
প্রধান প্রতিবেদক : সাতক্ষীরাকে ক্লিন সাতক্ষীরা গ্রিন সাতক্ষীরা ঘোষনা করেছেন জেলা প্রশাসক। ইতোমধ্যে জেলা সদরসহ উপজেলা পর্যায়ের সড়কের দুই পাশ, নদ-নদী দখল করে গড়ে উঠা অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ করেছেন সাতক্ষীরা জেলা প্রশাসক (ডিসি) এস.এম মোস্তফা কামাল।
সাতক্ষীরা সদর হাসপাতালের সামনে সড়কের দুই পাশে সরকারি জায়গা দখল করে গড়ে উঠেছিল অর্ধশতাধিক দোকানপাট। জেলা প্রশাসক নিজেই অভিযান চালিয়ে এসব অবৈধ দখলদারদের উচ্ছেদ করেন। এদিকে, হাসপাতালের পরিবেশ সুন্দর ও পরিচ্ছন্ন রাখতে সরকারি এ জায়গায় পাতা বাহারি গাছ লাগিয়ে দিয়েছেন সাতক্ষীরা সিভিল সার্জন ডা. শেখ আবু শাহিন।
সাতক্ষীরা সিভিল সার্জন ডা. শেখ আবু শাহিন জানান, ইতোমধ্যে সদর হাসপাতালের দখল হয়ে যাওয়াগুলো জেলা প্রশাসন দখলমুক্ত করেছে। এসব জায়গায় নতুন করে কাউকে স্থায়ী বা অস্থায়ী কোন স্থাপনাই নির্মাণ করতে দেওয়া হবে না। আমরা হাসপাতালকে পরিচ্ছন্ন ও পরিবেশ ঠিক রাখতে দখলমুক্ত করা জায়গায় বেড়া দিয়ে গাছ লাগিয়ে দিয়েছি।
তিনি আরও বলেন, সরকারি জায়গায় একটা যাত্রী ছাউনি রয়েছে জনগণের সুবিধার্থে এটা আমরা ছাড় দেবো। তবে এর বাইরে হাসপাতালের সামনের সরকারি জায়গার সবটুকুতেই ফুলের বাগানসহ পাতা বাহারি গাছের বাগান করা হবে। এছাড়া হাসপাতালের ভিতরেও সেসব খালি জায়গা পড়ে রয়েছে সেখানেও বাগান করার জন্য প্রস্তুতি নিচ্ছি। ইতোমধ্যে হাসপাতালের মধ্যে কিছু অংশ পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন করে ফুল বাগান করেছি। এছাড়া হাসপাতালকে পরিচ্ছন্ন রাখতে বর্জ্য ব্যবস্থাপনার জন্য একটা জায়গা নির্ধারণ করা হয়েছে। হাসপাতালের ভিতর ও বাহির থাকবে পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন।
এদিকে, সদর হাসপাতালের সামনে সরকারি জায়গায় দীর্ঘদিন অবৈধ দখলে এক দোকানদার (নাম প্রকাশ না করার শর্তে) বলেন, আমরা গরীব মানুষ। এখানে থেকে উপার্জিত টাকা দিয়েই সংসার চলতো। প্রশাসন উচ্ছেদ করেছে। সরকারি জায়গায় ছিলাম উচ্ছেদ করে দিয়েছে এখন কিছু বলার নেই। অন্য কোন পেশায় গিয়ে রোজগার করে এখন সংসার চালাতে হবে।
জেলা প্রশাসক এস.এম মোস্তফা কামাল বলেন, সাতক্ষীরা জেলাকে ক্লিন সাতক্ষীরা গ্রিন সাতক্ষীরা ঘোষনা করা হয়েছে। জেলার কোথাও কোন অবৈধ দখলদারকে থাকতে দেওয়া হবে না। সাতক্ষীরাকে সবুজ ও পরিচ্ছন্ন জেলারুপে গড়ে তোলার লক্ষে কাজ করছে প্রশাসন। ইতোমধ্যে জেলার সকল শ্রেণি পেশার মানুষকে সঙ্গে নিয়ে এ কার্যক্রম বাস্তবায়িত হচ্ছে। সাতক্ষীরা হবে একটি বাসবাস উপযোগী শহর। এটাকে একটি মডেল জেলা হিসেবে গড়ে তোলা হবে।