সাইদুর রহমান রিমন, ঢাকা অফিস:
চাঁদাবাজির সাড়ে তিন কোটি টাকা হজম করাসহ এক যুবলীগ নেতার ইমেজ রক্ষায় পল্লবী থানায় পুলিশ কর্মকর্তারাই জঙ্গি নাটকের সূত্রপাত ঘটিয়েছেন। সেখানে গ্রেপ্তারকৃত চাঁদাবাজ দুর্বৃত্তদের ‘জঙ্গি সাজানোর’ চেষ্টাকালে থানার ভেতরেই ভয়াবহ বোমার বিস্ফোরণ ঘটেছে। স্থানীয় সন্ত্রাসীদের নিয়ে সংঘটিত পুলিশি নাটকের কারণেই দেশের ললাটে জঙ্গিবাদের তকমা লেগেছে। আন্তর্জাতিক সংবাদ মাধ্যমগুলো বাংলাদেশে আইএস জঙ্গিদের তৎপরতা সংক্রান্ত নানা নেতিবাচক সংবাদ প্রচার করায় বাংলাদেশের ভাবমূর্তি চরমভাবে ক্ষুন্ন হচ্ছে। গ্রেপ্তার হয়েছে রফিকুল, শহিদুল ও মোশাররফ নামের তিনজন। টানা তিন দিনের অনুসন্ধানে এ সংক্রান্ত নানা চাঞ্চল্যকর তথ্য বেরিয়ে এসেছে।
পরিকল্পনার অংশ হিসেবে গত ২৮ জুলাই রাতে সংশ্লিষ্ট পুলিশ কর্মকর্তারা আগেভাগেই থানা ভবনের দোতলায় ইন্সপেক্টর অপারেশন ইমরানুল ইসলামের কক্ষে চারটি বোমা ঢুকান। সেখানে কয়েকটি মাটি ভর্তি বস্তার ঘেরাও দিয়ে রাখা হয় বোমাগুলো। ২৭ জুলাই গ্রেপ্তারকৃত চাঁদাবাজদের সামনে অস্ত্র ও বোমা সাজিয়ে ছবি তুলে তাদের জঙ্গি হিসেবে প্রচারণা চালানোর পরিকল্পনা করা হয়। সেই মোতাবেক ইন্সপেক্টর অপারেশনের টেবিলে বোমাগুলো সাজানো হয়। কিন্তু এরমধেই ইমরানুলের ব্যক্তিগত সহকারী (বহিরাগত সোর্স) রিয়াজ একটি বোমাগুলো কার্যকর নাকি অকার্যকর তা দেখার জন্য একটি বোমা হাতে তুলে নেয় এবং একটি ব্লেডের সাহায্যে বোমার চারপাশে পেচানো স্কচটেপ কাটতে থাকে। কয়েক মুহূর্তের মধ্যেই বিকল শব্দে বিস্ফোরিত হয় বোমাটি। ফলে রুমের ভেতরে থাকা দুই সাব ইন্সপেক্টরসহ চার পুলিশ সদস্য মেঝেতে লুটিয়ে পড়েন। রিয়াজের হাতের মাংসখন্ড উড়ে গিয়ে কব্জিসহ পাঞ্জা বীভৎসভাবে ঝুলতে থাকে।
সবকিছুর মূলে ইন্সপেক্টর ইমরানুলের ধান্ধা টিম:
পল্লবীতে ২০১৮ সালে যোগদান করা ইন্সপেক্টর (অপারেশন) ইমরানুল ইসলাম এরইমধ্যে অপরাধীদের গডফাদার এবং টাকার কুমির হয়ে উঠেছেন। পল্লবী এলাকার চিহ্নিত বেশিরভাগ অপরাধীর সঙ্গেই তার গলায় গলায় পীড়িত, অপরাধীদের বাড়িঘরে যাতায়াত করাসহ নিয়মিত দাওয়াত খান তিনি। ফরিদপুরে বাড়ি এবং কলেজ জীবনে ছাত্রলীগ করতেন- এ পরিচয়ে বেশ দাপুটে অফিসার হিসেবেও ইমরানুল ইসলামের নামডাক রয়েছে। তিনি নিজের ইচ্ছেমতো কয়েকজন সাব ইন্সপেক্টর, কনস্টেবল ও বহিরাগতদের নিয়ে আলাদা টিম বানিয়েছেন-থানা কর্মকান্ডের বাইরে এ বাহিনী দ্বারা নিজস্ব স্টাইলে নানারকম অপরাধমূলক কর্মকান্ড চালিয়ে থাকেন বলেও অভিযোগ রয়েছে। এরমধ্যে আসামি বা টার্গেটকৃত ব্যক্তিকে আটক করে কালো কাপড়ে চোখ বেধে অজ্ঞাত স্থানে কয়েকদিন পর্যন্ত বন্দী রাখা, দফায় দফায় নির্যাতন চালিয়ে তার পরিবার পরিজনের কাছ থেকে মুক্তিপণ স্টাইলে মোটা অঙ্কের টাকা আদায় করার মতো অপরাধ তারা হরদম করে থাকে। ইমরানুলের সেই দাপুটে বাহিনীর মাঠ পর্যায়ের কর্মকান্ডে নেতৃত্ব দিতেন এসআই সজীব, এসআই তোয়াবুল, কালেকশনম্যান (বহিরাগত) রিয়াজ।
পল্লবী থানায় বিষ্ফোরণ: সূত্রপাত যেভাবে:
লকডাইন কিছুটা শিথিল হতেই গত প্রায় দুই সপ্তাহ যাবত পল্লবীসহ বৃহত্তর মিরপুর জুড়ে শীর্ষ সন্ত্রাসী সাহাদাত ও কিলার আব্বাসের নাম ভাঙ্গিয়ে দেদারছে চাঁদাবাজি চলছিল। এরইমধ্যে চক্রটি ৫/৭ কোটি টাকা হাতিয়ে নেয় এবং আরো শতাধিক শিল্প-কারখানার মালিক, ব্যবসায়ি, ধনাঢ্য ব্যবসায়ির উপর চাঁদা ধার্য করে তা পরিশোধের অব্যাহত তাগিদ দিয়ে চলছিল। চাঁদা পরিশোধকারী ও হুমকি পাওয়া লোকজনের কাছ থেকে পাওয়া মোবাইল নাম্বারের সূত্র ধরে গত ২৭ জুলাই ইমরানুল বাহিনীর সদস্য কালেকশন-ম্যান রিয়াজ, এসআই সজীব, এসআই তোয়াবুলসহ ৬/৭ জনের একটি টিম বাউনিয়াবাধ এলাকায় যায়। ইন্সপেক্টর অপারেশন ইমরানুল ইসলামের সংগ্রহ করা কালো রঙের একটি মাইক্রোবাস ব্যবহার করছিলেন তারা। টিম সদস্যরা ১২ ধ ব্লকের রফিকুল ও মোশাররফ নামের দুই যুবককে আটক করে। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদেই তারা স্বীকার করে জানান, বাউনিয়া বাঁধ এলাকার শফিকুলসহ তাইবু, কামাল, বিল্লাল, জনিসহ কয়েকজন মিলে কখনো সাহাদাত ও কিলার আব্বাসের নামে, আবার কখনো জামিল বা জগত সোহেল এর নামে চাঁদাবাজি চালিয়ে থাকে। মাত্র দুই সপ্তাহের মধ্যেই তারা ৫/৭ কোটি টাকা চাঁদাবাজি করার কথাও স্বীকার করে। আটক দুই জনের সহযোগিতায় ওই টিম বাউনিয়াবাঁধ এলাকায় গিয়ে চা দোকানের সামনে অপেক্ষমান শফিকুলকেও আটক করে মাইক্রোবাসে উঠায়। এসময় স্থানীয় লোকজন জানতে চাইলে এসআই সজীব ও এসআই তোয়াবুল নিজেদেরকে ডিবি’র স্পেশাল টিম বলে পরিচয় দেয়। এলাকার একটি সিসি ক্যামেরার ভিডিওচিত্রের সূত্রে দেখা যায়, ২৭ জুলাই বিকেল ৫টা ১৭ মিনিটে ওই তিন জনকে বহনকারী কালো রঙের মাইক্রোটি বাউনিয়াবাঁধ এলাকা ছেড়ে থানার দিকে চলে যায়।
তাদেরকে ইন্সপেক্টর ইমরানের কথিত বিকল্প থানার অজ্ঞাতস্থানে নিয়ে অকথ্য নির্যাতন চালিয়ে চাঁদাবাজির অন্তত দুই কোটি টাকা আদায় করে নেয়। একপর্যায়ে তারা বাকি টাকাগুলো যুবলীগ নেতা ও ডিএনসিসির ৬ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর তাইজুল ইসলাম চৌধুরী বাপ্পীর কাছে রয়েছে বলে জানায়। এবার আসামি তিনজনকে সঙ্গে নিয়ে ওই টিম ২৮ জুলাই রাত ৯টার দিকে রুপনগর থানায় যায় এবং তাদেরকে কিছু সময় রুপনগর থানা হাজতে আটকে রাখতে চায়। কিন্তু মামলাবিহীন রহস্যজনক ঘটনায় আটক তিন আসামিকে রুপনগর থানা হাজতে রাখতে ওই থানার ওসি অস্বীকৃতি জানান। এসময় আসামি তিন জনকে গাড়িতে হ্যান্ডকাপ পড়ানো অবস্থায় বসিয়ে রেখেই ইন্সপেক্টর অপারেশন ইমরানুল ইসলামসহ টিমের সাব ইন্সপেক্টরদ্বয় আসামি তিনজনের জবানবন্দির বরাত দিয়ে বাপ্পীর কাছে থাকা চাঁদাবাজির পাঁচ কোটি টাকা হাতিয়ে নেয়ার নানা ফন্দিফিকির চালায়। কিন্তু এতে বাপ্পী তেমন একটা পাত্তা না দেয়ায় ইন্সপেক্টর ইমরানুল বাধ্য হয়ে পুরো বিষয়টি ডিসি মিরপুরকে অবহিত করেন।
মূল চাঁদাবাজদের আটক করাসহ বিপুল পরিমাণ টাকা বাপ্পীর হেফাজতে থাকার খবর শুনে ডিসি রাতেই হাজির হন পল্লবী থানায়। সেখানে ডেকে নেয়া হয় বাপ্পীকে। অফিসার ইনচার্জের কক্ষে ডিসি, ওসি এবং ইন্সপেক্টর অপারেশনের উপস্থিতিতে বাপ্পীর সঙ্গে এক ঘন্টারও বেশি সময় ধরে আলাপ আলোচনায় দেড় কোটি টাকা ফেরত দিতে রাজি হন বাপ্পী। কিন্তু এর সঙ্গে বাপ্পী অতিরিক্ত আরো বিশ লাখ টাকা ডিসির কাছে পৌঁছে দিয়ে তার হাত চেপে ধরে আকুতি জানিয়ে বলেন, পেশাদার এ তিন চাঁদাবাজকে ক্রসফায়ার দিয়ে আমাকে বাঁচান।
যা ঘটেছিল সে রাতে:
