
সচ্চিদানন্দদেসদয়
জুতা পালিশ ও মেরামত করে খুব দুঃখ কষ্টে দিন চলে ঋষি সম্প্রদায়ের লোকদের। সকাল থেকে সারা দিন জুতা পালিশ ও মেরামত করে বিভিন্ন লোকদের পোশাকের যে ভাবে সৌন্দর্যের রুপ দেন, ঠিক তেমনি ভাবে সামান্য আয় রোজগারের পয়সায় তাদের সংসার ভাল ভাবে পরিচালিত হয় না। রোদে পুড়ে বৃষ্টিতে ভিজে সারাক্ষন ধুলো বালি গায়ে মেখে তারা জীবিকা নির্বাহ করে। আশাশুনি উপজেলার বুধহাটা গ্রামের২৫/৩০ ঘর বসবাস করেন। এর মধ্যে লক্ষন দাস, নন্দ দাস, ব্ষ্ণিুদাস, মন্টু দাস, পলাশ দাশ বুধহাটা ভ্যান গ্যারেজের দোকানের সামনে বসে জুতা পালিশ ও মেরামত করে। কাজ ভেদে ১০ টাকা, ১৫ টাকা ও ২০ টাকা করে এক এক জনের কাছ থেকে নিয়ে সারা দিন ২ শত থেকে ৩ শত টাকা রোজগার করে। তাদেরই একজন মন্টু দাস। কাজ করেন জুতা সেলাই ও পালিশের। নিজস্ব কোনো জায়গা নেই বসার। রাস্তায় ঘুরে ঘুরে ও লোকের দোকানের সামনে বসে জুতা সেলাই ও পালিশ করা তার কাজ। কোভিড ভাইরাসের কারনে রাস্তায় মানুষের চলাচল না থাকায় তার রোজগার প্রায় বন্ধ হয়ে গেছে। এতে করে স্ত্রী, ছেলে, মেয়ে নিয়ে তার সংসার চালানো কঠিন হয়ে পড়েছে। পলাশ দাস বলেন সাধারণ ছুটি ঘোষণার পর বাজার ঘটে লোকজন কম আসছে। নন্দ দাস বয়স প্রায়(৫২)তিনি বলেন বাজারে লোক না থাকায় সকাল থেকে দুপুর অব্দি রোজগার মাত্র ৩০ টাকা। এই দুপুরেও কিছুক্ষণ পর পর আকাশের দিকে তাকাচ্ছেন আর ভাবছেন সামনের দিনগুলো কেমন যাবে। শুনেছেন সরকার সাহায্য দিচ্ছে, কিন্তু তিনি পাইনি। লক্ষন দাস বলেন, গত কয়েক দিন ধরে ৩০/৪০ টাকা আয় হচ্ছে তার। রবিবার সকাল ৭টায় বাসা থেকে বের হয়েছেন। দুপুর ১২ টা পর্যন্ত তার আয় হয়েছে মাত্র ৫০ টাকা। এ টাকা দিয়ে চাল কিনবেন, না ডাল কিনবেন তা বুঝতে পারছেন না। লক্ষন বলেন, কেউ আমাকে কোনো ত্রাণ দেয়নি। চাইলে বলে তুমি তো কাজ করো। কিন্তু কীভাবে বোঝাব যে রাস্তায় মানুষ না থাকলে কাজ করব কোথায়?