নিজস্ব প্রতিবেদক: পিতার নামে ভুয়া মুক্তিযোদ্ধা সনদ তৈরি করে সরকারী চাকরি করছেন তালা উপজেলার কৃষ্ণনগর গ্রামের মৃত: লতিত মোহন সাহার দুই পুত্র প্রতাপ কুমার সাহা ও বীরেন্দ্রনাথ সাহা। বিষয়টি জানাজানি হওয়ার পর বর্তমানে তাদের পিতার নামে মুক্তিযোদ্ধা গেজেট প্রকাশের জন্য দোড়ঝাপ শুরু করেছে তারা।
ঘটনার বিবরণে জানা যায়, তালা উপজেলার কৃষ্ণনগর গ্রামের লতিত মোহন সাহার নামীয় একটি মুক্তিযোদ্ধা সনদ দিয়ে ২০০৮ সালের সহকারী শিক্ষক নিয়োগে বীরেন্দ্রনাথ সাহা ও ২০০৯ সালের সহকারী শিক্ষক নিয়োগে প্রতাপ কুমার সাহা চাকুরি লাভ করেন। পিতা মুক্তিযোদ্ধা তার সমর্থনে তাহারা গত ১৯/০৪/২০০৩ তারিখের মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের মুবিম/সা/খুলনা/প্র-৩/৪৫/২০০২/৩৯০ নং স্মারকে একটি মুক্তিযোদ্ধার সাময়িক সনদপত্র দাখিল করে । যার নম্বর ১৪৮৬০। কিন্তু পরবর্তীতে মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের ওয়েবসাইট থেকে জানা যায় ১৪৮৬০ নম্বরের মুক্তিযোদ্ধা খুলনা সদরের ইয়াকুব আলীর পুত্র তারেক সৈয়দ আলী হাসানের নামে নিবন্ধিত রয়েছে।
মুক্তিযোদ্ধা কোটায় সরকারী চাকরিতে প্রবেশের ক্ষেত্রে প্রয়োজনীয় কাগজপত্র হিসাবে ভারতীয় তালিকা, লাল মুক্তিবার্তা, গেজেটে অর্ন্তভুক্তি বা উহার নম্বর, প্রকৃত সাময়িক সনদ, কেন্দ্রীয় মুক্তিঙেযাদ্ধা কমান্ডারের সনদ থাকার কথা থাকলেও এসব কোন কাগজপত্র তারা দাখিল করতে ব্যর্থ হয়। ফলে প্রশ্ন উঠেছে তাদের বাবা আদৌ মুক্তিযোদ্ধা ছিলেন কিনা?
ধানদিয়া ইউনিয়ন মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার বীর মুক্তিযোদ্ধা তবিবুর রহমান সহ একাধিক মুক্তিযোদ্ধা জানান, মৃত ললিত মোহন সাহা আদৌ মুক্তিযোদ্ধা ছিলেন না।
মুক্তিযোদ্ধা সনদ জালিয়াতি করে চাকরিতে প্রবেশ করায় মৃত ললিত মোহন সাহার দুই পুত্র বীরেন্দ্র সাহা ও প্রতাপ সাহার সরকারি চাকরি বাতিলের জন্য জোর দাবী জানিয়েছে এলাকার সচেতন মহল।
ভূয়া মুক্তিযোদ্ধা সনদে চাকরি করছে তালার প্রতাপ-বীরেন্দ্র
পূর্ববর্তী পোস্ট