
নজরুল ইসলাম, তালা থেকে: তালা উপজেলার তালা সদর ইউনিয়ন এর জাতীয় তরুণ পার্টির সাধারণ সম্পাদক রুবেল মোল্ল্যা কিডনি জনিত রোগে বর্তমানে ঢাকা শ্যামলী সিকেডি এন্ড ইউরোলজী হাসপাতালে ইউরোলজী বিশেষজ্ঞ অধ্যাপক ডাঃ কামরুল ইসলাম ও কিডনি ও ইউরোলজী বিশেষজ্ঞ ডাঃ তানভীর রহমান এর তত্ত্বাবধানে চিকিৎসাধীন রয়েছে।
রুবেল মোল্ল্যা (২৬) তালা সদর ইউনিয়নের ৭নং ওয়ার্ডের শিবপুর গ্রামের অসহায় দিনমজুর মোঃ মুজিবর মোল্যার একমাত্র পুত্র। জানা যায় মজিবর মোল্ল্যা নিজেও একজন হার্টের রোগী। এদিকে রুবেল মোল্ল্যার বাড়িতে স্ত্রী সহ ৩ বছরের এক কন্যা সন্তান আছে। ডাক্তার এর বিভিন্ন পরীক্ষার পর রিপোর্ট অনুযায়ী তার দুইটি কিডনী অকেজো এবং লিবারে পানি জমেছে গিয়েছে তার উন্নত চিকিৎসার প্রয়োজন।
তার পরিবারের থেকে জানা যায়, গত ১৪ ই জুলাই বুধবার রুবেল মোল্ল্যার মুখ ফোলা দেখে প্রথমে তালা হাসপাতালের ডাঃ আব্দুল্লাহ আল সোহান এর মাধ্যমে কিডনি ও লেবার পরিক্ষা করা হয়। রিপোর্ট দেখে তিনি বলেন, কিডনি ও লিভারে সমস্যা দেখা যাচ্ছে এবং তিনি ইউরোলজী বিশেষজ্ঞ যেকোন ডাক্তার এর পরামর্শ নিতে বলেন ।
বৃহষ্পতিবার ১৫ ই জুলাই খুলনায় ডাঃ মোঃ কুতুব উদ্দীন মল্লিক কে দেখানো হলে তিনি পরিক্ষা অন্তে গত রবিবার সন্ধ্যায় রিপোর্ট দেখে জানান, রুবেল মোল্ল্যার দুটি কিউনি নষ্ট লিবারে সমস্যা পাওয়া গিয়েছে। দ্রুত তাকে ডায়ালাইসিস করতে হবে এবং কিডনি পরিবর্তন করতে হবে।
রবিবার রাতেই খুলনা আবু নাসের হাসপাতালের সহযোগী অধ্যাপক তালার কৃতি সন্তান ডাঃ হুমায়ুন কবির অপু সাহেব কে বিষয়টি অবহিত করলে তিনি বাংলাদেশের কিউনি বিশেষজ্ঞ অধ্যাপক ডাঃ মোঃ কামরুল ইসলাম সাহেব কে দেখানোর পরামর্শ প্রদান করেন এবং যতদ্রুত সম্ভব। গত সোমবার সাংবাদিক এস এম নজরুল ইসলাম এর একান্ত প্রচেষ্টায় ও তার যাবতীয় অর্থনৈতিক সহযোগীতার মাধ্যমে যশোর বিমানবন্দর থেকে ছেড়ে যাওয়া ৮-২০ মিনিটের ফ্লাইটে তাকে জরুরী ভিত্তিতে রুবেল মোল্ল্যাকে ঢাকায় পাঠানো হয়। এবং ঢাকা শ্যামলী সি,কে,ডি এন্ড ইউরোজলী হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। বর্তমানে তিনি ঐ হাসপাতালের অতিঃরিক্ত ভবনের তৃতীয় তালায় ৩৫ নম্বর বেডে চিকিৎসাধীন রয়েছেন।
এমতাবস্থায় মোঃ রুবেল মোল্ল্যার জীবন বাঁচাতে কিডনি প্রতিস্থাপন ছাড়া সুস্থ্য হওয়ার সম্ভবনা কম। তারপরও তরুন বয়েসের দিক বিবেচনা করে বারবার ডায়ালাইসিস করে দেখবেন কিডনি সচলকরা যায় কিনা অন্যথায় কিডনি পরিবর্তন আবশ্যক। কিন্তু তার পরিবারের অর্থনৈতিক কোন সচ্ছলতা না থাকায় সুষ্ঠু চিকিৎসার ব্যবস্থা করতে ব্যহত হচ্ছে পরিবার। তার চিকিৎসার জন্য ৬-৮ লক্ষ টাকার প্রয়োজন।