নিজস্ব প্রতিবেদক, মণিরামপুর: তবুও থেমে নেই আজব আলী মেম্বার ও পরিবারের সদস্যদের হুমকি ও সম্মানহানিকর মন্তব্য। গত কয়েক দিন ধরে মণিরামপুর উপজেলার মশ্মিমনগর ইউনিয়নের ১ নং ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য আজব আলীর অনিয়ম দূর্নীতির তথ্য গ্রামের কন্ঠ পত্রিকা ও অনলাইনে পেজে ভিডিও বক্তব্য প্রচার হলে গাত্রদাহ শুরু হয় পরিবারের সদস্য ও মেম্বার আজব আলীর। আজব আলী ও তার প্রবাসী সন্তান মেহেদী হাসান রনি, শুরু করেন দৈনিক গ্রামের কন্ঠ পত্রিকা ও প্রতিনিধি সহ স্থানীয় ভুক্তভোগীদের বিরুদ্ধে ভয়ভীতি প্রদর্শন সহ মামলার হুমকি। হুমকি সহ মানহানিকর বক্তব্যের কারণে আবারও গত ১০ মে গ্রামের কন্ঠ পত্রিকার বিরুদ্ধে এবং প্রতিনিধিকে নিয়ে সম্মান নষ্ট করে ফেসবুক লাইভে এসে এবং বিভিন্ন পোস্টে কুরুচিপূর্ণ মন্তব্যের বিষয় সংবাদ প্রাচার করে পত্রিকাটি। এরপরও থেমে নেই তাদের ক্ষমতা অপব্যবহারে। পরপর নিউজ প্রকাশের পর সোস্যাল মিডিয়ায় দেখা মেলে বাংলাদেশ হেল্পিং সোসাইটি সাইপ্রাস নামে একটি গ্রুপে আজব আলী মেম্বরের প্রবাসী সন্তান মেহেদী হাসান রানিকে ধরিয়ে দিন মর্মে দুইটা পোস্ট। যেখানে উলেখ্য মেহেদী হাসান রনি সাইপ্রাস থেকে ১২ লক্ষ টাকা ও অন্য একটি পোস্টে কোটি টাকা নিয়ে পালিয়েছে সাইপ্রাস থেকে। এছাড়াও মেহেদী হাসান রনি ফেসবুক লাইভে এসে তার মাসিক ইনকাম ২০ লক্ষ টাকা উল্লেখ করে বলেন তার বাবা আজব আলীকে প্রতিমাসে একলক্ষ টাকা হাত খরচের জন্য দেন। স্থানীয় এক ভুক্তভোগীর প্রশ্নের জবাবে মেহেদী হাসান রনি বাড়ী করার বিষয় নিয়ে তার আয়ের বিবরণ এভাবে ফেসবুক লাইভে এসে বলেন। এছাড়াও মেহেদী হাসান রনির নিজ ফেসবুক আইডি থেকে বাংলাদেশ মুক্তিযোদ্ধা সন্তান সংসদ নামে অশ্লীল ভাষায় গালিগালাজ ও দেখে নেওয়ার কথা উল্লেখ করে বীর মুক্তিযোদ্ধার সন্তানকে গালিগালাজ করেন। যা সকল মুক্তিযোদ্ধার সন্তানদের সম্মান নষ্ট হয়েছে বলে দাবী করেন ১ নং ওয়ার্ডেও পরাজিত মেম্বর বীর মুক্তিযোদ্ধার সন্তান তাজউদ্দীন আহম্মেদ ভুট্টো। তিনি এ প্রতিবেদককে জানান, তাদেরকে সম্মান বলতে কিছু নাই যে কারনে তারা কাউকে সম্মান দেন না। আমাদের ওয়ার্ড বাসীর সম্মান আছে যে কারনে আমরা আজব আলী ও তার সন্তানদের অনিয়ম দূর্নীতির বিরুদ্ধে কথা বলি না। তবে তাদের সীমাহিন আচার-আচরণ অতিষ্ঠ করে তুলেছেন বলে জানান ভুক্তভোগীরা। স্থানীয়দের দাবী আজব আলীর নির্বাচনী আয় ব্যায়ের সঠিক তথ্য গোপন করে নির্বাচনে জয়লাভ করেন। একজন ইউপি সদস নির্বাচনে যে পরিমান অর্থ ব্যয়ের কথা রয়েছে আজব আলী মেম্বার তার দশগুন বেশী টাকা ব্যায় করেছেন বলে ধারণা তাদের। প্রশাসনের সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা আজব আলীর অনিয়ম দূর্নীতির বিরুদ্ধে সরেজমিনে তদন্ত সাপেক্ষ আইন ব্যাবস্থা গ্রহনের জন্য বিশেষ অনুরোধ করেন।