স্বাস্থ্য ডেস্ক: মাথা আমাদের দেহের অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ অঙ্গ। আমাদের মস্তিষ্ক হাড়ের গোলাকৃতি করোটির মধ্যে সুরক্ষিত অবস্থায় থাকে। মস্তিষ্ক যাতে হাড়ের করোটির সঙ্গে ঘর্ষণ বা সরাসরি ধাক্কা না খায় সেজন্য মেনিনজেস নামক পর্দা ও সেরোব্রেস্পাইনাল ফ্লুইড দিয়ে সুসজ্জিত থাকে। মস্তিষ্কে যে কোনো ধরনের আঘাত দেহের কাজকর্মে বিশৃঙ্খলার কারণ হয়ে দাঁড়াতে পারে। মস্তিষ্কের তিনটি অংশ যথা ১. সরু মস্তিষ্ক ২. লঘু মস্তিষ্ক এবং ৩. মেরুদন্ডের সঙ্গে সংযুক্ত মসিতকষ্কের পৃষ্ঠভাগ। আমাদের দেখা, শোনা, স্বাদ, গন্ধ, স্পর্শ, স্মৃতি, কথা বলা, বিচারশক্তি, আবেগ, ক্রোধ, ভালোবাসা সবকিছুই এ মস্তিষ্কের দ্বারা পরিচালিত হয়। তাই মস্তিষ্কে আঘাত পেলে বিভিন্ন ধরনের ক্ষতির আশঙ্কা থাকে। যেমন মাথার আঘাত যদি ধারালো কোনো কিছুর দ্বারা হয় বা আঘাত যদি মাথায় হয় তাহলে মস্তিষ্কে রক্তক্ষরণ হতে পারে এবং এর জন্য আহত ব্যক্তির মৃত্যু হতে পারে। প্রচ- আঘাতের ফলে মস্তিষ্কের স্মৃতি কেন্দ্রে সমস্যা দেখা দিতে পারে। এর ফলে আঘাতপ্রাপ্ত ব্যক্তি অস্থায়ী বা স্থায়ীভাবে স্মৃতিশক্তি হারিয়ে ফেলতে পারে। কেউ কেউ প্রচ- আঘাতের দরুন এক গভীর অচেতনতার মধ্যে কাটিয়ে দেয় বেশ কিছু দিন। মাথায় আঘাত পেলে শরীরের অন্য অঙ্গপ্রত্যঙ্গও পঙ্গু হয়ে যাওয়ার ভয় থাকে। অনেক সময় এফেসিয়া নামক এক ধরনের রোগ দেখা যায়, যেখানে রোগী তার বিচারশক্তি ও অভিব্যক্তির মধ্যে সঙ্গতি রক্ষা করতে পারেন। আঘাতের দরুন মস্তিষ্কের রাসায়নিক ক্রিয়া-বিক্রিয়ার মধ্যে গোলযোগ দেখা দিতে পারে এবং এর ফলে পারকিনসন্স ডিজিজ নামে একরকম রোগ দেখা যায়। এ ছাড়া মস্তিষ্কের স্নায়ুতন্ত্রগুলো ক্ষতিগ্রস্ত হলে ধমনিসংক্রান্ত বিভিন্ন রোগের উপসর্গ দেখা যায়।
মস্তিষ্কে আঘাত পেলে করনীয়
পূর্ববর্তী পোস্ট