
স্টাফ রিপোর্টার, দেবহাটা:
দেবহাটা উপজেলার ইছামতি নদীর ভাতশালার বেড়ীবাঁধটি কয়েক মাস যাবৎ অল্প অল্প করে ভেঙে একটি জায়গায় বেড়ীবাঁেধর এক তৃতীংশ ভেঙে নদীতে বিলিন হয়ে গেছে, পানির ঢেউ এর কারনে বালির বস্তা ধসে পড়ে সেখানকার বেড়ী বাঁধ প্রায় ভাঙনের পথে। যে কোনো মূহুত্বে বেড়ীবাঁধ ভেঙে এলাকা প্লাবিত হওয়ার আশঙ্খা রয়েছে। অভিযোগের ভিত্তিতে সরজমিনে যেয়ে দেখা যায়, উক্ত ভাঙন স্থানে নদীর বেড়ীবাঁধ ভেঙে যে কোনো মূহুত্বে¡ এলাকার মধ্যে পানি ঢুকে হাজার হাজার বিঘা জমির ফসল ও মৎস ঘের ভেসে যাওয়া সহ শত শত পরিবার পানি বন্দি হওয়ার সম্ভবনা রয়েছে।
বর্তমানে উক্ত এলাকার মানুষ আতঙ্কে আছে। ভাঙনের নিকটবর্তী স্থানে কিছু সরকারি বালির বস্তা থাকার সত্বেও সেগুলো ব্যবহার করছে না উক্ত কাজের দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তরা। এলাকাবাসী জানায়, ভাতশালা, উত্তর কোমরপুর সহ কয়েকটি জায়গায় বেড়ীবাঁধ ভাঙন দেখা দিছে। এমতাবস্তায় অতি দ্রæত সংস্কার করলে অল্প খরচে মেরামত করা যাবে।
বেড়ীবাঁধ একবার ভেঙে গেলে পানির ¯্রােতে বিস্তীর্ণ এলাকা জুড়ে ভাঙনের সৃষ্টি হবে। তখন এটি সংস্কার করতে সরকারের বিপুল পরিমান অর্থ ব্যয় হবে । এলাকাবাসী জানান, যেখানে সরকার প্রতি বছর বেড়ী বাঁধ সংস্কারে কোটি কোটি টাকা খরচ করছে অথচ সেখানে অল্প কিছু বালির বস্তা স্থাপন করলে ভাঙনটি রোধ করা সম্ভব হতো। কিন্তু সেখানকার দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তাদের কোনো মাথা ব্যাথা নেই। এলাকাবাসী আরোও জানান, কয়েকমাস আগে ভেড়ীবাধের ভাঙন প্রতিরোধের জন্য সরকারি ভাবে বালুর বস্তা স্থাপন করার কথা থাকলেও সঠিক তদারকির অভাবে কোনো ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি।
আগত কালবৈশাখীতে বেড়ী বাঁধের কি অবস্থা হবে সেটা একমাত্র সৃষ্টিকর্তাই জানেন। বড় ধরনের ক্ষতির আশঙ্খার জন্য কে দায়ী থাকবে? এব্যাপারে দেবহাটা উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ও উপজেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি আলহাজ¦ মুজিবর রহমানের কাছে বিষয়টি জানতে চাইলে তিনি বলেন, আমি বিষয়টি সম্পর্কে অবগত হয়েছি যাতে অতি দ্রæত ভেড়ীবাঁধ নির্মান করা যায় সেব্যাপারে ব্যবস্থা নিব। দেবহাটা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা এবিএম খালিদ হোসেন সিদ্দীকীর কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, বিষয়টি আমি সরজমিনে যেয়ে তদন্ত মূলক ব্যবস্থা গ্রহন করবো।
এব্যাপারে এলাকাবাসী জানান বেড়ীবাঁধ ভাঙনের মূল কারন বালি উত্তোলন ও পানির ¯্রােত । বালি উত্তোলনের সময় বড় বড় ট্রলার বেড়ীর পাশে এসে বালি উত্তোলন করে, বালি উত্তোলনকারী পাইপ ট্রলার থেকে বেড়ী কেটে পাইপটি বেড়ীর বিপরীত দিকে ফেলার কারন হতে পারে। এব্যাপারে দেবহাটার দায়িত্বরত এস ও সাইদুর রহমানের কাছে বিষয়টি জানতে চাইলে তিনি বলেন, আমি বিষয়টি সম্পর্কে অবগত আছি, কিন্তু উপর মহল নির্দেশনা না দিলে কিভাবে আমি কাজটি সংস্কার করবো।
তবে আমি উপরমহলের কর্মকর্তাদের জানিয়েছি নির্দেশ পেলে অতি দ্রæত সংস্কার করা সম্ভব হবে। সাতক্ষীরা জেলা পরিষদের সদস্য আল ফেরদাউস আলফার কাছে জানতে চাইলে তিনি জানান, পানি উন্নয়ন বোর্ডকে আমি অবগত করেছি তবে বেড়ীবাঁধ ভেঙে প্লাবিত না হওয়া পর্যন্ত ওদের কাজে গা লাগে না। দেবহাটা সদর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান আব্দুল মতিন বকুল বলেন, আমি বিষয়টি জানতে পেরে আমি পানি উন্নয়ন বোর্ডের কর্মকর্তাদের আগেও বলেছি, আজও বলবো।
এব্যাপারে পারুলিয়া ইউনিয়নের চেয়ারম্যান গোলাম ফারুক বাবুর কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, এব্যাপারে আমি শুনেছি তবে বিষটি আমি দেখার জন্য উর্দ্ধতম কর্মকর্তাদের সাথে কথা বলবো। এব্যাপারে এলাকাবাসী যাতে অতিদ্রæত বেড়ীবাঁধটি সংস্কারের জন্য উর্দ্ধতম কর্তৃপক্ষের হস্তক্ষেপ কামনা করেন।