রুপনগর এলাকা ঘুরিয়ে ফিরিয়ে তাদের নিয়ে আসা হয় পল্লবী থানায়। ২৮ জুলাই রাত দেড়টার দিকে বাপ্পীকে ডাকা হয় পল্লবী থানায়। ডিসি মিরপুরও হাজির হন সেখানে। ডিসি মিরপুর, এসি পল্লবী, ওসি অপারেশন, বাপ্পীসহ সবাই বেশ সময় নিয়ে বৈঠক শেষে সিদ্ধান্ত হয় দেড় কোটি টাকা ফেরত দেবেন বাপ্পী। কিন্তু সে টাকা দেয়ার সময় বাপঈ আরো বিশ লাখ টাকা অতিরিক্ত পরিশোধ করেন ওই তিন জনকে ক্রসফায়ার দেয়ার চুক্তিতে। ডিসি পল্লবী থানা ছেড়ে চলে যেতেই ব্যস্ত হয়ে ওঠে ইমরানুলের টিমের সদস্যরা।
রাত আড়াইটা বাজতেই আটক রফিকুল, শহিদুল ও মোশারফকে নিয়ে যাওয়া হয় কালশী কবরস্থানে। পুলিশের দুটি গাড়ির একটি বাইশতলা গার্মেন্টস এর সামনে এবং অন্যটি কালশী কবরস্থানের কর্ণারে দাঁড় করানো হয়। দুই গাড়ির পাশে দুই কনস্টেবল দাঁড়িয়ে ওই রাস্তায় চলাচলরত গাড়ি ও রিক্সাগুলোকে দ্রুত চলে যেতে নির্দেশ দিতে থাকে। ফলে ৫/৭ মিনিটের মধ্যেই কবরস্থানের আশপাশের রাস্তা সুনসান নীরব হয়ে পড়ে। কালশী কবরস্থানের ভিতরে তিনজনের ক্রসফায়ার দেয়ার সব প্রস্তুুতি সম্পন্ন হলে শেষ ইচ্ছা হিসেবে শহিদুল তার বাড়ির লোকজনের কন্ঠ শোনানোর জন্য ওসি অপারেশনের কালেকশনম্যান রিয়াজকে অনুরোধ করেন। শহিদুলের মোবাইল থেকেই রিয়াজ তার (শহিদুলের) ভাইয়ের মোবাইলে কল দেয়। শহিদুলের ভাই কলটি রিসিভ করতেই কল কেটে দেয়া হয়। ফলে সঙ্গে সঙ্গেই শহিদুলের ভাই কলব্যাক করে শহিদুলের নাম্বারে। রিয়াজ ফোন রিসিভ করে হাত, পা, মুখ বাধা শহিদুলের কানের কাছে ফোনটি ধরলে সে তার ভাই’র কন্ঠ শুনতে পান। এসময় শহিদুলের ভাই বারবার ‘তুই কোথায়, তুই কোথায়- প্রশ্ন করতে থাকলে রিয়াজ বলে ওঠে- ‘অপারেশনে আছি পরে ফোন দেন’-এটুকু বলেই লাইন কেটে দেয় রিয়াজ। শহিদুলের ভাই’র মোবাইলের কল রেকর্ড পর্যবেক্ষণ করলেই এর সত্যতা প্রমানিত হবে।
এরপরই শহিদুলকে মাটিতে শুইয়ে তিনজন জাপটে ধরে এবং অন্য একজন তার বুকে বন্দুকের নল ঠেকিয়ে গুলি করতে উদ্যত হয়। কিন্তু আচমকা শহিদুল ঝাপটা মেরে সবাইকে ফেলে দাঁড়িয়ে যায়। আবার তাকে চার জনে জাপটে ধরে মাটিতে শুইয়ে ফেলে। ভিন্ন একজন বন্দুকের নল ঠেকায় বুকে। কিন্তু এবারও আচমকা ঝাপটা মেরে চার জনকে হটিয়ে দাঁড়িয়ে যায় শহিদুল। এভাবে পর পর তিন বারই বাধার সৃষ্টি