নিজস্ব প্রতিবেদক: সদর উপজেলার ধুলিহরে দিনে দুপুরে মাঠে ঘাস খাওয়ার সময় চুরির উদ্দেশ্যে ছাগল জবাই করে ৩ খণ্ড করে বস্তা বন্দী করার সময় ছাগল মালিক দেখতে পাওয়ায় তাকে ছুরি দিয়ে হত্যা চেষ্টার ঘটনা ঘটেছে।
এ ঘটনায় পরিবারের লোকজন অবস্থা বেগতিক দেখে চিহ্নিত মাদকসেবী ও চোর হাসানুরকে পুলিশে সোপর্দ করেছে।
জানা যায়, ধুলিহর ইউনিয়ন পরিষদ সংলগ্ন মাদ্রাসা ও এতিমখানা করার উদ্দেশ্যে সাবেক সাতক্ষীরা জেলা পরিষদের কর্মকর্তা এস,এম, মাহবুবুর রহমান কিছু জায়গা পাকা প্রাচীর দিয়ে সীমানা করে দীর্ঘ দিন ফেলে রেখেছে। আর এই সীমানার মধ্যে ঘাস ও অন্যান্য লতাপাতা থাকায় সানাপাড়া গ্রামের মৃত বরকত উল্লাহর পুত্র মোঃ আব্দুল খালেক তার পোষা ৮টি বড় আকৃতির ছাগল ও অন্যান্যদের মিলে বেশ কয়েকটি ছাগল ঘাস খাওয়ানোর জন্য ছেড়ে দিয়ে রাখে। শুক্রবার (২ জুলাই) প্রচণ্ড বৃষ্টির মধ্যে জুম্মার নামাজের সময় সকলে যখন মসজিদে নামাজ পড়ায় ব্যস্ত ছিল সেই সুযোগে একই গ্রামের মমিনুর রহমানের পুত্র একাধিক চুরি, ছিনতাই, মাদক সেবনসহ বিভিন্ন অপকর্মের হোতা হাসানুর রহমান (২৫) ঐ প্রাচীরের মধ্যে ঢুকে চরানো ছাগল থেকে আনুমানিক ১৮ হাজার টাকা মুল্যের ১টি খাসি ছাগল চুরির করার উদ্দেশ্যে জবাই করে কয়েকটি খণ্ড করে। এ সময় ছাগলের মালিক আঃ খালেক বৃষ্টিতে ছাগলগুলো কষ্ট পাচ্ছে ভেবে ঐ প্রাচীরের মধ্যে ঢুকে দেখে হাসানুর জবাই করা ছাগলের খণ্ডগুলো বস্তা বন্দী করছে। ঘটনাটি দেখে সে চিৎকার দিলে হাসানুর ছাগল মালিককে হত্যা করার জন্য তার হাতে থাকা ছাগল কাটা ছুরি পেটে মারার চেষ্টা করে। এ সময় তার চিৎকারে পুত্র অলিউর রহমান ছুটে এলে হাসানুর পালিয়ে যায়। দিনে দুপুরে হাসানুরের কাণ্ড দেখে এলাকার সর্বত্র জনগণ অবাক। সকলের মুখে একই কথা, যে ব্যক্তি দিনে দুপুরে ছাগল কাটতে পারে। সেতো মানুষ খুন করতে পারে। দিন দিন তার অপকর্মের মাত্রা বেড়েই চলেছে। তার অপরাধের মাত্রা এতটাই বেড়ে গেছে যে, স্থানীয়রা তাকে হাতে নাতে শাস্তি দেওয়ার জন্য বাঁশের লাঠি নিয়ে এলাকার অলিতে, গলিতে খুঁজে বেড়ায়।
এ ব্যাপারে ইউপি চেয়ারম্যান মিজানুর রহমান বাবু জানান, হাসানুরকে ধরিয়ে দিতে পুরষ্কার ঘোষনা করায় তার পরিবারের লোকজনই তাকে পুলিশে দিয়েছে। তার বিরুদ্ধে একাধিক অভিযোগ আছে।
এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত সাতক্ষীরা সদর থানায় মামলা দায়েরের প্রস্তুতি চলছিল।