
সাতনদী অনলাইন ডেস্ক: মুজিব শতবর্ষে চিরঞ্জীব নেতা জাতির পিতা শেখ মুজিবুর রহমানের প্রতি ভালোবাসায় ও স্বাধীন বাংলাদেশের সুবর্ণজয়ন্তীর অনুষ্ঠানে যোগ দিতে দুই দিনের সফরে ঢাকায় পৌঁছেছেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি।
প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি একজন স্বাস্থ্য সচেতন মানুষ। খাবার নিয়ে বেশ কিছুটা নিয়ম পালন করেন তিনি। চলুন একনজরে দেখা যাক মোদির প্রিয় খাবারের তালিকা।
মোদি মূলত সবচেয়ে বেশি ভালোবাসেন খিচুড়ি খেতে। তার পছন্দের খাবারের তালিকায় সবচেয়ে ওপরে রয়েছে খিচুড়ি। গুজরাতি খিচুড়ির একটি বিশেষ ঘরানা রয়েছে। সেই ঘরানা খাবারের ক্ষেত্রে পছন্দ করেন মোদি।
সুযোগ পেলেই মোদি স্টাফ ক্যান্টিন থেকে খাবার খেতে ভালোবাসেন। তবে তার অর্ডার সবসময়ই হালকা নিরামিষ খাবার থাকে। ভেজ-থালি তার প্রিয় খাবারের ডিশ। শাক, ডাল ও একটি তরকারি সেই থালিতে অবশ্যই থাকতে হবে।
ফল জাতীয় খাবার সুযোগ পেলেই সংসদের স্টাফ ক্যান্টিন থেকে ফ্রুট সালাদ আনিয়ে খেয়ে নেন মোদি। ঘনিষ্ঠদের দাবি ফল খেতে প্রধানমন্ত্রী পছন্দ করেন। এতে ডায়েট ব্যালেন্স বহাল থাকে বলে তার বিশ্বাস।
নবরাত্রির সময় উপবাস পালন করেন মোদি। নবরাত্রির সময় টানা ৯ দিন উপবাস করেন মোদি। সেই সময় লেবুর জল ও পছন্দের শরবত খেতে তিনি পছন্দ করেন। তখন সন্ধ্যাবেলা শুধু এক কাপ চা খেয়ে নেন মোদি।
আর চার পাঁচজন গুজরাতির মতো ধোকলা খেতে খুবই পছন্দ করেন মোদি। তার সঙ্গে একটু টকজাতীয় রায়তা হলে তো কথাই নেই।
এ ছাড়া শ্রীখণ্ড বেসনের মিষ্টি বা শ্রীখণ্ড খেতে খুব ভালোবাসেন মোদি। ওখড়া খাড়ি নামের গুজরাতের এক বিশেষ মিষ্টি পদও প্রধানমন্ত্রীর খুব প্রিয়।
শুক্রবার (২৬ মার্চ) সকাল সাড়ে ১০টার দিকে শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে অবতরণ করে নরেন্দ্র মোদিকে বহনকারী বিমান।
এর আগে মোদি বাংলাদেশ সফর নিয়ে বলেন, মোদি বলেন, ‘করোনা মহামারির এই সময়ে এমন এক প্রতিবেশী বন্ধু দেশে সফর করতে পেরে আমি আনন্দিত, যার সঙ্গে ভারতের গভীর সাংস্কৃতিক, ভাষাগত এবং জনগণের সঙ্গে জনগণের সম্পর্ক বিদ্যমান।’
সাতক্ষীরা ও গোপালগঞ্জে মন্দির পরিদর্শনের কথা উল্লেখ করে মোদি বলেন, ‘সাতক্ষীরায় পৌরাণিক যশোরেশ্বরী মন্দিরে মা-কালীর প্রতিও পূজা দিতে চাই আমি। বিশেষ করে ওড়াকান্দিতে মতুয়া সম্প্রদায়ের সঙ্গেও মিথস্ক্রিয়া করতে চাই আমি, যেখানে শ্রী হরিচরণ ঠাকুর পবিত্র বাণী প্রচার করেছিলেন।’
ভারতের প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘গত ডিসেম্বরে ভার্চুয়াল বৈঠকের প্রেক্ষাপটে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে আমার বিশেষ আলাপ-আলোচনা হবে। পাশাপাশি রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ ও অন্য ব্যক্তিদের সঙ্গে আমার সাক্ষাৎ হবে।’
ভারতের প্রধানমন্ত্রী আরও বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার স্বাপ্নিক নেতৃত্বে তাৎপর্যপূর্ণ অর্থনৈতিক ও উন্নয়নমূলক অগ্রগতির জন্য বাংলাদেশকে সাধুবাদ জানানোয় আমার সফর সীমাবদ্ধ থাকবে না; এর সঙ্গে এই অর্জনে পাশে থাকার প্রতিশ্রুতিও থাকবে।’
এ সময় ভারতের প্রধানমন্ত্রী উল্লেখ করে বলেন, করোনাভাইরাস মোকাবিলায় বাংলাদেশকে সহযোগিতা ও সংহতির বার্তাও সফরে দেওয়া হবে।
উল্লেখ্য, স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী এবং বঙ্গবন্ধুর জন্মশতবার্ষিকীর পাশাপাশি বাংলাদেশ-ভারত বন্ধুত্বের ৫০ বছর পূর্তিতে মোদির এ সফর বিশেষ তাৎপর্য বহন করছে।