
নিজস্ব প্রতিবেদক: কাশেমপুর গ্রামের মৃত ছুরমান আলীর পুত্র শাহাবুদ্দিন জুয়েলের প্রতারণার ফাঁদে জেলার একাধিক ব্যক্তি। স¤প্রতি একটি ঘটনাকে কেন্দ্র করে বেরিয়ে আসতে থাকে জুয়েলের বিভিন্ন ধরনের অপকর্মের গল্প। রক্ত নিয়ে খেলা জুয়েলের দৈনিন্দন কর্মকাÐ। দ‚রদ‚রান্ত থেকে সাতক্ষীরা সদর হাসপাতালে চিকিৎসা নিতে আসা রোগী ও রোগীর স্বজনদের জিম্মি করে টাকা আদায় করে জুয়েল। সাতক্ষীরা ডোনার বøাড ব্যাংকের নাম ব্যবহার করে এসব কার্যক্রম নির্বিঘেœ চালিয়ে যাচ্ছে জুয়েল। সদর হসপিটাল এলাকায় রক্ত বিক্রি চক্রের ম‚ল হোতা জুয়েল। রক্ত দেয়ার নাম করে ব্যাগ প্রতি ২ থেকে ৩ হাজার টাকা আদায় করে থাকেন । গত ২০.১২.২১ তারিখে বিভিন্ন মিডিয়ায় একটি ভিডিও রিপোর্ট প্রকাশ হয়। সেই তথ্য অনুযায়ী ঐদিন একটি রোগীর থেকে রক্ত সংগ্রহ করে দেয়ার কথা বলে টাকা নেয়ার সময় জনতার হাতে আটক হয় জুয়েল। জনতার গণধোলাই শেষে মুচলেকা দিয়ে সে যাত্রায় জুয়েলকে ছেড়ে দেয় কর্তৃপক্ষ।
জুয়েলের এক বন্ধু সজীব জুয়েল সম্পর্কে বলেন, জুয়েল একজন প্রতারক সুযোগ পেলে কাউকে ছাড় দেয় না । সে একজন চিহ্নিত মাদক সেবী তার নামে রয়েছে একাধিক মাদকের মামলা এসব সবাই জানে। জুয়েল নিজেকে সোর্স পরিচয় দিয়ে মাদক বিক্রেতাদের কাছ থেকে সুবিধা নিয়ে থাকে।
এবিষয়ে নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একজন বলেন, জুয়েল আমার প‚র্ব পরিচিত, আমার একটি ফোনের প্রয়োজন তখন জুয়েল বলল একজন একটি ফোন বিক্রি করবে কাগজপত্র সব আছে চাইলে নিতে পারো। আমি ফোনের কাগজপত্র দেখতে চাইলে সে আমাকে কাগজ পত্রের ছবি দেখিয়ে বলল টাকা দাও ফোন নিয়ে আসি। আমি সরল বিশ্বাসে জুয়েলকে টাকা দেই। বিপত্তি ঘটে তখনই যখন টাকা নিয়ে যাওয়ার পরে জুয়েল আমার ফোন রিসিভ করছে না। কয়েকদিন পরে ফোন রিসিভ করে বিভিন্ন রকমের তালবাহানা করতে থাকে। এক পর্যায়ে আমি টাকা না পেয়ে ধৈর্য্য হারা হয়ে জুয়েলের সাথে ফোনে বাকবিতন্ডা হয়। পরের দিন ১৪ই ফেব্রুয়ারি সাংবাদিকদের ভুল তথ্য প্রদান করে বিভ্রান্তিকর সংবাদ পরিবেশন করায়। বিষয়টি আমার নজরে আসলে আমি ঐ সংবাদের প্রতিবাদ জানাই। তারপর সাতক্ষীরা সদর থানায় রক্ত বিক্রেতা জুয়েলের নামে একটি অভিযোগ দায়ের করি এবং জেলা প্রেসক্লাবে প্রতারক জুয়েলের নামে একটি সংবাদ সম্মেলন করি।
এবিষয়ে শহরের রাজারবাগান এলাকার মেজবাহ উদ্দিন বলেন, জুয়েল একজন বিকৃত মস্তিষ্কের মানুষ। কোন সুস্থ মস্তিষ্কের মানুষ কখনো রক্ত নিয়ে খেলা করতে পারে না। কিছু দিন আগে এক ব্যক্তি কে জুয়েল টাকা না দেয়ার ফন্দি আঁটতে গিয়ে নিজেই ধরা খেয়েছে। মেজবা হউদ্দিন বলেন বিভিন্ন ধরনের টেকনিক জানা আছে জুয়েলের।
এবিষয়ে জুয়েলের সাথে ফোনে যোগাযোগ করা হলে কয়েক বার সময় নিয়েও দেখা করেন নি জুয়েল।
এবিষয়ে বাকাল এলাকার একজন সেলুন ব্যবসায়ী বলেন, আমি একটি পুরনো ল্যাপটব কেনার জন্য আমার এক কাষ্টমারের সাথে কথা বলছিলাম। সে সময় জুয়েল আমার সেলুনে কাজ করানোর জন্য বসেছিল। তারপর সে কাষ্টমার চলে গেলে জুয়েল আমাকে বলে আমার এক বন্ধু একটা ল্যাপটব বিক্রি করবে আপনি নিতে পারেন। তারপর আমাকে নিয়ে সিটি কলেজের পিছনের রাস্তায় দাঁড় করিয়ে বললো ১০ হাজার টাকা দেন আর আপনি দাঁড়ান আমি নিয়ে আসি বলে চলে গেল।আমি জুয়েলের জন্য অপেক্ষা করতে লাগলাম। তারপর অনেক রাত পর্যন্ত অপেক্ষা করে সামনে এগিয়ে গিয়ে খোঁজ খবর নিয়ে জানা গেল সে এক বিরাট চিটার। তারপর আমি ফোনে যোগাযোগ করলে আমার ফোন রিসিভ করেননি। এখনও আমার টাকা আদায় করতে পারেনি জুয়েলের কাছে থেকে।