
নিজস্ব প্রতিবেদক:
ষড়যন্ত্রের শিকার দেবহাটা উপজেলার যুব উন্নয়ন কর্মকর্তা কামরুল ইসলাম। গত বুধবার (১০জুন) “দেবহাটায় যুব উন্নয়ন কর্মকর্তার বিরুদ্ধে অর্থ আদায়ের অভিযোগ” এ শিরোনামে কয়েকটি ভুইভোড় অনলাইন নিউজ পোর্টালে সংবাদ প্রকাশিত হয়। সেখানে যুব উন্নয়ন কর্মকর্তা কামরুল ইসলামের বিরুদ্ধে উদ্দেশ্য প্রণোদিতভাবে কুরুচিপূর্ণ তথ্য প্রকাশ করা হয়। সংবাদে অভিযোগ করা হয় ন্যাশনাল সার্ভিসের কর্মীদের সঞ্চয়ী টাকা ছাড় করতে অর্থ আদায় করছে কামরুল ইসলাম। এ অভিযোগের ভিত্তিতে যুব উন্নয়ন অফিসে গেলে সেখানে সাংবাদিকদের লাঞ্ছিত করার অভিযোগও করা হয়েছে কামরুল ইসলামের বিরুদ্ধে।
এবিষয়ে দেবহাটার যুব উন্নয়ন কর্মকর্তা কামরুল ইসলাম সাতনদীকে বলেন, আমি ষড়যন্ত্রের শিকার হয়েছি। অন্যায়ভাবে অর্থ আদায় ও সাংবাদিক লাঞ্ছিত করার যে অভিযোগ আমার বিরুদ্ধে করা হয়েছে তা সম্পূর্ণ মিথ্যা, ভিত্তিহীন ও বানোয়াট। সেদিন (১০ জুন) কতিপয় কথিত সাংবাদিক আমার অফিসে এসে আমাকে মিথ্য দোষারোপ করতে থাকে। আমার বিরুদ্ধে অবৈধ অর্থ আদায়ের অভিযোগে এনে বলে তাদের কাছে রেকর্ড রয়েছে। রেকর্ড দেখতে চাইলে তারা দেখাতে পারেনি। কোনো তথ্য প্রমান না দিয়ে তারা আমাকে মৌখিক দোষারোপ করে যাচ্ছিল। এক পর্যায়ে আমি বললাম, আপনারা এভাবে দোষারোপ না করে আমাদের তালাবন্দি করে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা অথবা উপজেলা চেয়ারম্যনকে খবর দিন, তারাই এসে বিচার করুক। একথা শুনে তারা অফিস থেকে বেরিয়ে যায় এবং পরদিন আমার বিরুদ্ধে মিথ্যা, বানোয়াট ও ভিত্তিহীন সংবাদ প্রকাশ করে।
যুব উন্নয়ন কর্মকর্তা কামরুল ইসলাম আরও বলেন, আমি শ্যামনগর ও কালিগঞ্জে ন্যাশনাল সার্ভিসের কর্মসূচি শেষ করে এখন দেবহাটায় কর্মরত আছি। বিগত দিনগুলোর মতো এখনো নিষ্ঠার সাথে দায়িত্ব পালন করে যাচ্ছি। বানোয়াট সংবাদ প্রকাশের তীব্র নিন্দা জানিয়ে তিনি বলেন, গুটিকয়েক অসাধু সংবাদকর্মীর জন্য গোটা সাংবাদিক সমাজের প্রতি জনসাধারণের নেতিবাচক ধারণা সৃষ্টি হচ্ছে। এ ধরনের কর্মীদের বিরুদ্ধে যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য সাংবাদিক নেতাদের দৃষ্টি আকর্ষন করেছেন তিনি।
এবিষয়ে দেবহাটা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা বলেন, আমি এখনো পর্যন্ত যুব উন্নয়নের বিরুদ্ধে কোনো অনিয়ম দুর্ণীতির অভিযোগ পাইনি।
উপজেলা চেয়ারম্যান আ: গণির কাছে এ বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, আমি অসুস্থতার কারণে অফিসে যেতে পারিনি। যুব উন্নয়ন কর্মকর্তার বিরুদ্ধে সংবাদ প্রকাশের ব্যাপারে আমি অবগত নই।