
বিনোদন ডেস্ক:
এফডিসিতে নির্মিত হচ্ছে ১৫ তলা বণিজ্যিক ভবন। আধুনিক এ ভবনে পরিকল্পনা অনুযায়ী গাড়ি পার্কিং,আবাসিক হোটেল, বাণিজ্যিক প্রতিষ্ঠান, ব্যাংক ও বিমা কার্যালয়, চলচ্চিত্র প্রযোজনা প্রতিষ্ঠানের কার্যালয়, টেলিভিশন চ্যানেলের কার্যালয়, শুটিং স্পট এবংসিনেপ্লেক্স রাখা হবে বলে জানানো হয়েছে। অথচ যেখানে ভবনটি হচ্ছে সে স্থানটিকে এফডিসির প্রাণকেন্দ্রই বলা যায়। তাই এখানে এমন আধুনিক ভবন নির্মাণ তৈরি করলে এফডিসি স্বকীয়তা হারাবে বলেই মন্তব্য সিনিয়র তারকাশিল্পীদের।
এই বাণিজ্যিক ভবনের জন্য ইতোমধ্যে ঐতিহ্যবাহী তিন নম্বার ও চার নম্বর ফ্লোর ভেঙে ফেলা হচ্ছে। এখন এফডিসির মূল গেট দিয়ে প্রবেশ করতেই চোখে পড়বে ভাঙার কাজ। যারা আগে এফডিসিতে যাতায়ত করছেন তারা গেট দিয়ে প্রবেশের পরই হুহু করে উঠেবে বুকের ভেতরটায়। হাজার হাজার ছবির শুটিং হয়েছে এ ফ্লোরে। এই ক’দিন আগেই শাকিব খানের বীর’ গানের শুটিং করতে দেখা গেলো এই ফ্লোরেই। সে ফ্লোরই এখন ধ্বংস্তুপ। বছর খানের মধ্যে এখানে শুভা পাবে ১৫ তলা বাণিজ্যিক কমপ্লেক্স।
সম্প্রতি সরেজমিনে এফডিসি গিয়ে দেখা যায় তিন নম্বর ফ্লোর ও চার নম্বর ফ্লোরের সামনের পুরো অংশই ভাঙার কাজ শেষ। এরপর বিষয়টি নিয়ে দীর্ঘদিন যারা এই দুই ফ্লোরে শুটিং করে বিখ্যাত হয়েছেন তাদের সঙ্গে যোগাযোগ করা হয়। সমকাল অনলাইনের সঙ্গে আলাপে তাদের অধিকাংশের মন্তব্য এমন- বাণিজ্যিক ভবনের জন্য স্বকীয়তা হারাবে এফডিসি। তবে তারা এসব ফ্লোর সংস্কারের দাবী জানান। ফ্লোরগুলো আধুনিকায়নের কথা বলেন।
তবে এফডিসিতে যে এমন বহুতল আধুনিক ভবন নির্মাণ হচ্ছে তার কিছুই জানেন না অভিনেতা সোহেল রানা। জানান, গণমাধ্যমের লোকদের মাধ্যমেই বিষয়টি অবগত হয়েছেন তিনি। যেটা জানানোই হয়নি তাদের সেটা নিয়ে মন্তব্য করাও সুভোনীয় নয় বলেই মনে করেন এ অভিনেতা। তারপরও বলেন, মনে হচ্ছে এফডিসি আর এফডিসি থাকবেনা। ওটা অফিস পাড়া হয়ে যাচ্ছে। অথচ শুনলাম নিজস্ব আয়ের রাস্তা করছে এফডিসি। আমি তো মনে করি পুরো এফডিসিটাই নিজস্ব আয়ের রাস্তা। যেখানে উন্নয়ন ও সংস্কার দরকার সেটাতে উন্নয়ন না করে বাণিজ্যিক ভবন নির্মাণ করে আয়ের রাস্তা কেনো করতে হবে? শুটিং ফ্লোরগুলো উন্নত করুক। সিনেমা নির্মাণ করতে প্রযোজকরা এখন কেনো বাইরে যায়। এফডিসিতে পর্যাপ্ত সুবিধা নাই কেনো। সেদিকে নজর দেয়া হোক। তা না করে এসব কি করা হচ্ছে? এমন প্রশ্ন রেখেই কথা শেষ করেন সোহেল রানা।