
স্টাফ রিপোর্টার: সাতক্ষীরা সদর উপজেলার মাটিয়াডাঙ্গায় এবিএম শাহ আলমের বিরুদ্ধে জাল দলিল করে প্রতারণার মাধ্যমে জমি দখল চেষ্টাসহ বিভিন্ন মানুষকে হয়রাণী ও সুদে টাকা ধার দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে। এলাকার মানুষের কাছে চিহ্নিত প্রতারক হিসেবে পরিচিত। এসব অপকর্মের প্রতিবাদ করলে সাধারণ মানুষের নামে মিথ্যা মামলা দিয়ে হয়রাণী ও সম্মানিত ব্যক্তিদের সম্মানহানী করছে বলে অভিযোগ রয়েছে। তার এসব অপকর্ম থেকে রক্ষা পেতে জেলা পুলিশ সুপারের আশু হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন এলাকাবাসী।এব্যাপারে মাটিয়াডাঙ্গা গ্রামের তৈয়েবুর রহমান বলেন, শাহ আলম আমাদের সাথে প্রাইমারীতে পড়তো। এসএসসি পরীক্ষায় ফলাফলে আমরা তার রোল নম্বর খুজে পাইনি। পরে শুনলাম পাশ করেছে। বর্তমানে সে এলাকায় সাধারণ মানুষদের নানাভাবে প্রতারণা করে যাচ্ছে। তার এসব কর্মকান্ডের কারণে প্রথম স্ত্রী তাকে ডিভোর্স দেয়। স্থানীয় মুজিবুর রহমান বলেন, আলিমুদ্দি শাহ আলমের নিকট থেকে জমি দেওয়ার জন্য থেকে ১ লক্ষ ২৫ হাজার টাকা নেয়। জমি দিতে দেরি করার কারণে অতিরিক্ত ২৫ কাটার মতো জমি লিখে নেয় বলে অভিযোগ রয়েছে। এছাড়াও আগে দরিদ্র মানুষদের কাছে সুদে টাকা দিতো। সাতক্ষীরা সদর উপজেলা আওয়ামীলীগের ত্রাণ ও সমাজ কল্যাণ বিষয়ক সম্পাদক রোখসানা পারভীন জানান, এবিএম শাহ আলম এলাকায় বুয়েটের ইঞ্জিনিয়ার পরিচয় দিয়ে প্রতারণা করে যাচ্ছে। তার খালাতো ভাই খুরশিদ আলম শিমুমের ইন্ধনে জাল দলিল তৈরি করে মাটিয়াডাঙ্গায় আমার পিতার জমি দখল করার চেষ্টা করে এবং আমার ভাই আজাদ হোসেন বিল্লালকে ব্যাপক মারধর করে। পরে থানায় ১৫ হাজার টাকা জরিমানা দিয়ে মোচলেকা দেয়। পুলিশের সহায়তায় আমাদের জমি দখল করতে পারিনি। সম্প্রতি আলিমুদ্দি নামে একজনের সম্পত্তি দখলের পায়তারা করছে বলেও জানান তিনি। পুর্ব শত্রুতার জের ধরে সম্প্রতি আমার ভাই হাবিবুর রহমান ও মিজানুর রহমান এবং ওমর ফারুক, মোকলেছুর রহমান, সোহাগ (৪৮) এর নামে একটি মিথ্যা মামলায় জড়িয়ে হয়রাণীর চেষ্টা করছে।