
নিজস্ব প্রতিবেদক: পাওনা টাকা চাওয়াকে কেন্দ্র করে মিথ্যা মামলা দিয়ে প্রতিপক্ষকে ফাঁসানোর অভিযোগ উঠেছে। ঘটনাটি চলতি মাসের ২০ তারিখে কালিগঞ্জে ঘটে। ভুক্তভোগীদের অভিযোগ উষ্কানি দিয়ে ছোট একটি ঝগড়াকে কুরুক্ষেত্র বানিয়ে নাটক মঞ্চস্থ করে বিবাদীদের হয়রানি করার অভিযোগ উঠেছে। এ ঘটনায় রহিমা খাতুন বাদী হয়ে ‘কালিগঞ্জ থানার বাজারগ্রাম রহিমপুরের মৃত বাবর আলীর ছেলে আজমির গাজী ও তার স্ত্রী রজিনা বেগম, জাহানারা বেগম, লাকী বেগম, হালিমা খাতুন, টুম্পা খাতুন, সহ অজ্ঞাত আরও ২ থেকে ৩ জনকে আসামী করে ১৪৩, ৪৪৭, ৪৪৮, ৩২৫, ৩২৬, ৩০৭, ৩৮০, ৪২৭, ৫০৬(২), ১১৪, ৩৪, ও পেনাল কোড ১৮৬০ ধারা উল্লেখ করে জি.আর ৮২/২২ কালিগঞ্জ, একটি মামলা দায়ের করা হয়েছে, কালিগঞ্জ থানায় যার নং-৩০, তারিখ ২৪মার্চ,২০২২খ্রীঃ।
সরজমিনে কথিত হামলার শিকার ও আহত রহিমা খাতুনের সাথে কথা বলতে সাতক্ষীরা সদর হাসপাতেল গিয়ে প্রথমে তাকে পাওয়া যায়নি। তিনি এসময় ঘুরতে বের হয়েছিলেন। প্রতিবেদকের উপস্থিতির সংবাদ পেয়ে তিনি তড়িঘড়ি করে এসে বেডে শুয়ে পড়েন। এজাহারে তিনি উল্লেখ করেন আসামীরা ধারালো দা দিয়ে রহিমার মাথায় ও ডান হাতে হাড় কাটা জখম করে ও বাম হাত ভেঙে দেয়। সরজমিনে যার সত্যতা পাওয়া যায়নি। এজাহারে রহিমা আরও উল্লেখ করে ‘তাকে বাঁচাতে গেলে তার ছেলে মেহেদী হাসানকেও মারপিট করে আসামীরা। তখন রশি দিয়ে রহিমার ছেলে মেহেদী হাসানের শ্বাসরোধের চেষ্টা করে আসামীরা।’ কিন্ত রহিমা ও তার ছেলে সদর হাসপাতালে প্রতিবেদকের কাছে দাবী করেন হামলার সময় বাড়িতে রহিমা ব্যাতিত বাড়িতে আর কেউ ছিলোনা। এদিকে তার এক্সরে সহ অন্যান্য রিপোর্ট চাইলে তিনি দেখাতে পারেননি। রহিমার এজাহার ও সদর হাসপাতালে অবস্থান করা কালীন বক্তব্যে কোন মিল পাওয়া যায়নি। তিনি সম্পূর্ন সুস্থ্য ছিলেন।
আসামীদের পক্ষ থেকে বলা হয় তাদের একটি মুদি দোকান ছিলো। মুদি দোকানের ধার-বাকির টাকা চাইতে গেলে তাদের ওপর হামলা করে উল্টো মামলা দেওয়া হয়। অন্যদিকে বাদী মহিলা মেম্বার পদে নির্বাচন করেন। কিন্তু তাকে আসামীরা সমর্থন না করায় তাদের মিথ্যা মামলা দিয়ে ফাঁসানো হয়েছে। বাদী সুস্থ্য থাকলেও মামলায় জোর বাড়ানোর জন্য দফায় দফায় হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন।