
আব্রাহাম লিংকন, শ্যামনগর থেকে: শ্যামনগর উপজেলার নূরনগর ইউনিয়ন থেকে বীর মুক্তিযোদ্ধা যাচাই বাছাই কমিটির প্রতিবেদনে নামঞ্জুরকৃত নাথ অনিল কুমার এর কোটি কোটি টাকার উৎস কোথায়? মুক্তিযোদ্ধা তালিকায় পূনরায় নাম ঢোকাতে বিভিন্ন মহলে অর্থ নিয়ে দৌড়ঝাপ চলমান তার। শ্যামনগর উপজেলার নুরনগর ইউনিয়নের মৃত শিবপদ নাথ এর ছোট ছেলে নাথ অনিল কুমার বর্তমান ঠিকানা সাতক্ষীরা কামালনগর,বেসামরিক গেজেট নং-১৫৭৫ সম্পর্কে একজন প্রকৃত মুক্তিযোদ্ধার ভাষ্যমতে মুক্তি যুদ্ধের নয় মাস ভারতে ঘর ভাড়া করে অবস্থান করেছেন তিনি, কোন মুক্তিযোদ্ধা ক্যাম্পে প্রশিক্ষন নেননি বলে জানিয়েছেন তিনি। ২০০৫সালের বেসামরিক গেজেট নং-১৫৭৫ ভুক্ত হয়ে ভাতা প্রাপ্ত মুক্তিযোদ্ধা হিসেবে দীর্ঘদিন ভাতা গ্রহন সহ সার্বিক সুবিধা ভোগ করেছেন। গত ১১/০২/২১ ইং তারিখে উপজেলা বীর মুক্তিযোদ্ধা যাচাই বাছাই কমিটির প্রতিবেদনে নামঞ্জুরকৃত তালিকার মন্তব্য অনুযায়ী তার স্বীকারোক্তি মোতাবেক ট্রেনিং নেন নাই এবং যুদ্ধও করেন নাই এছাড়া মুক্তিযোদ্ধা প্রমানে তার কোন স্বাক্ষী নাই বিধায় নামঞ্জুরকৃত তালিকায় অন্তর্ভুক্ত হয়েছেন তিনি। অত্র এলাকার সাধারন বয়জৈষ্ঠ্য মানুষদের মধ্যে কেহ যুদ্ধকালীন নয় মাস যাবৎ কখনও যোদ্ধা হিসেবে তাকে এলাকায় দেখিনি। এমন কি অত্র এলাকার প্রকৃত মুক্তিযোদ্ধারা জানেনা যে নাথ অনিল কুমার মুক্তিযোদ্ধা। অথচ মুক্তিযোদ্ধা কোটায় নাথ অনিল কুমারের ছেলে বর্তমানে সাতক্ষীরা চীপ জুডিশিয়াল ম্যাজিষ্ট্রেট কোটের পেশকার। এলাকাবাসি জানায় নাথ অনিল কুমার কালো বাজারী করে ধরাপড়ে একবার ১৩মাস জেল খেটেছে। এছাড়া ভেজাল মাছের খাদ্য বিক্রয় করে সাতক্ষীরা জেলা আওয়ামীলীগের সাধারন সম্পাদক নজরুল সাহেবের মৎস্য ঘেরের লক্ষ লক্ষ টাকার মাছ মেরে ফেলায় নজরুল সাহেবের করা মামলায় আবারও জেল খেটেছেন তিনি। বিভিন্ন ভাবে কালো বাজারী করে কোটিপতি হয়েও দীর্ঘদিন মুক্তিযোদ্ধা সেজে ভাতা খেয়েছেন তিনি। এলাকায় নাথ অনিলের ভয়ে কেহ কথা বলতে চায় না, তার কারন ছেলে বাসুদেব দেবনাথ সাতক্ষীরা চীপ জুডিশিয়াল ম্যাজিষ্ট্রেট কোটের পেশকার হওয়ায়, কাকে কখন কোন মামলায় ফাঁসিয়ে দেয়। খোঁজ খবর নিয়ে জানাযায়, বর্তমানে সাতক্ষীরা কামালনগরে বসবাসকারী নাথ অনিল কুমার এর দুটি বিলাশ বহুল বাড়ী সহ ভারতের বসির হাট ভেবলা রেল স্টেশন সংলগ্ন তিনতলা বাড়ী এছাড়া অবৈধ পথে কোটি কোটি টাকার পাহাড় গড়েছে বীর মুক্তিযোদ্ধা নাম ভাঙ্গিয়ে। এর মধ্যে সাতক্ষীরা কামালনগরের একটি বাড়ির নিচতলায় ভেজাল মাছের খাদ্য তৈরীর কারখানা আছে এই মর্মে নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক সেখানে কর্মরত একজন শ্রমিক জানায়। এলাকাবাসি দুদক সহ সংশ্লিষ্ট প্রশাসনের হস্তক্ষেপের মাধ্যমে তার সম্পদের আসল উৎস কোথায় খতিয়ে দেখার অনুরোধ জানিয়েছেন। অন্যদিকে তার অবৈধ কার্যক্রমের খোঁজ নেওয়ার কারনে কয়েক মাস পূর্বে একজন সাংবাদিককে মিথ্যা চাঁদাবাজির মামলা সাজিয়ে হয়রানি করেছেন বলে অভিযোগ আছে।