মোড়েলগঞ্জ (বাগেরহাট) সংবাদদাতা: দালালের দৌরাত্ব ও ঘুষ-দুর্নীতি চরমে পৌছেছে বাগেরহাটের মোড়েলগঞ্জ উপজেলা সেটেলমেন্ট অফিসে। টাকা ছাড়া কোন কাজ হয় না এই অফিসে। কাগজপত্র ঠিক থাকার পরও দাবি করা হচ্ছে দলিল প্রতি নির্দিষ্ট পরিমাণ টাকা। দাবিকৃত অর্থ না দিলে বিভিন্ন অজুহাতে দিনের পর দিন ঘুরানো হচ্ছে ভূমি মালিকদের, এমন অভিযোগ ভূক্তভোগীদের। অনুসন্ধানে জানা গেছে, সেটেলমেন্ট অফিসের দালাল ছেলে কাইউম পেশকার কাম ক্যাশিয়ার, বাবা আউয়াল নামের দালালদের মাধ্যম অবৈধ টাকা লেনদেন করে থাকেন কর্মকর্তারা। কখনও দলিল প্রতি আবার কখনও শতক প্রতি চুক্তিতে টাকা দিতে হয় তাদের। বর্তমান উপজেলা সদর মোড়েলগঞ্জ মৌজার রেকর্ডের কাজ চলছে। এই মৌজার ভূমি মালিকরা সেটেলমেন্ট অফিসে গিয়ে প্রতিনিয়ত হয়রানীর শিকার হচ্ছেন। সেটেলমেন্ট অফিসের দালাল, ষ্টাফ থেকে শুরু করে চার দেওয়ালও নাকি টাকা দাবি করে। সেটেলমেন্ট অফিসে আসা জনৈক ব্যক্তি নাম না প্রকাশের শর্তে জানান, তার নামে ১১ শতক বসতবাড়ীর জায়গা রয়েছে। সব কাগজপত্র ঠিক থাকার পরও ছয় হাজার টাকা দাবি করা হয় তার কাছে। টাকা দিত না পারায় তাকে দিনের পর দিন ঘুরানো হচ্ছে। অপর একজন ভূমি মালিক জানান, তার পৈত্রিক সুত্রে পাওয়া বসতবাড়ীর সব কাগজপত্র ঠিক থাকার পরও ১০ হাজার টাকা দাবি করা হয়েছে। এছাড়ও আরও উপজেলার অসংখ্য ভূমি মালিক সেটেলমেন্ট অফিসে গিয়ে হয়রানীর শিকার হচ্ছেন। বাগেরহাটের মোড়েলগঞ্জ উপজলা সেটেলমেন্ট অফিসার হাবিবুর রহমানের কাছে ঘূষ-দূনীতি ও দালালদের ব্যাপার জানতে চাইলে তিনি বিষয়গুলো এড়িয়ে যান। এক পর্যায়ে অভিযোগগুলো কবুল করে নিলেও সংবাদটি না করার জন্য সাংবাদিকদের অনুরোধ করেন।