
আন্তর্জাতিক ডেস্ক:
মিয়ানমারের সামরিক জান্তা প্রধান মিন অং হ্লাইং বলেছেন, সশস্ত্র বিদ্রোহী দলগুলোর দমনে সেনাবাহিনী কার্যকর ভূমিকা পালন করবে। মিয়ানমার সেনাবাহিনীর ৭৮তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে রাজধানী নেপিদোয় সশস্ত্র কুচকাওয়াজ অনুষ্ঠানে হুঁশিয়ারি দেন তিনি।
সোমবার(২৭ মার্চ) আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যম বিবিসি এ তথ্য জানিয়েছে।
এ সময় ৬৬ বছর বয়সী মিন অং হ্লাইং বিদ্রোহী গোষ্ঠীর সদস্যদের জঙ্গি উল্লেখ করে বলেন, তারা দেশের মানুষের স্বার্থহানী করতে পারে। তাদের বিরুদ্ধে লড়াই করার জন্য গুরুত্বপূর্ণ শহরগুলোকে সামরিক আইনের আওতায় আনা হবে।
মিয়ানমারের নির্বাচন নিয়ে বলেন, নির্বাচন হবে। বিজয়ী দলের কাছে ক্ষমতা হস্তান্তর করা হবে। তবে নির্বাচনের সময় নিয়ে তিনি কোনো মন্তব্য করেননি।
এদিকে মিয়ানমারের বিভিন্ন অঞ্চলে এক সপ্তাহে বিদ্রোহী গোষ্ঠীর সঙ্গে সংঘর্ষে জান্তা সেনাবাহিনীর ১৪০ সদস্য প্রাণ হারিয়েছেন। মিয়ানমারের স্থানীয় সংবাদমাধ্যম ইরাবতি নিউজ জানায়, দেশটির সাগায়িং ও কায়া, কাচিন, কারেন, চিন, মাগওয়ে এবং বাগো অঞ্চলে এ সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে।
ইরাবতি জানায়, কায়া রাজ্যের সংঘর্ষে ৯০ জন জান্তা সেনা নিহত হয়েছে । কায়া রাজ্যের ডেমোসো টাউনশিপে ২০ থেকে ২৩ তারিখের মধ্যে এসব সংঘর্ষ হয়েছে। কারেনি ন্যাশনালিটিজ ডিফেন্স ফোর্স এবং কারেনি আর্মি জান্তা বাহিনীর তিনটি ব্যাটেলিয়নের বিরুদ্ধে হামলা চালায়।
কারেন রাজ্যের সামরিক স্থাপনায় হামলায় ১৫ জন নিহত হয়েছে। রোববার কারেন রাজ্যের মায়াদি টাউনশিপে সশস্ত্র যোদ্ধারা পাঁচটি জান্তা স্থাপনা, দুটি সামরিক ব্যাটেলিয়ন ও পুলিশ স্টেশনে হামলা চালায়। এছাড়া চিন রাজ্যে নিহত হয়েছে ১৩ জন জান্তা সেনা।
মিয়ানমারে অং সান সু চির নির্বাচিত সরকারকে উৎখাত করে ২০২১ সালের ফেব্রুয়ারিতে ক্ষমতা দখল করে সেনাবাহিনী। এর বিরুদ্ধে ব্যাপক বিক্ষোভ শুরু হলে সহিংস দমননীতি গ্রহণ করে জান্তা সরকার।
এখন পর্যন্ত নিহত হয়েছেন কয়েক হাজারের বেশি বিক্ষোভকারী। সহিংসতার জেরে কয়েকটি সশস্ত্র গোষ্ঠী একত্রিত হয়ে গঠন করে পিপলস ডিফেন্স ফোর্স (পিডিএফ)। এরপর থেকেই জান্তা বাহিনীর সঙ্গে সংঘর্ষে লিপ্ত রয়েছে তারা।