
নজরুল ইসলাম, তালা থেকে: ব্যবস্থাপনা কমিটির কোন প্রকার রেজুলেশন কিংবা টেন্ডার ছাড়াই মাদ্রাসার গাছ বিক্রি করে অর্থ আত্মসাতের অভিযোগ উঠেছে তালায় । ঘটনাটি ঘটেছে উপজেলার হাজরাকাটী গ্রামের সাবেক মোহাম্মদীয়া (সঃ) দাখিল এবং বর্তমান হাজরাকাটি দারুল আরকাম এবতেদায়ী মাদ্রাসায়। যত্রতত্র কমিটি তৈরি করে লোকজন বাঁশ এবং গাছ বিক্রির লক্ষাধিক টাকা আত্মসাতের ঘটনায় খলিলনগর ইউনিয়নের ১নং ওয়ার্ড সদস্য আ.স.ম. আব্দুর রব বাদী হয়ে উপজেলা নির্বাহী অফিসার রবাবর একটি অভিযোগ দাখিল করেছেন।
অভিযোগ সূত্রে জানাযায়, উপজেলার খলিলনগর ইউনিয়নের হাজরাকাটি গ্রামে ১৯৭৭ সালে মোহাম্মদীয়া (সঃ) দাখিল মাদ্রাসা প্রতিষ্ঠিত হয়ে দীর্ঘদিন পাঠদান চলার পর বিগত ৮/১০ বছর পূর্বে মাদ্রাসাটির সকল কার্যক্রম বন্ধ হয়ে যায়। পরবর্তীতে ২০১৮ সালে বন্ধ শিক্ষা প্রতিষ্ঠানটিতে হাজরাকাটি দারুল আরকাম এবতেদায়ী মাদ্রাসা ধর্ম বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের ইসলামী ফাউন্ডেশনের মসজিদ ভিত্তিক শিশু ও গণশিক্ষা কার্যক্রম পরিচালিত হয়ে আসছে। যেটি উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা ও উপজেলা নির্বাহী অফিসার কর্তৃক অনুমোদন রয়েছে।
অভিযোগে আরো উল্লেখ করা হয়, বন্ধ শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের নাম মাত্র কয়েকজন শিক্ষক ও সদ্য তৈরি করা এডহক কমিটির নেতৃবৃন্দ ৩/৪ মাস আগে বাঁশ কালেকশন করে ৩০/৪০ হাজার টাকা বিক্রি করে সেই টাকার কোন কাজ মাদ্রাসায় করেনি। এরপর মাদ্রাসার কয়েকটি বড় গাছ বিক্রি করে সেটিও আত্মসাৎ করা হয়েছে। বিষয়টি সুষ্ঠু তদন্তপূর্বক ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য উপজেলা নির্বাহী অফিসারের দপ্তরে লিখিত অভিযোগ করা হয়েছে।
এব্যপারে বর্তমান এডহক কমিটির সভাপতি শেখ তুহিন জানান, বন্ধ শিক্ষা প্রতিষ্ঠান চালু করার চেষ্টা করছি। এখান থেকে যে গাছ বা বাঁশ বিক্রি করা হয়েছে তার টাকা মাদ্রাসার শিক্ষার্থীদের ফরম ফিলাপের জন্য ব্যয় করা হচ্ছে। একটি কুচক্রী মহল মাদ্রাসাটি যেন চালু না হয় তার ষড়যন্ত্র চালিয়ে যাচ্ছে।
সংশ্লিষ্ট ইউপি সদস্য আব্দুর রব জানান, মাদ্রাসাটি প্রায় ৮/ ১০ বছর বন্ধ হয়ে রয়েছে। একই প্রতিষ্ঠানে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ঘোষিত একটি এবতেদায়ী মাদ্রাসা করা হয়েছে, যেটি চলমান রয়েছে। বন্ধ দাখিল মাদ্রাসার নামমাত্র শিক্ষক এবং বিধি বহির্ভূতভাবে গঠন করা এডহক কমিটির নেতারা বাঁশ কালেকশন, গাছ বিক্রি করে টাকা আত্মসাৎ করছে। সে কারণে তিনি উপজেলা নির্বাহী অফিসার বরাবর একটি লিখিত আবেদন করেছেন। এ সময় তিনি বিষয়টি খতিয়ে দেখতে তালা উপজেলা নির্বাহী অফিসার, সাতক্ষীরা জেলা প্রশাসকসহ সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের জরুরী হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন।
এ বিষয়ে খলিলনগর ইউপি চেয়ারম্যান আজিজুর রহমান রাজু জানান, বন্ধ শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের সম্পদ হঠাৎ কেন এভাবে কাটা হবে। সরকারি কিছু বিধি মেনে সেটি কাটা উচিৎ বলে মনে করেন তিনি।
তালা উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোঃ তারিফ-উল-হাসান অভিযোগ পাবার বিষয়টি নিশ্চিত করে জানান, বিষয়টি খতিয়ে দেখে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।