
নিজস্ব সংবাদদাতা, যশোর: মণিরামপুরে মাদক বিক্রেতার হামলায় রবিউল ইসলাম (৩১) নামে এক পুলিশ কনস্টেবল আহত হয়েছেন। ২০ আগষ্ট রাত ৮ টার দিকে রাজগঞ্জ বাজারের উত্তর মাথায় ঘটনাটি ঘটে। আহত পুলিশ সদস্য মনিরামপুর হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন। এই ঘটনায় রাতেই তিনটি চাপাতিসহ রাবেয়া বেগম নামে এক নারীকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। তিনি রাজাগঞ্জ বাজার এলাকার মাদক ব্যবসায়ী লুৎফর রহমানের ছোট স্ত্রী।
পুলিশ জানায়, রাজগঞ্জ বাজারের মাধ্যমিক বালিকা বিদ্যাপীঠের সামনে বাসাবাড়ি মৃত সাবান গাজীর ছেলে লুৎফর ও তাঁর ছেলে ফয়সাল হোসেন দীর্ঘদিন ধরে বাসা বাড়িতে ও আশপাশে গাঁজা ও ইয়াবা বিক্রি করে আসছে। তার বাসা বাড়ির গেটে মুদি দোকানে চা বিক্রির আড়ালে তারা মাদকের কারবার করেন। মাদক মামলায় বাপ-ছেলে একাধিকবার জেলও খেটেছেন।
পুলিশ সুত্রে জানা যায়, শুক্রবার রাতে সহকারী উপ পরিদর্শক (এএসআই) ইমরান হোসেনসহ একটি দল রাজাগঞ্জ বাজার এলাকার লুৎফরের বাড়িতে মাদক উদ্ধারে যান। লুৎফরের বাড়ি সংলগ্ন চা দোকান রয়েছে। ছদ্মবেশে রবিউল বাড়িতে ঢুকে মাদক ধরে ফেলেন। এসময় লুৎফর, তাঁর স্ত্রী রাবেয়া ও ছেলে ফয়সালসহ কয়েকজনে রবিউলের কাছ থেকে মাদক ছিনিয়ে নিয়ে তাঁকে মারপিট করে। টেরপেয়ে পুলিশের অন্যসদস্যরা এগিয়ে গেলে পালিয়ে যায় হামলাকারীরা। রবিউলকে উদ্ধার করে যশোরে পরীক্ষানিরীক্ষা শেষে মণিরামপুর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। উলেখ্য লুৎফর ও তার ছেলে ফয়সাল ইতি পুর্বে ইয়াবা ও গাজাসহ ডিবি ও পুলিশের হাতে কয়েকবার ধরা পড়েছে। উভয়ে জেল হাজতও খেটেছে। তাদের নামে কয়েকটি মাদক মামলা রয়েছে।
এ বিষয়ে তদন্ত কর্মকর্তা শিকদার মতিয়ার রহমান বলেন, খবর পেয়ে এএসপি (সার্কেল) আশেক সুজা মামুন, থানার ভারপ্রাপ্ত ওসি (সার্বিক) রফিকুল ইসলাম সহ অতিরিক্ত পুলিশ ঘটনাস্থলে যান। পরে মাদক বিক্রেতার বাড়িতে অভিযান চালিয়ে তিনটি চাপাতিসহ লুৎফরের ছোট বউ রাবেয়া বেগমকে গ্রেফতার করা হয়েছে। শিকদার মতিয়ার বলেন, এ ঘটনায় পাঁচ সাত জনকে আসামী করে থানায় মামলা হয়েছে। গ্রেফতার রাবেয়াকে জেলহাজতে পাঠানো হয়েছে। অন্যন্য আসামীদের আটকের চেষ্টা চলছে।