
নিজস্ব প্রতিবেদক, আশাশুনি: আশাশুনি উপজেলার প্রাণকেন্দ্র বুধহাটা বাজারের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে দেওয়া হয়েছে বণিক কমিটির নিজস্ব ব্যবস্থাপনায় নিরাপত্তা প্রহরী। কিন্তু এত নিরাপত্তা থাকা স্বত্তেও ঘটছে চুরির মত ঘটনা। আর এতে মারাত্বক ভাবে ক্ষতি গ্রস্থ হচ্ছে ব্যবসায়ীরা। বুধহাটা বাজারের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে প্রতি মাসে দোকান প্রতি দিতে হয় ২৫০ টাকা অথবা নির্দিষ্ট রাতে নিজেদের দিতে হয় বাজার পাহারা। এদিকে বুধহাটা বাজারসহ আশ পাশের ইউনিয়নের মানুষের শতভাগ নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে বুধহাটা বাজারে স্থাপন করা হয়েছে পুলিশ ক্যাম্প (তদন্ত কেন্দ্র)। বাজারে এত নিরাপত্তা থাকা স্বত্তেও সংঘবদ্ধ চোরের দলের হাত থেকে রক্ষা পাচ্ছেন না বাজারের দোকানীরা। ইতি পূর্বে বাজারের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে বাজারের বিভিন্ন পয়েন্টে সিসি ক্যামেরা বসানো হলেও রক্ষনাবেক্ষনের অভাবে অকেজো হয়ে পড়ে আছে সে সকল ক্যামেরা ও যন্ত্রাংশ। জানাগেছে রবিবার রাত ১০টার দিকে প্রতিদিনের ন্যায় কুল্যা গ্রামের মৃত মতলেব সরদারের ছেলে মোঃ রাজা সরদার তার মুদি দোকান তালা বন্দ করে বাড়ি চলে যান। সকালে এসে তার রাজা ষ্টোর নামক দোকানের তালা খুলে দেখেন দোকানের চালের টিন কেটে কে বা কারা ড্রয়ারে রক্ষিত নগদ অর্থ, সিগারেট, মোবাইল রিচার্জ কার্ড, ও মূল্যবান মালামাল নিয়ে যায়। যার অনুমানিক মূল্য ৫০/৬০ হাজার টাকা। ভুক্তভোগী রাজা সরদার জানান এই বার দিয়ে তার দোকানে ৪বার চুরি সংগঠিত হলো। তবে বিগত দিনের চুরির ঘটনায় এখনও পর্যন্ত কোন চোরকে সনাক্ত করতে পারেননি সংশ্লিষ্ট প্রশাসন। অন্যদিকে রাতে বুধহাটা বাজার সহ আশপাশ এলাকায় সন্দেহ জনক অসংখ্য মানুষ বেকার ঘোরাঘুরি করলেও তাদেরকে পুলিশি তল্লাশি ও জিজ্ঞাসাবাদ না করায় এমন ঘটনার জন্ম হয়েছে বলে ধারণা করছেন স্থানীয়রা। রাতে বাজারের চুরির ঘটনার বিষয়ে জানতে চাইলে বুধহাটা বাজার বণিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক ফারুক ঢালী সাতনদীকে বলেন, এটা দুঃখ জনক ঘটনা। তবে বাজারের নিরাপত্তা ব্যবস্থার কোন ঘাটতি ছিলো না। তবে এ ঘটনার সাথে জড়িতদের মুখোশ অতি দ্রæত উন্মোচন করা হবে বলে জানিয়েছেন বাজার বণিক সমিতি। চুরির ঘটনায় মামলা বা অভিযোগ দায়েরের বিষয়ে জানতে চাইলে ভুক্তভোগী রাজা সরদার সাতনদীকে জানান, বিগত দিনের চুরির ঘটনায় সংশ্লিষ্ট প্রশাসন চোর সনাক্তে ব্যর্থ হওয়ায় এ ঘটনাটি আর থানা পুলিশকে অবহিত করা হয়নি। তবে দোকানে রেখে যাওয়া চোরের হাতের ফিঙ্গার প্রিন্ট ও পায়ের জুতার ছাপ পরীক্ষায় পাঠানোর প্রস্তুতি চলছিলো বলে জানাগেছে।