
বাণিজ্য ডেস্ক:
রমজান মাসে অত্যাবশকীয় পণ্যসামগ্রীর দাম স্থিতিশীল ও নিত্য প্রয়োজনীয় দ্রব্যের সরবরাহ স্বাভাবিক রাখতে ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশন (ডিএনসিসি) কঠোর মনিটরিং করবে বলে জানিয়েছেন মেয়র মো. আতিকুল ইসলাম।
বুধবার (২২ মার্চ) গুলশানে ডিএনসিসি’র নগর ভবনে ডিএনসিসি মালিকানাধীন মার্কেট ও কাঁচা বাজারের ব্যবসায়ীদের সঙ্গে আয়োজিত এক মতবিনিময় সভায় এ কথা বলেন তিনি।
এসময় মেয়র বলেন, বিশ্বের সব দেশে অন্য সময়ের তুলনায় ধর্মীয় উৎসবসহ বিভিন্ন উৎসবের সময় পণ্যদ্রব্যের দাম কমে যায়। তবে বাংলাদেশে দেখা যায় উল্টো চিত্র। তাই এবছর রমজানে নিত্য প্রয়োজনীয় পণ্যদ্রব্যের অহেতুক দাম বাড়ালে কঠোর ব্যবস্থা নেয়া হবে।
রমজানে ডিএনসিসির সব বাজারে নজরদারি আরও জোরদার করা হবে জানিয়ে তিনি বলেন, ‘কাউন্সিলর সৈয়দ হাসান নূর ইসলামকে আহবায়ক করে আঞ্চলিক নির্বাহী কর্মকর্তা ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটদের সমন্বয়ে একটি বাজার মনিটরিং কমিটি করা হবে। পুরো রমজান মাস জুড়ে এই কমিটি বাজারগুলো মনিটরিং করবে। রমজানে জনগণের যেন কোনো ভোগান্তি না হয় সেটি নিশ্চিত করা হবে।
এছাড়া নিত্যপণ্যের দাম স্বাভাবিক রাখতে ব্যবসায়ীদের সহযোগিতা করার আহবান জানান আতিকুল ইসলাম। এসময় ব্যবসায়ীদের উদ্দেশ্যে তিনি বলেন, ‘আপনারা দয়া করে ভেজালমুক্ত, সঠিক ওজন ও টাটকা পণ্য সরবরাহ করবেন।’
মেয়র আরও বলেন, রমজানে নিত্য প্রয়োজনীয় দ্রব্যের দাম জনসাধারনের অবগতির জন্য ডিএনসিসির সাতটি মার্কেটে ডিজিটাল ডিসপ্লে বোর্ড স্থাপন করা হবে। এতে প্রতিটি পণ্যের দাম তালিকাসহ টানানো থাকবে। আর প্রতিটি দোকানে প্রকাশ্যে মূল্য তালিকা টানিয়ে রাখাতে হবে।
এছাড়া নির্ধারিত দামের চেয়ে বেশি দামে পণ্য বিক্রি করলে যথাযথ ব্যবস্থা নেয়া হবে বলে জানান তিনি। পাশাপাশি দোকান বন্ধ করে দেয়ার হুশিয়ারিও দেন মেয়র।
এদিকে ভোক্তারা যেন অভিযোগ জানাতে পারে সেজন্য ডিসপ্লে বোর্ডে মোবাইল নাম্বার প্রদর্শন করার জন্য সংশ্লিষ্ট বিভাগকে নির্দেশ দেন ডিএনসিসি মেয়র। এসময় ব্যবসায়ীদের পাশাপাশি ভোক্তাদেরও সচেতন হওয়ার আহবান করেন তিনি।
মেয়র আরও বলেন, ‘বাজারে পরিষ্কার পরিচ্ছন্নতা ও নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে হবে। বাজারে প্রবেশের ও প্রস্থানের রাস্তাগুলোতে মালামাল রেখে প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করা যাবে না।’
এসময় ডিএনসিসির বিভিন্ন মার্কেটের ব্যবসায়ী প্রতিনিধিরা ভেজালমুক্ত পণ্য বিক্রয় ও দ্রব্যের দাম নিয়ন্ত্রণে রাখতে প্রতিশ্রুতি দেন। এছাড়া কমিটির পক্ষ থেকেও দ্রব্যমূল্য ও বাজারের পরিষ্কার পরিচ্ছন্নতা নিয়মিত মনিটরিং করা হবে বলে জানান তারা।
সভায় আরও উপস্থিত ছিলেন ডিএনসিসির সচিব মোহাম্মদ মাসুদ আলম ছিদ্দিক,প্রধান স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মো. জোবায়দুর রহমান, প্রধান প্রকৌশলী ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মুহ. আমিরুল ইসলাম, প্রধান সম্পত্তি কর্মকর্তা ড. মোহাম্মদ মাহে আলম, প্রধান রাজস্ব কর্মকর্তা আ. ন. ম তরিকুল ইসলাম প্রমুখ।