সারাদেশকে ঝুঁকিপূর্ন ঘোষনা করার আগে থেকেই উপজেলা প্রশাসন, সেনাবাহিনী, পুলিশ উদ্ভূত পরিস্থিতে করোনা ভাইরাস (কোভিড-১৯) থেকে সাধারণ জনগনকে বাঁচাতে সচেতনাতার লকডাউন ঘোষণা করলেও মানছে না কালিগঞ্জে অধিকাংশ মানুষ। যে কারণে ঢাকা, নারায়নগঞ্জ, সিলেট, গোপালগঞ্জ, বরিশান, কক্সবাজার, চট্টগ্রাম থেকে আসা ইট ভাটা শ্রমিকরা এলকায় আসলে তাদের মধ্যে কেউ আক্রান্ত আছে কিনা সেটা নিয়ে আতংক বিরাজ করছে। তবে বাহিরে থেকে আসা শ্রমিকরা সবাই নিজ নিজ ইউনিয়নের স্কুল, সাইক্লোন শেল্টারে হোম কোয়ারেন্টাইনে রাখা হয়েছে। তার মধ্যে সুযোগ পেলেই ঘরের বাইরে বেরিয়ে আসছেন সাধারণ মানুষ। রাস্তাঘাট ও বাজারে কারণে-অকারণে লোকজনের ভিড় বাড়ছেই।
বিষয়টি নিয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোজাম্মেল হক রাসেল, সহকারি কমিশনার (ভূমি) ও নির্বাহী ম্যাজিষ্টেট সিফাত উদ্দীন এবং থানা অফিসার্স ইনচার্জ দেলোয়ার হুসেনের নেতৃত্বে পুলিশ, সেনাবাহিনী সদস্যরা সদস্যদের নিয়ে উপজেলার প্রধান প্রধান সড়কের প্রায় এ পযন্ত ২ শতাধিক ব্যাক্তি ও অনেক ব্যবসায়ি প্রতিষ্ঠানকে ভ্রামমান আদালতের মোটা অঙ্কের টাকা জরিমানা আদায় করা হয়েছে। অধিকাংশ প্রত্যন্ত অঞ্চল গ্রামের যেখানে প্রশাসনের যানবহন যায় না। সে সমস্ত এলকার মানুষ করোনা ভাইরাসকে তাচ্ছিল্য করে চোর-পুলিশ খেলা করছে। স্থানীয় ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যানদের নেতৃত্বে গ্রাম পুলিশ, সিভিল সেচ্ছাসেবকদেরকে নিয়ে কাজ করলেও তা শুধু লোক দেখানো ফেইসবুক নির্ভর। শুধু ছবি তুলে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেইসবুকে ছেড়ে দিলেই সব দায়িত্ব শেষ। এতে শুধু প্রশাসনের নজর আর্কষন ছাড়া কিছু না। উপজেলার ১২টি ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যানদের এক জন করে সেলফি ম্যান আছে। তাদের কাজ শুধু চেয়ারম্যানের ছবি তুলে ফেইসবুকে পোষ্ট করা ।
এ ব্যাপারে কালিগঞ্জ স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যান কর্মকর্তা ডাঃ শেখ তৈয়েবুর বলেন, করোনা ভাইরাস নিয়ে সারা পৃথিবী যেভাবে আক্রান্ত, আতংকিত তার পরও যদি আমরা নিজেরা নিজ থেকে সচেতনাতা না বাড়ায় তা হলে ডাক্তার, প্রশাসন বাড়ীতে বাড়ীতে বসিয়ে রাখা সম্ভব না। প্রত্যেকে নিজ নিজ অবস্থানে দায়িত্ব নিয়ে কাজ করলে আমরা সবাই মুক্তি পাবো। বর্তমান সময়ে গ্রাম ছেড়ে অনেকেই এখন বিলের মৎস্য ঘেরে ভেঁড়ি বাঁধে দল আড্ডা দেওয়া সহ ঘেরের বাসায় তাশ, জুয়া খেলতে দেখা গেছে। অনেকে আবার বড় কোন নির্জন বাগান কে হোম কোয়ারেন্টইন বানিয়ে দল বেঁধে বিভিন্ন এলকা থেকে জুয়াড়ীরা এসে খেলা চালিয়ে যাচ্ছে। যখন করোনা ভাইরাস আতংক মানুষ তখন উপজেলা জুড়ে চলছে ইটের পাঁজা পোড়ানের মহোৎসব। কালো ধোঁযায় পরিবেশ দূষিত হচ্ছে গ্রাম গুলোতে। গত শনিবার বেলা ১২টার সময় কালিগঞ্জ ভাড়াশিমলা ইউনিয়নের মির্জা আঃ হামিদের পুত্র আব্দুল গফ্ফার সরদার উপজেলা প্রশাসন বৃদ্ধা আঙ্গুল দেখিয়ে বহাল তবিয়াদে জ্বালিয়ে বাণিজ্যিক ভাবে ইটের পাঁজায় আগুন দিয়ে ইট তৈরি করছে। এলকাবাসী প্রতিবাদ করেও কোন প্রতিকার পাইনি। কারণ হিসাবে বর্তমান প্রশাসনের কর্তা ব্যাক্তিরাই করোনা ভাইরাস নিয়ে লকডাউনের কাজে ব্যস্ত। এই সুযোগটাই কাজে লাগাচ্ছে সুবিধাভোগীরা।