নিজস্ব প্রতিবেদক: সাতক্ষীরার তালা উপজলোর পাটকলেঘাটা থানাধীন সরুলয়িা কিয়ামিয়া আদর্শ দাখিল মাদ্রাসার সুপার (প্রধান শিক্ষক) মাওঃ আব্দুর রব এর বিরুদ্ধে ব্যাপক অনয়িম-দূর্নীতি ও নিয়োগ বানিজ্যের অভিযোগ উঠেছে।
প্রাপ্ত তথ্য জানা যায়, মাদ্রাসা সুপার মাওঃ আব্দুর রব ১৯৮১ সালে মাদ্রাসা প্রতিষ্ঠার পর থেকে বিভিন্ন অনিয়ম-দূর্নীতি ও ম্যানেজিং কমিটির উপর অশুভ প্রভাব বিস্তারের মাধ্যমে সর্ম্পূন বিধি বহির্ভূতভাবে নতুন নতুন শিক্ষক নিয়োগ ও উপযুক্ত কোন কারন ছাড়াই নিয়োগ প্রাপ্ত শিক্ষক-শিক্ষিকাদের সাময়কি বরখাস্ত করা সহ নানা অনিয়ম ও নিয়োগ বানিজ্য করে আসছেন।
এলাকাবাসী সূত্রে জানা যায়, মাদ্রাসায় আনছিুর রহমান নামে একজনকে লাইব্রেরিয়ান নিয়োগ দিয়েছেন। নিয়োগ পেতে উক্ত আনছিুর রহমানকে মাদ্রাসার প্রধান শিক্ষক মাওঃ আব্দুর রবকে দিতে হয়েছে কয়েক লক্ষ টাকা। এমনিভাবে অনেকেকে মাদ্রাসায় নিয়োগ দেয়া হয়েছে। নিয়োগ পাওয়া শিক্ষকদের বিভিন্নভাবে হয়রানী করে থাকেন প্রধান শিক্ষক মাওঃ আব্দুর রব। অনেকে ভয়ে তার বিরুদ্ধে কোন কিছুই বলতে সাহস পায় না। শিক্ষকদরে নিয়োগ দিতে যে টাকা নেয়া হয়েেেছ তা মাদ্রাসার উন্নয়নের কাজে না লাগিয়ে নিজের উন্নয়নে ব্যবহার করেছেন। এ যাবৎ যেসব নিয়োগ তিনি দিয়েছেন সে বাবদ আদায়কৃত টাকার কোন হিসেব নেই বলে জানিয়েছেন নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক মাদ্রাসার কতিপয় শিক্ষক।
বিশ^স্ত সূত্রে জানা গেছে, শিক্ষক নিয়োগ দিতে যে টাকা নেয়া হয়েছে সে বিষয়ে মাদ্রাসার প্রধান শিক্ষক মাওঃ আব্দুর রব এর কাছে সত্যতা জানতে মাদ্রাসার জমিদাতা হাজী কিয়ামুদ্দীন সর্দার ও মাদ্রাসার প্রতিষ্ঠাতার ছেলে ইমরান সর্দার তার কাছে গেলে তিনি ( প্রধান শিক্ষক) বলেন, আমার কাছে সব মিলে ১৩ লাখ ৫৫ হাজার টাকা রয়েছে। টাকাগুলো আমার ব্যক্তিগত ফান্ডে আছে। অক্টোবর’২১ মাসের ১৮ তারিখে মাদ্রাসা কমিটি ও গ্রামবাসীর সামনে সকল হিসাব তুলে ধরবো। কিন্তু তিনি বার বার বিষিয়টি এড়িয়ে চলছেন। তার মুঠোফোনে কল দিলে তিনি রিসেভ না করে ফোন কেটে দেন। গত অক্টোবর মাসের ১৭ তারিখ থেকে তিনি পলাতক রয়েছেন।এ ব্যাপারে উক্ত মাদ্রাসার নিয়োগ প্রাপ্ত শিক্ষিক-শিক্ষিকারা প্রধান শিক্ষকের ভয়ে প্রকাশ্যে কোন কিছুই বলতে নারাজ। তবে প্রধান শিক্ষক মাওঃ আব্দুর রব এর বিরুদ্ধে অভিযোগের বিষয়ে নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক কয়েক শিক্ষক সহ মাদ্রাসা এলাকার স্থানীয়রা সত্যতা স্বীকার করছেন।
মাদ্রাসা প্রতষ্ঠিাতার ছেলে ইমরান সর্দার বলেন, মাদ্রাসার প্রধান শিক্ষক এর বিরুদ্ধে এ সকল অভিযোগরে কথা আমরা জানার পর বিষয়টি নিয়ে আমি প্রধান শিক্ষক মাওঃ আব্দুর রব এর সাথে কথা বলি। ঘটনা জানানোর পর তিনি স্থানীয় সন্ত্রাসীদরে দিয়ে আমাকে বিভিন্নভাবে হয়রানী ও হুমকি-ধামকি দিয়ে যাচ্ছেন। এক র্পযায়ে প্রধান শিক্ষক বলেন, আমরা নাকি মাদ্রাসার জমিদাতা না। এমনকি জমির কোন কাগজপত্র নেই এমনটাও বলেন তিনি। পরে আমরা জমির কাগজ-পত্র তুলে দেখি সব জমিদাতা হিসেবে আমরা রয়েছি। প্রধান শিক্ষক নিজের দূর্নীতি ঢাকতে মিথ্যা বানোয়াট কথা ছড়িয়ে বেড়াচ্ছেন। তাছাড়া তিনি দীর্ঘদিন ধরে মাদ্রাসায় হাজির হন না বলে জানিয়েছেন মাদ্রসিার সহ-সুপার।
এ ব্যাপারে প্রধান শিক্ষক মাওঃ আব্দুর রব এর সাথে যোগাযোগ করতে তার মুঠোফোনে কয়েকবার ফোন দেয়া হলেও তিনি ফোন রিসিভ করেননি।