আশাশুনি প্রতিবেদক: বিশ্ব বরেণ্য বিজ্ঞানী আচার্য প্রফুল্ল চন্দ্র (পিসি) রায়ের বসতবাড়ী পরিদর্শন করেছেন মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সচিব তপন কান্তি ঘোষ। শনিবার সকালে তিনি বিজ্ঞানীর জন্মস্থান পাইকগাছার রাড়ুলীস্থ বসতবাড়ী ও বিজ্ঞানীর নিজ এবং মায়ের নামীয় শিক্ষা প্রতিষ্ঠান পরিদর্শন করেন। পরিদর্শনকালে সচিবের সহধর্মীনি শান্তা ঘোষ, উপজেলা নির্বাহী অফিসার এবিএম খালিদ হোসেন সিদ্দিকী, সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান ও সাবেক মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার অধ্যক্ষ আবুল কালাম আজাদ। উল্লেখ্য, বিজ্ঞানী আচার্য প্রফুল¬চন্দ্র পিসি রায় ১৮৬১ সালের ২আগষ্ট খুলনা জেলার পাইকগাছা উপজেলার কপোতাক্ষ তীরের রাড়ুলী গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন। পিতা হরিশ্চন্দ্র রায় চৌধুরী ও মাতা ভূবন মোহিনী দেবী। তিনি একাধারে ছিলেন শিক্ষাবিদ,শিল্পপতি, রসায়নবিদ, সমাজসেবক, সমবায় আন্দোলনের পুরোধা ও রাজনীতিবিদ। তিনি কলিকাতার মানিক তলায় ৮শ টাকা পুজি নিয়ে বেঙ্গল কেমিক্যাল এন্ড ফার্মাসিউটিক্যাল ঔষধ শিল্প কারখানা প্রতিষ্ঠা করেন। বর্তমানে ঐ প্রতিষ্ঠানের বিভিন্ন শাখা প্রশাখায় লাখো কর্মকর্তা-কর্মচারী কর্মরত রয়েছে। পিসি রায় দেশের সাতক্ষীরা, বাগেরহাট ও খুলনায় একাধিক শিক্ষা প্রতিষ্ঠান, কাপড়ের মিল ও জন্মভূমি রাড়ুলীতে একমাত্র সমবায় ব্যাংক প্রতিষ্ঠা করেন। একাধারে তিনি ২০ বছর কলিকাতার প্রেসিডেন্সি কলেজে রসায়ন শাস্ত্রের সহকারী অধ্যাপক ছিলেন। বৃটিশ সরকার তাকে ১৯৩০ সালে নাইট উপাধিতে ভূষিত করেন। এছাড়া একই বছর লন্ডনের ডারহাম বিশ্ববিদ্যালয়, ১৯৩৪ সালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়, ভারতের মহিশুর ও বেনারস বিশ্ববিদ্যালয় তাকে সম্মান সূচক ডক্টরেট ডিগ্রী প্রদান করে। বিজ্ঞানী পিসি রায় ১৯৪৪ সালের ১৬ জুন পরলোক গমন করেন। চিরকুমার এ বিজ্ঞানী জীবনের অর্জিত সকল সম্পদ মানব কল্যাণে দান করে গেছেন। ইতোমধ্যে সরকারের প্রত্নতত্ত বিভাগ থেকে বিজ্ঞানীর বসতবাড়ী সংরক্ষণ করা হয়েছে। প্রতিবছর সরকারিভাবে বিজ্ঞানীর জন্মবার্ষিকীর অনুষ্ঠান পালিত হয়।