রাশেদ আলী, যশোর থেকে: যশোর সদর উপজেলার দোগাছিয়া গ্রামে মা আকলিমা বেগমকে হত্যার কথা স্বীকার করে আদালতে জবানবন্দি দিয়েছে পাষন্ড মেয়ে রুমা খাতুন। পরিবারিক কলহের জের ধরে ছুড়ে মারা ইটের আঘাতে মায়ের মৃত্যু হয়েছে বলে জানিয়েছে রুমা খাতুন। রোববার সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট শম্পা বসু আসামির এ জবানবন্দি গ্রহণ শেষে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দিয়েছেন। রুমা খাতুন নিহত আকলিমা বেগম ও শাহাজাহান আলীর মেয়ে। রোববার এ ঘটনায় নিহত আকলিমার স্বামী শাহাজাহান আলী বাদী হয়ে মেয়ের বিরুদ্ধে কোতয়ালি থানায় হত্যা মামলা করেছিলেন।
রুমা খাতুন জানিয়েছে, দুই সন্তান নিয়ে পিতার বসবাস করে রুমা খাতুন। ২৪ ডিসেম্বর দুপুরে মা-মেয়ের মধ্যে পারিবারিক বিষয় নিয়ে বাকবিতন্ডা হয়। একপর্যায়ে মা-মেয়ে চুল ধরে টানাটানি শুরু করে। এরমেধ্যে রুমা টিউবওয়েলের পাশে পড়ে থাকা এক টুকরা ইট উঠিয়ে মায়ের দিকে ছুড়ে মারে। মা আকলিমা খাতুনের ঘাড়ে লেগে মাটিতে পড়ে মারা যায় বলে জানিয়েছে।
রুমা খাতুনকে পারিাবারিক ভাবে বেশ কয়েক জনের সাথে বিয়ে দেয়া হয়েছিল। এক পক্ষের একটি মেয়ে নিয়ে পিতার বাড়িতে থাকত রুমা। সবশেষ রুমাকে খামার বাগডাঙ্গা গ্রামে বিয়ে দেয়া হয়। বিয়ের পর থেকে রুমা পিতার বাড়িতে বসবাস করত। এ পক্ষে তার একটি পুত্র সন্তান আছে। পারিবারিক বিষয় নিয়ে প্রায় তার মায়ের সাথে ঝগড়া হত। পরে পারিবারিক ভাবে তা মীমাংসা করে দেয়া হত। ২৪ ডিসেম্বর দুপুরে ঝগড়ার এক পর্যায়ে রুমা ইট ছুড়ে মারলে আকলিমার ঘাড়ে লেগে ঘটনাস্থলে মারা যায়। আকলিমা বেগমকে হত্যার অভিযোগে স্বামী শাহাজাহান আলী বাদী হয়ে মেয়ে রুমা খাতুনকে আসামি করে কোতয়ালি থানায় একটি হত্যা মামলা করেন। পুলিশ অভিযোগের ভিত্তিতে দোগাছিয়া বাজার একলার এক আত্মীয়ের বাড়ি থেকে দুপুরে রুমা খাতুনকে আটক করে পুলিশ। মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা রুমাকে আদালতে সোপর্দ করলে মাকে হত্যার কথা স্বীকার করে আদালতে জবানবন্দি দিয়েছেন।
মায়ের হত্যার কথা স্বীকার করে যশোর আদালতে জবানবন্দি মেয়ের
পূর্ববর্তী পোস্ট