হয়, তারপরও তাকে আবার মাটিতে শোয়ানোর জন্য ধস্তাধস্তি চলাকালেই শুরু হয় বৃষ্টিপাত। বিষয়টি ইন্সপেক্টর অপারেশনকে জানানো হলে তিনি আসামিদের নিয়ে থানায় ফিরে যেতে বলেন এবং পরে ভেবেচিন্তে সিদ্ধান্ত নিবেন বলে জানান। এরপর রাত সাড়ে তিনটার পর তাদের থানায় নিয়ে হাজতখানায় রাখা হয়। থানার সিসিটিভি ফুটেজ দেখলেই তা প্রমানিত হবে।
সবশেষে জঙ্গি সাজানোর চেষ্টা:
ইন্সপেক্টর ইমরানুল ইসলাম অজ্ঞাত কারো সঙ্গে আলাপ আলোচনা শেষে কয়েক মিনিটের মধ্যেই নতুন সিদ্ধান্ত নেন। তার টিম সদস্যদের জানান, চাঁদাবাজ তিন দুর্বৃত্তকে জঙ্গি সাজিয়ে কোর্টে চালান দেয়া হবে। এজন্য তাদের কাছ থেকে গোলাবারুদ ও অস্ত্রশস্ত্র উদ্ধার করার নাটক সাজানোর প্রস্তুতি চলতে থাকে। অবশ্য অপরাধে দক্ষ ইন্সপেক্টর ইমরানুল আগেভাগেই বোমাগুলো সংগ্রহ করে পুলিশ সদস্যদের মাধ্যমেই থানায় ঢুকিয়ে নিজের কক্ষে মজুদ রাখেন। সতর্কতামূলক ব্যবস্থা হিসেবে মাটি ভর্তি কয়েকটি বস্তা দিয়ে বোমাগুলো ঘিরেও রাখা হয়। বোমাগুলো বিস্ফোরণের পর তোলা ছবিতে বিভিন্ন ধ্বংসস্তুপের নিচে ছেড়াফাটা মাটির বস্তাগুলো দেখতে পাওয়া যায়।
ইন্সপেক্টর অপারেশনের রুমের টেবিলে একে একে সাজানো হয় পিস্তল, গুলি, বোমাগুলো-আনা হয় ওজন মাপার মেশিন। এ মেশিনের মধ্যেও রাখা ছিল আরেকটি বোমা। কৌতুহলবশত:ই ওজন মাপার মেশিনটি খুলে একটি বোমা বের করে আনে রিয়াজ। হাতে নিয়ে তা পরীক্ষা নিরীক্ষা করতে থাকে সে। একপর্যায়ে স্কচটেপ কাটতে কাটতেই বোমাটি বিকট শব্দে বিষ্ফোরিত হয় আর তাতেই রিয়াজের একটি হাতের কব্জি উড়ে যায় অন্য হাতটিও জখম হয়। বোমার বিষ্ফোরণে আহত হয় ওই বাহিনীর সকলেই। ইন্সপেক্টর অপারেশন ইমরানুল নিজেও আহত হন।
ঘটনা বাপ্পীর কানে গেলে তিনি তৎক্ষনাত স্থানীয় এক সাংবাদিকের হাতে দুই লাখ টাকা তুলে দিয়ে ঘটনাটি ভিন্নখাতে ছড়িয়ে দেয়ার অনুরোধ জানান। ওই সাংবাদিক পল্লবী থানা প্রাঙ্গনে জড়ো হওয়া সাংবাদিকদের মাঝে ছড়িয়ে দেন যে, যুবলীগ নেতা বাপ্পীকে হত্যা করতেই সন্ত্রাসী সাহাদাত এ কিলারদের বোমা দিয়ে পাঠিয়েছে। ফলে প্রথমদিকে অনেকেই ‘বাপ্পী হত্যার মিশন’ উল্লেখ করেই পত্র-পত্রিকায় সংবাদ প্রকাশ করে।