
রাশেদ আলী: মনিরামপুরে মাছের ঘের থেকে বিল্লাল হোসেন (৪৪) নামের এক মুদি দোকানির ভাসমান লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ। ১৯ মার্চ শনিবার বিকেল ৫ টার দিকে উপজেলার লহ্মণপুর গ্রামের উজ্জ্বলের ঘেরে লাশটি দেখতে পায় তার স্ত্রী। পরে পুলিশের খবর দেন। পুলিশ ঘেরের পাড়ের পড়ে থাকা বিল্লালের ব্যবহৃত মোবাইল ফোনটি উদ্ধার করেছে। বিল্লাল হোসেন লহ্মণপুর গ্রামের আব্দুল সরদারের ছেলে। তিনি চার কন্যার জনক। স্থানীয় নেংগুড়াহাট বাজারে তাঁর মুদি দোকান রয়েছে।
পুলিশসহ স্থানীয়রা জানান, সুদের ঋণের বেড়াজালে জড়িয়ে পড়েন বিল্লাল। এ নিয়ে স্ত্রী আমেনা খাতুনের সাথে তাঁর প্রায় ঝগড়া হতো। শুক্রবার বিকেলে স্ত্রীর সাথে ফের ঝগড়া হয় বিল্লালের। এরপর তিনি দোকানে চলে যান। রাতে সেখান থেকে আর বাড়ি ফেরেননি। পরে খোঁজাখুঁজির এক পর্যায়ে শনিবার বিকেলে ৫ টার দিকে বাড়ি থেকে এক কিলোমিটার দ‚রে উজ্জ্বলের ঘেরে স্বামীর ভাসমান লাশ দেখতে পান তার স্ত্রী আমেনা।
স্থানীয়দের ধারণা বিষপানে বিল্লাল আত্মহত্যা করেছেন। বিষ খাওয়ার পর তিনি ঘেরের পাড়ে বমি করেন। সে বমি খেয়ে একটি শালিখ পাখি মারা গেছে। ঘেরের পাড়ে পাখিটিকে মৃত পড়ে থাকতে দেখা গেছে। এ বিষয়ে স্থানীয় মেম্বর হারুন বলেন, সুদের দেনায় দায়গ্রস্থ হয়ে যাওয়ায় বিল্লাল আতœহত্যা করেছে বলে ধারনা করা হচ্ছে। বিল্লালের স্ত্রী আমেনা খাতুন জানায়, অনেকদিন ধরে তার মন মিজাজ খারাপ। প্রায় আমার সাথে ঝগড়া করতো। শুক্রবার বিকেলে আমার সাথে ঝগড়া করে দোকানে যায়। আর বাড়ি না ফেরায় আমি খুজাখুজি করতে থাকি। এক পর্যায় ঘেরের পাড় দিয়ে যাওয়ার সময় তার মোবাইল ফেলানো পায়। পরে পাড়ে নীচে চোখ যেতেই দেখি স্বামীর লাশ পানিতে ভাসছে। তখনি আমি হইচই করলে পাশের লোকজন ছুটে আসে। আমার মনে হচ্ছে স্বামী দেনার দায়ে বিষ পানে আতœহত্যা করেছে।
এদিকে রাজগঞ্জ তদন্ত কেন্দ্রের উপ পরিদর্শক (এসআই) লিটন মিয়া শনিবার সন্ধ্যায় ঘটনাস্থল থেকে মোবাইল ফোনে বলেন, স্থানীয়দের ভাষ্য অনুযায়ী প্রাথমিক ধারণা করা হচ্ছে ঋণের দায়ে ও স্ত্রীর সাথে অভিমান করে কিছু একটা ঘটেছে। ময়নাতদন্ত ছাড়া বিস্তারিত বলা যাচ্ছে না। এ বিষয়ে ইনসপেক্টর বানী ইসরাইল বলেন, লাশটি ময়না তদন্তের জন্য মর্গে প্রেরণ করা হয়েছে।