
নিজস্ব প্রতিবেদক: দেবহাটা উপজেলার পারুলিয়ায় প্রতিবন্ধী ভাতার টাকা গেল ইউপি সদস্য মোকারম শেখের পকেটে। বর্তমান সরকারের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা যখন গরিব অসহায় মানুষের পাশে দাড়াতে বিভিন্ন প্রকার ভাতা বৃদ্ধি করে চলেছেন, ভাতা ভোগিদের প্রাপ্ত টাকা নিয়ে কেউ যাতে কোন প্রকার দূর্নীতি করতে না পারে সেদিকে নজরদারী বাড়াচ্ছেন, ঠিক সেই সময় এক মানসিক প্রতিবন্ধীর ভাতার প্রাপ্ত টাকা আত্মসাৎ করার অভিযোগ উঠেছে স্থানীয় ইউপি সদস্য মোকারম শেখ ও এক মহিলার বিরুদ্ধে।
জানা যায়, ২৯ শে জুলাই বুধবার সকালে উপজেলার পারুলিয়া ইউনিয়নের ২০১৯/২০ অর্থবছরের প্রতিবন্ধী ভাতার টাকা বিতরন করেছে সমাজ সেবা অফিস। এতে পারুলিয়া ইউনিয়নের জোয়ার গুচ্ছগ্রাম এলাকার মোকছেদ আলী গাজীর কন্যা মানষিক প্রতিবন্ধী নাছিমা ১ বছরের ৯ হাজার টাকার চেক হাতে পায়। পরে নাছিমার ভাবী সম্পর্কের এক মহিলা একই গ্রামের মোস্তফার স্ত্রী সাহানারার যোগ সাজসে ব্যাংক থেকে টাকা তোলার সময়ে ইউপি সদস্য মোকারম শেখ ৫ হাজার টাকা কেটে নিয়ে বাকী ৪ হাজার টাকা নাছিমার হাতে দেয়।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে পারুলিয়া ইউনিয়নের ৯ নং ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য মোকারম শেখ টাকা আত্মসাতের বিষয় এড়িয়ে যেয়ে বলেন, ভাতার টাকা পেয়েছে জানি কিন্তু কেহ টাকা কেটে নিয়েছে এমন বিষয়ে আমার জানা নেই। তবে মোকারম শেখের ফোন থেকে অভিযুক্ত ভাবি সাহানারা ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে বলেন, হ্যাঁ আমি ৫ হাজার টাকা কেটে রেখেছি নাছিমার ভবিষ্যৎ করে দেওয়ার জন্য।
এ ব্যপারে পারুলিয়া ইউপি চেয়ারম্যান সাইফুল ইসলাম জানান, এমন একটি অভিযোগ নিয়ে আমার কাছে এসেছিল। আমি চাই এর সঠিক বিচার হোক। বিষয়টি প্রশাসনকে জানানো হয়েছে।
উপজেলা সমাজ সেবা অফিসার অধির কুমার গাইনের কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, মোকারম শেখের নামে আগেও এমন অভিযোগ ওঠার পরে অনেকের টাকা ফেরৎ দিয়েছে সে। অভিযোগ পেলে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। উপজেলা নির্বাহী অফিসার সাজিয়া আফরীনের কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, তার বিরুদ্ধে থানায় অভিযোগ দিতে বলেন। সত্যতা পেলে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।