
নিজস্ব প্রতিবেদক: তালায় জালিয়াতির মাধ্যমে ক্রয়সূত্রে দীর্ঘদিনের ভোগদখলীয় সম্পত্তি অবৈধভাবে দখলের উদ্দেশ্যে একের পর এক মারপিট, মিথ্যা মামলায় জড়িয়ে হয়রানির প্রতিবাদে সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়েছে। বুধবার দুপুরে সাতক্ষীরা প্রেসক্লাবের আব্দুল মোতালেব মিলনায়তনে অনুষ্ঠিত সংবাদ সম্মেলনে এ অভিযোগ করেন, তালা উপজেলার চাঁদপুর গ্রামের মৃত. মোহাম্মদ আলী মোড়লের পুত্র হাবিবুল্লাহ মোড়ল। লিখিত অভিযোগে তিনি বলেন, ০১অক্টোবর ১৯৭৪ সালে একই দাগে আমার পিতা মোহাম্মাদ আলী মোড়ল ও দাদা এরফান আলী মোড়ল ৬২/১৮ দাগে, ৪১ শতক সম্পত্তির মধ্যে ২১ শতক সম্পত্তি দুটি দলিলে ক্রয় করে দীর্ঘদিন শান্তিপূর্ণভাবে ভোগদখল করে আসছি। ইতোমধ্যে আমাদের দাদা এবং পিতা মারা যান। বিশেষ করে পিতার মৃত্যুর পর একই এলাকার মৃত আমিন উদ্দীন শেখের পুত্র আব্দুল আহাদ শেখ একটি জাল দলিল এবং কাগজপত্র সৃষ্টি করে উক্ত সম্পত্তি অবৈধভাবে দখলের চক্রান্ত শুরু করে। এ উদ্দেশ্যে একের পর এক আমার পরিবারের সদস্যদের মারপিট, খুন জখমের চেষ্টা এবং মিথ্যা মামলায় জড়িয়ে হয়রানির চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে। এঘটনায় আদালতে একটি মামলা দায়ের করি। যার নং- ১৮৬/২১। উক্ত মামলায় আদালত স্থায়ী নিষেধাজ্ঞা জারি করেন এবং নোটিশ প্রাপ্তির ২১ দিনের মধ্যে কারণ দর্শানোর নির্দেশ দেন। তারপর আদালতের নিষেধাজ্ঞা উপেক্ষা করে গত ৫ নভেম্বর আব্দুল আহাদ ও তার ভাড়াটিয়া বাহিনীর সদস্য মৃত শামছুর রহমানের পুত্র জলিল, আকিম উদ্দীনের পুত্র মফিজুল বিশ্বাস, মৃত আফাজ উদ্দিনের পুত্র অকিম উদ্দীন বিশ্বাস, নুর উদ্দীণ বিশ্বাস, ইমান আলী শেখের পুত্র মান্নান শেখ, আব্দুল আহাদের পুত্র রিজানুর, মশিয়ার সহ কতিপয় ব্যক্তি হাতে দা কুড়াল নিয়ে আমাদের বাড়িতে প্রবেশ করে হামলা চালিয়ে বাড়িঘর ভাংচুর এবং মারপিট করে। তাদের মারপিটে আমার ভাই হাফিজুল ইসলাম, নজরুল ইসলাম, হাফিজুলের স্ত্রী তাছলিমা খাতুন, আসাদুল ইসলামের স্ত্রী, আমার বোন হাসিনাসহ অনেকেই মারাত্মক জখম প্রাপ্ত হয়। এ সময় আমাদের ডাক চিৎকারে স্থানীয়রা এগিয়ে আসলে হামলাকারীরা চলে যাওয়ার সময় আমাদের খুন জখমসহ মিথ্যা মামলায় জড়িয়ে হয়রানির হুমকি প্রদর্শন করে। এঘটনায় আমরা তালা থানায় একটি এজাহার দায়ের করি। যার মামলা নং- ০৬, তাং- ৬ ডিসেম্বর২০২১। কিন্তু উক্ত মামলায় এখনো পর্যন্ত কোন আসামী গ্রেফতার হয়নি। আব্দুল আহাদ আমাদের সম্পত্তি অবৈধভাবে দখলের উদ্দেশ্যে ইতোপূর্বে একাধিবার ভাড়াটিয়া লোকজন দিয়ে মারপিট করে আমাকেসহ আমার ভাই এবং পরিবারের লোজনদের মারপিট করে গুরুতর আহত করে। গত ৫ নভেম্বর তারা আমাদের মারপিট করে গুরুত আহত করে। অথচ উল্টো মিথ্যা মামলায় আমাদের ফাঁসাতে তালায় হাসপাতালে ভর্তি অসুস্থ্য বা আহত না হয়েও ভর্তি রয়েছে। আমরা অত্যান্ত অসহায় গরিব মানুষ হওয়ায় ওই আব্দুল আহাদের চক্রান্তে দিশেহারা হয়ে পড়েছি। তিনি উক্ত আব্দুল আহাদ গংয়ের কবল থেকে পৈত্রিক সম্পত্তি রক্ষা এবং জীবনের নিরাপত্তার দাবিতে সাতক্ষীরা পুলিশ সুপারের হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন।