তদন্তে আসা ৪ জনের জন্য সুশীলন গেস্ট হাউজের ৪ ভিআইপি রুম বুকিং ও বাতিল
নিজস্ব প্রতিবেদক: প্রাথমিক ও গণশিক্ষা অধিদপ্তরের থেকে তদন্তে আসা একজন কর্মকর্তা সহ ৪ জনের জন্য সুশীলন গেস্ট হাউসের বুকিং দেয়া ৪ টি রুম অবশেষে বাতিল করলেন বুকিং দেওয়া শিক্ষা কর্মকর্তা রফিজ মিয়া। সহকারী শিক্ষিকা পিয়ারী পারভীনের করা যৌন হয়রানীর অভিযোগ তদন্তের জন্য আজ শ্যামনগর আসছেন শিক্ষা অধিদপ্তরের ডেপুটি ডাইরেক্টর ডঃ নাছিমা খাতুন। তদন্তের ব্যাপারে অভিযোগকারী পিয়ারী পারভীনকে কোন নোটিশও প্রদান করা হয় নি। গতকাল রাত দশটায় স্কুলের প্রধান শিক্ষক নূর আলী টেলিফোনে পিয়ারী পারভীনকে উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসে হাজির হতে বলেছেন।
এদিকে অভিযুক্ত রফিজ মিয়া অধিদপ্তরের তদন্তে আসা কর্মকর্তাদের জন্য সুন্দরবণ ভ্রমনের জন্য সকল আয়োজন করেছেন। সুশীলনের গেস্ট হাউসের ম্যানেজার আব্দুল হামিদ সাতনদীকে জনান, শ্যামনগর উপজেলা শিক্ষা অফিসার ৪ টি রুম বুকিং দিয়েছেন। ভ্রাইভারের জন্য ১০৩ নম্বর রুম এবং কর্মকর্তাদের জন্য ৩০১, ৩০২ ও ৩০৪ নং রুম। কিন্তু রাতে টেলিফোনে বুকিং দেওয়া ৪ টি রুম বাতিল করেছেন শিক্ষা অফিসার রফিজ মিয়া।
অভিযুক্ত শিক্ষা অফিসার কর্তৃক তদন্তে আসা কর্মকর্তাদের জন্য ভ্রমনের বিষয়টি শ্যামনগরের সবার মুখে মুখে ছড়িয়ে পড়ে। ঘটনাটি দৈনিক সাতনদীর পক্ষ থেকে জানতে চাওয়া হয় তদন্তে আসা কর্মকর্তার কাছে। বিষয়টি নিয়ে তিনি বিব্রত বোধ করেন।
অধিদপ্তরের কর্মকর্তার কাছে জানতে চাওয়ার পর রফিজ মিয়া বুকিং দেওয়া সিট বাতিল করেন। ঘটনাটি নিয়ে শ্যামনগরে চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়েছে।