ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে(ঢাবি) অনলাইনে ভর্তি পরীক্ষা না নেওয়ার বিষয়ে মতামত দিয়েছেন অনুষদের ডিনরা।
গতকাল মঙ্গলবার সকালে ভর্তি পরীক্ষা নিয়ে প‚র্ব নির্ধারিত ডিনস মিটিংয়ে এ বিষয়ে আলোচনা হয়। প্রত্যেকটি অনুষদের ডিনরা অনলাইন মাধ্যমে ভর্তি পরীক্ষা না নেওয়ার বিষয়ে মতামত দিয়েছেন। পরিবর্তে স্বাস্থ্যবিধি মেনে দেশের বিভাগভিত্তিক পরীক্ষা নেওয়ার কথা জানান তারা। ডিনরা মনে করছেন, এভাবে পরীক্ষা হলে শিক্ষার্থীদের ঢাকা আসার প্রয়োজন নাও হতে পারে। এসব তথ্য নিশ্চিত করেছেন সামাজিক বিজ্ঞান অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড. সাদেকা হালিম।
ডিনস কমিটির মিটিংয়ে সভাপতিত্ব করেন উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. আখতারুজ্জামান। মিটিংয়ে সব অনুষদের ডিনরা উপস্থিত ছিলেন। তারা ভর্তি পরীক্ষা অনলাইনে না নেওয়ার পক্ষে যে মতামত দিয়েছেন সে বিষয়ে পরবর্তীতে বিশ্ববিদ্যালয় অ্যাকাডেমিক সভায় চ‚ড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।
সামাজিক বিজ্ঞান অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড. সাদেকা হালিম বলেন, ‘আমরা ভর্তি পরীক্ষা নেবো। ডিনস কমিটির মিটিংয়ে সব ডিন এ মতামত দিয়েছেন। ডিসেম্বরের পরে এইচএসসি’র ফলাফল হলে করোনা পরিস্থিতি বিবেচনা করেই ভর্তি পরীক্ষা নেওয়া হবে। অনলাইনে পরীক্ষা নেওয়ার বিষয়ে কোনও ডিনই মতামত দেননি। তাই অনলাইনে পরীক্ষা না নিয়ে আমরা বরাবরের মতো ভর্তি পরীক্ষা নেব। আমরা এসএসসি এবং এইচএসসি’র ফলাফল দেখে কী পরিমাণ নেওয়া হবে, তা আরও মিটিং করে ঠিক করব।’
তিনি আরও জানান, ‘ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কোয়ালিটি ঠিক রেখে এবং স্বাস্থ্যবিধি মেনে আমরা হয়তোবা বিভাগভিত্তিক হিসেবে পরীক্ষা নেবো। যেমন—যারা খুলনা থেকে আসতে চায়, সে বিভাগেই তাদের পরীক্ষা নেবো। যাতে ঢাকায় আসতে না হয়।’
প্রসঙ্গত, ম‚ল্যায়নের মাধ্যমে এইচএসসি’র রেজাল্ট হলেও এবার পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে ভর্তি পরীক্ষা নেওয়ার বিষয়ে নীতিগত সিদ্ধান্ত নিয়েছেন বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর উপাচার্যরা। উপাচার্যদের সংগঠন বিশ্ববিদ্যালয় পরিষদের সভায় গত শনিবার এ বিষয়ে নীতিগত সিদ্ধান্ত হয়েছে। অনলাইনে অনুষ্ঠিত হয় এই সভা। এতে বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যরা যুক্ত ছিলেন। অনলাইনে না প্রথাগত পদ্ধতিতে পরীক্ষা হবে সে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে আরও পরে। তবে বেশিরভাগ মত পড়েছে অনলাইনে পরীক্ষা নেওয়ার বিষয়ে। এ বিষয়ে চ‚ড়ান্ত হবে শিক্ষা মন্ত্রণালয় এবং বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের (ইউজিসি) সঙ্গে আলোচনা করে।
করোনা পরিস্থিতির কারণে অনন্য বিষয়াদির মতো শিক্ষা ব্যাবস্থা মারাতœক ক্ষতির শিকার হয়েছে। এইচএসসি পরিক্ষার্থীরা ইতোমধ্যে অটোপাশ সার্টিফিকেট পেয়েছে। যার কলঙ্কবোঝা তাদের সারা জীবন বহন করতে হবে। এমনকি আসন্ন বিশ্ববিদ্যালয় ভর্তী পরিক্ষা নিয়েও তারা শঙ্কিত। অন্যদিকে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষও বিষয়টি নিয়ে সিদ্ধান্তহীনতায় ভুগছেন। শিক্ষার মান ও ক্রান্তিকালিন পরিস্থিতি বিবেচনায় রেখে কিভাবে এবারের ভর্তী পরিক্ষা সম্পন্ন করা যায় সে বিষয়ে গতকালও বিশ্ববিদ্যালয় অনুষদের ডিনরা বৈঠক করেছেন। এমাতবাস্থায় আমরা আশা করবো কর্তৃপক্ষ যে সিদ্ধান্তই গ্রহণ করুক তাতে যেন শিক্ষার মান ও ক্রান্তিকালিন পরিস্থিতি বিবেচনায় থাকে।
বিশ্ববিদ্যালয় ভর্তি পরীক্ষা
পূর্ববর্তী পোস্ট