আব্রাহাম লিংকন, শ্যামনগর: সাতক্ষীরা ৪ আসনে জাতীয় সংসদ নির্বাচনীয় কাজে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী আন্দোলন-বিএনএমের নঙ্গর প্রতিকের প্রার্থী এইচএম গোলাম রেজা নির্বাচনী কাজে গাড়ি ভাড়ার টাকা চাওয়ায় মোটরসাইকেল শ্রমিকদের উপর চড়াও হয়ে গালিগালাজসহ উল্টো প্রশাসনকে দিয়ে তলব করানোর অভিযোগ উঠেছে। ২ জানুয়ারী মুন্সীগঞ্জ সদর মোটরসাইকেল পরিবহন মালিক সমবায় সমিতি লিমিটেডের সভাপতি/ সাধারণ সম্পাদকসহ ২০ জন সদস্য উপজেলা নির্বাহী অফিসে হাজিরা দিয়ে সাংবাদিকদের একথা জানান। মুন্সীগঞ্জ সদর মোটরসাইকেল পরিবহন মালিক সমবায় সমিতি লিমিটেডের সভাপতি জহিরুল ইসলাম বলেন, গত ২৮ নভেম্বর ২০২৩ তারিখে জাতীয়তাবাদী আন্দোলন-বিএনএমের নঙ্গর প্রতিকের প্রার্থী এইচ,এম গোলাম রেজার ভাতিজা গ্যারেজ এলাকার আনছার আলীর ছেলে বাপ্পি আমাকে ৫০ টা মোটরসাইকেল পাঠাতে বলে। সেই মোতাবেক উপস্থিত ২৯ জন সদস্যকে পাঠিয়ে দেই। তার সাথে চুক্তি মোতাবেক গাড়িভাড়া পিছু ৭শ টাকা দিবেন। সেই হিসাবে ২৯ টি গাড়ি ২০ হাজার ৩শ টাকার মধ্যে ৭ হাজার ৫শ টাকা প্রদান করেন। বাকি ১২ হাজার ৮শ টাকা না দিয়ে বিভিন্ন তালবাহানা করে আসছিলো। গত ১ জানুয়ারী ২০২৪ তারিখ বিকাল ৫ টায় গোলাম রেজার ভাতিজা বাপ্পিকে মুন্সীগঞ্জে বাজারে দেখে তার কাছে মোটরসাইকেল শ্রমিকের সদস্যরা টাকা চাইলে তর্ক বির্তকের এক পর্যায়ে বাপ্পি বিভিন্ন ভাষায় গালিগালাজ করাসহ গোলাম রেজার কাছে ফোন দেন। পরে গোলাম রেজা উপস্থিত হয়ে অকথ্য ভাষায় গালিগালাজসহ উপজেলা নির্বাহী অফিসারকে অবগত করে স্থান ত্যাগ করেন। পরে সহকারী নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট এ্যাসিল্যান্ড ভূমি ও অফিসার ইনচার্জ আবুল কালাম আজাদ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন এবং উভয়কে উপজেলা নির্বাহী কার্যালয়ে হাজির হতে বলেন। মুন্সীগঞ্জ সদর মোটরসাইকেল পরিবহন মালিক সমবায় সমিতি লিমিটেডের সভাপতি/ সাধারণ সম্পাদক সহ ২০ জন সদস্য হাজির হলেও হাজির হননি গোলাম রেজা ও তার ভাতিজা ৷
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা নাজিবুল আলম রাতুল বলেন, নির্বাচন কমিশনারের কাজ নির্বাচন সম্পর্কে ছাড়া কোন লেনদেনের মধ্যে নেই বলে সাফ জানিয়ে দেন। পরে মুন্সীগঞ্জ সদর মোটরসাইকেল পরিবহন মালিক সমবায় সমিতি লিমিটেডের সভাপতি জহিরুল ইসলাম বিষয়টি নিয়ে জ্ঞাতসারে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা, উপজেলা নির্বাচন কমিশনার ও শ্যামনগর থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দ্বায়ের করেছেন।