নিজস্ব প্রতিবেদক: ব্যাভিচার ও পতিতাবৃত্তির হাত থেকে এলাকার যুব সমাজকে বাঁচাতে গিয়ে মিথ্যা মামলার শিকার হলেন সাতক্ষীরা পৌর ৭নং ওয়ার্ড আ.লীগের সাধারণ সম্পাদক মো. রেজাউল করিমসহ আরও ৫ জন। তবে অভিযোগ আছে সম্পূর্ন রাজনৈতিক স্বার্থ আদায় করতেই এই মামলা করেছে বাদী।
মামলার বিবরণে উল্লেখ করা হয়, ‘জাহানাবাজ গ্রামের ননি গোপাল সাধনের কন্যা বিধবা নিলিমা সরদারের সহিত কর্ম স‚ত্রে পরিচয় ঘটে ইটাগাছা এলাকার আনারুল ইসলাম এতিমের সম্পর্কের এক পর্যায়ে ২০২১ সালের ১৬ আগস্ট নিলিমা স্বেচ্ছায় ধর্মান্তরিত হয়ে শেফালি খাতুন নাম গ্রহণ করে আনারুল ইসলাম এতিম কে বিয়ের প্রস্তাব দিলে উভয়ের সম্মতিতে সাতক্ষীরা কোট থেকে এফিডেভিট’র মাধ্যমে ১৮ আগস্ট মৌলভীর মাধ্যামে বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হয়ে কোট থেকে রেজিস্টার করে ১০৮২/২১ নং হলফনামা সম্পাদন করে।’ সত্য ঘটনা হলো আবাসিক এলাকায় বসবাস করা উঠতি বয়সি কিশোর ও সদ্য তরুনদের পরিবারের পক্ষ থেকে বার বার অভিযোগের প্রেরিক্ষিতে ওয়ার্ড আ’লীগের সাধারণ সম্পাদক স্থানীয় কয়েকজনকে নিয়ে অভিযোগের বিষয়টি যাচাই বাছাই করতে যায়। সে সময় তাদের কাছে বিবাহের বৈধ কাগজপত্র দেখতে চাওয়া হয়। কিন্তু তারা দেখাতে পারেনি। তবে তারা মামলা ও একটি দৈনিক পত্রিকার সংবাদে দাবী করে এফিডেভিটের মাধ্যমে বিয়ে করে যার নং ১০৮২/২১, তারিখ ১৮/০৮/২১ এবং পরে নিকাহনামা করা হয়। উল্লেখ্য এফিডেভিট বিবাহের বৈধ কাগজ বলে গন্য হয়না। তবে মামলা বা সংবাদে প্রকাশিত বক্তব্যে তাদের ঘোষণা মতে রেজিঃ নিকাহ নামার কোন রেজিষ্ট্রেশন নম্বর উল্লেখ করতে পারেনি। এমনকি কোন কাজির কাছে রেজিঃ নিকাহ করা হয়েছে তাও জানাতে পারেনি।
বাদী মামলায় উল্লেখ করে, ‘১ মে রাত্র ১০ টার সময় ইটাগাছা বিহারী পুকুর কান্দায় ডেকে নিয়ে আসামীরা ৫০ হাজার টাকা চাঁদা চায়। আর সেই চাঁদার অংশ ২০হাজার টাকা বাদী এতিম ঘটনার ৫ দিন পূর্বে ২৫ এপ্রিল দিয়েছে বলে মামলায় উল্লেখ করে। হাস্যকর বিষয় হলো ওই একই বাদী টাকার জোরে বিকৃত সংবাদে বক্তব্য দেয় যে ওই দিনই আসামীরা চাঁদা দাবী করে চাঁদার বিশ হাজার টাকা নিয়ে আসে। প্রশ্ন হলো চাঁদা চাওয়ার পূর্বেই আসামীদের এতিম বিশ হাজার টাকা কিভাবে দিলেন। অসংলগ্ন ঘটনাক্রম ও সংবাদপত্রে প্রকাশিত বাদির অসংলগ্ন বক্তব্যতেই প্রতীয়মান হয়যে মামলাটি উদ্দেশ্য প্রণোদিত।
এবার স্বাক্ষীদের বিশ্লেষণ করে জানা যায়, বাদীর ৫নং স্বাক্ষীর বাড়ি ঘটনাস্থল থেকে বেশ দূরে। প্রশ্ন হলো সে সময় এতিমের ঘরে কি করছিলো সে। এছাড়াও সে জেলা জামায়াতের একজন নেতা ও হত্যা ও অস্ত্র মামলাসহ ১১টি নাশকতা মামলার আসামী সালাউদ্দীন। এদিকে ৩নং স্বাক্ষী শাহাজান বিশ্বাস জেলা বিএনপির সহ-সভাপতি। সে মামুন হত্যা মামলা, আমান হত্যা মামলাসহ অস্ত্র ও নাশকতা মামলার আসামী। এদিকে ২নং স্বাক্ষী নাজির হোসেন চিহ্নিত মাদক সেবী। তবে মাঝে মাঝে উঠতি তরুনদের মাদক সরবরাহও করে। ৭নং ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের কার্যালয় ভাংচুর করা কথিত এক হাইব্রিড আ’লীগ নেতার পাদুকা তলে আশ্রয় নেয়। অন্য দিকে বাদী আনারুল ইসলাম এতিম বিএনপির একজন সক্রিয় কর্মী।
স্থানীয় আওয়ামী লীগ নেতা-কর্মী জানান, সম্পূর্ন রাজনৈতিক উদ্দেশ্য হাসিলের জন্য এতিম ও নাশকতা মামলার আসামীরা একজোট হয়ে ৭নং ওয়ার্ড আওয়ামী লীগকে মাটিতে মিশিয়ে দেয়ার অপচেষ্টায় লিপ্ত আছে। তাদের মদদ দিচ্ছে বিএনপি ও জামায়াতের নেতাকর্মীদের কাছ থেকে অর্থ সহায়তা নেয়া একই ওয়ার্ডের এক হাইব্রিড আ’লীগ নেতা। আনারুল ইসলাম এতিম ও তার দোষরদের শাস্তির দাবি জানিয়েছেন তারা।