
আব্দুর রশিদ: সাতক্ষীরা সদরের বৈকারী ইউনিয়নে আওয়ামী লীগ মনোনীত নৌকা প্রতিকের চেয়ারম্যান প্রার্থী মো. আসাদুজ্জামান অসলে’র কর্মী-সমর্থকদের উপর সন্ত্রাসী হামলার ঘটনা ঘটেছে। এসময় জামাত-শিবিরের সন্ত্রাসীদের অতর্কিত হামলায় আওয়ামী লীগের ১০ কর্মী-সমর্থক আহত হয়েছে বলে দাবি করা হয়। বুধবার (২৮ অক্টোবর) বিকাল ৫টার দিকে বৈকারী ইউনিয়নের কয়ারপাড়া নামকস্থানে এই সন্ত্রাসী হামলার ঘটনা ঘটে।
সূত্রে জানা যায়, বৈকারী বিজিবি ক্যাম্পের পাশে নৌকা প্রতিকের চেয়ারম্যান প্রার্থী মো. আসাদুজ্জামান অসলে’র নির্বাচনী পথসভার কর্মসূচিতে যোগদানের জন্য নৌকার কর্মী-সমর্থকরা মোটরসাইকেল যোগে কাথন্ডা বাজার থেকে কয়ারপাড়ায় পৌছালে পূর্ব পরিকল্পিত ভাবে ওৎপেতে থাকা অপর দিক থেকে পিকআপে করে আসা স্বতন্ত্রপ্রার্থী ও জামাতের আমির জালাল উদ্দীন এবং বিদ্রোহী প্রার্থী মোস্তফার (তরুণলীগ) নেতৃত্বে এলাকার চিহ্নিত রাজাকার যুদ্ধাপরাধী মামলার আসামী জহুরুল ইসলাম টিক্কা খানের ভাগ্নে হাসানুজ্জামান ওরফে মেঝ খোকাসহ ভাড়াটিয়া সন্ত্রাসীরা লোহার রড, হাতুড়ি, জিআই পাইপ, রাম দা সহ দেশীয় ধারালো অস্ত্র নিয়ে এ হামলা চালায়।
এসময় বৈকারী ইউপি চেয়ারম্যান আসাদুজ্জামান অসলের বড় ছেলে সদর উপজেলা যুবলীগের নেতা ইনজামামুল হক ইনজা, ছোট ছেলে হৃদয়, দলীয় কর্মী লাল মোহন সরকার, ইয়াছিন আলী, হাসিবুল ইসলাম সেলিম সহ ১০ নেতাকর্মী গুরুতর আহত হয়। আহতদের স্থানীয় লোকজন উদ্ধার করে সাতক্ষীরা সদর হাসপাতালসহ বিভিন্ন বেসরকারি হাসপাতাল ও ক্লিনিকে ভর্তি করে। একই সময় ঘটনাস্থলের সন্নিকটে অবস্থানরত সাতক্ষীরা গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি) সদস্যরা খবর পেয়ে তাৎক্ষনিক ঘটনাস্থলে পৌছে জামাত-শিবিরের সন্ত্রাসীদের ধাওয়া দিলে সন্ত্রাসীরা দৌড়ে পালিয়ে যায়।
আওয়ামী লীগের চেয়ারম্যান প্রার্থী আসাদুজ্জামান অসলে জানান, কয়ারপাড়ায় তার কর্মী-সমর্থকদের উপর সন্ত্রাসী হামলা চালানোর আধাঘন্টা পরে বৈকারীতে তার বাড়িতেও হামলা ও ভাংচুর চালানো হয়েছে। তিনি বলেন, সন্ত্রাসী মুনছুর, শিমুল, শাহিন ও ভুট্টোর নেতৃত্বে আমার বাড়িতে দ্বিতীয় দফায় সন্ত্রাসী হামলা চালানো হয়েছে। আমি উক্ত ঘটনায় জড়িত সন্ত্রাসীদের দ্রæত আইনের আওতায় এনে গ্রেফতার পূর্বব দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দাবী করছি। এ ঘটনায় এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত সাতক্ষীরা সদর থানায় মামলার প্রস্তুতি চলছিল।
অন্যদিকে মোটরসাইকেল প্রতীকের চেয়ারম্যান প্রার্থী আবু মো. মোস্তফা কামাল বলেন, সকালে আমার নেতাকর্মীদের পিটিয়ে আহত করা হয়েছে। বিকালে প্রতিক পাওয়ার পর সাতক্ষীরা থেকে আমি সহ আমার কর্মীদের নিয়ে এলাকায় যাওয়ার জন্য মোটরসাইকেল নিয়ে যাচ্ছিলাম। এ সময় নৌকার প্রার্থীর ছেলে সহ সস্ত্রাসী বাহিনী নিয়ে আমাদের উপরে অতর্কিত ভাবে হামলা চালায়। এসময় আমার ২ জন কর্মী গুরুতর আহত সহ ৭ জন আহত হন।