর রহমান আবু (৪০), পিতা-শেখ আবু দাউদ, ১৮ জহুর আলী গাজী (৪২), পিতা-হানিফ গাজী, সর্ব সাং জয়াখালী, শ্যামনগর, সাতক্ষীরা।
এজাহারে উল্লেখ করেন, শ্যামনগর থানা এলাকায় গ্রেফতারী পরোয়ানা তামিল সহ বিশেষ অভিযান পরিচালনার জন্য রওনা করে ০৯/০২/২০২২ খ্রিঃ তারিখ সকাল অনুমান ১১:১০ ঘটিকার সময় শ্যামনগর থানাধীন ভেটখালী বাজারে অবস্থান কালে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে জানতে পারি যে, সাজাপ্রাপ্ত গ্রেফতারী পরোয়ানা ভ‚ক্ত আসামী ৫নং কৈখালী ইউনিয়ন পরিষদের নব-নির্বাচিত চেয়ারম্যান শেখ আব্দুর রহিম বর্তমানে শ্যামনগর থানাধীন ৫নং কৈখালী ইউনিয়নের বৈশখালী জনৈক রুহুল আমিনের বসত বাড়ির সামনে অবস্থান করছে।
আমি বিষয়টি ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে মোবাইল ফোনে অবহিত করে ০৯/০২/২০২২ খ্রিঃ তারিখ সকাল অনুমান ১১:৩৫ ঘটিকার সময় সঙ্গীয় অফিসার-ফোর্স সহ শ্যামনগর থানাধীন ৫নং কৈখালী ইউনিয়নের বৈশখালী সাকিনস্থ জনৈক রুহুল আমিন, পিতা-আব্দুল গফ্ফার মোল্লার বসত বাড়ির সামনে উপস্থিত হলে গ্রেফতারী পরোয়নাভ‚ক্ত আসামী শেখ আব্দুর রহিম পুলিশের উপস্থিতি দেখে পালানোর চেষ্টা করলে সঙ্গীয় অফিসার-ফোর্সের সহায়তায় আসামী আব্দুর রহিমকে গ্রেফতার করি।
গ্রেফতাররের সময় ধৃত আসামীর ডাক-চিৎকারে আশেপাশে থাকা তার দলীয় উপরোক্ত এজাহার নামীয় সহ অজ্ঞাতনামা লোকজন ধৃত আসামী শেখ আব্দুর রহিমকে ছিনিয়ে নেয়ার জন্য বেআইনী জনতাবদ্ধে সরকারি কাজে বাধাদানের উদ্দেশ্যে তাদের হাতে থাকা লাঠি, লোহার রড, দা ও দেশীয় অস্ত্র-শস্ত্র নিয়ে পুলিশের উপর অতর্কিত হামলা করে।
এ সময় ১নং আসামী আব্দুর রহিমের হুকুমে ২নং আসামী তার হাতে থাকা ধারালো দা দিয়ে ধৃত আসামী আব্দুর রহিমকে ছিনিয়ে নেয়ার জন্য সঙ্গীয় কং/৬৫৬ রিপন মোল্লাকে হত্যার উদ্দেশ্যে তার মাথা বরাবরে কোপ দিলে রিপন মোল্লা উক্ত কোপ ডান হাত দিয়ে ঠেকাতে গেলে তার ডান হাতের মধ্যমা আংগুলে কোপ লেগে গুরুতর রক্তাক্ত জখম হয়।
৩নং আসামী সহ সকল আসামীগণ তাদের হাতে থাকা লাঠিসোটা ও অস্ত্রশস্ত্র দিয়ে এলোপাতাড়ি মারপিট করলে আমি সহ সঙ্গীয় (এএসআই (নিঃ)/ মেহেদী হাসান, কং/৬৫৭ মেহেদী হাসান গণ শরীরের বিভিন্ন স্থানে নীলাফোলা জখম প্রাপ্ত হই। এ সময় ধৃত আসামী আব্দুর রহিম জেল থেকে জামিনে মুক্তি পেয়ে আমাকে সহ অভিযানিক দলের পুলিশ সদস্যদের দেখে নেয়ার হুমকী প্রদান করতে থাকে।
এক পর্যায়ে আসামী শেখ আব্দুর রহিমকে কৌশলে মটরসাইকেলে উঠিয়ে দ্রæত থানায় নিয়ে আসি। পরবর্তীতে আমি সহ জখমী এএসআই (নিঃ)/ মেহেদী হাসান, কং/৬৫৭ মেহেদী হাসান শ্যামনগর থানা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে প্রাথমিক চিকিৎসা গ্রহণ করি এবং গুরুতর জখমপ্রাপ্ত কং/৬৫৬ মোঃ রিপন মোল্লা।