
বিশেষ প্রতিবেদক, তালা: তালা উপজেলায় ১৯৪ টি মন্ডপে শারদীয় দুর্গাপূজার প্রতিমাকে রং তুলির আচঁড়ের শেষ কাজ করতে ব্যস্ত সময় পার করছেন প্রতিমা শিল্পীরা। একই সঙ্গে মন্ডপে চলছে সাজসজ্জার কাজও। উপজেলা পূজা উদযাপন পরিষদ সুত্রে জানা যায়, আগামী ২০ অক্টোবর ষষ্ঠী পূজার মাধ্যমে দূর্গা পূজার আনুষ্ঠানিকতা শুরু হয়ে ২৪ অক্টোবর প্রতিমা বিসর্জনের মধ্যদিয়ে শেষ হবে শারদীয় দুর্গাপূজা। তালা উপজেলার ১৯৪ টি মন্ডপে পাঁচ দিনব্যাপী অনুষ্ঠেয় পূজা শারদীয় দুর্গোৎসব পালন করবেন সনাতন ধর্মাবলম্বীরা। দূর্গা পূজাকে সামনে রেখে যেকোন অপ্রীতিকার ঘটনা এড়াতে প্রতিটি মন্ডপে দুটি করে সিসি ক্যামেরা বসানোর পাশপাশি শক্ত অবস্থান নিয়েছেন তালা ও পাটকেলঘাটা থানা পুলিশের একাধিক চৌকস টিম। পূজা উদযাপন পরিষদের তথ্য সূত্রে, তালা উপজেলার দুটি থানাধীন এলাকায় ১৯৪ টি পূজা মন্ডপে দূর্গা পূজা উদযাপন করা হবে। এর মধ্য পাটকেলঘাটা থানা পাঁচচি ইউনিয়নে রয়েছে ৮৩ টি পূজা মন্ডপ ও তালা থানার ৭ টি ইউনিয়নের রয়েছে ১১১টি পূজা মন্ডপ। সেগুলো হলো ধানদিয়া ইউনিয়নে দূর্গাপুজা হচ্ছে ১৭ টি মন্ডপে, নগরঘাটা ইউনিয়নে ৯ টি, সরুলিয়া ইউনিয়নে ২০টি, কুমিরা ইউনিয়নে ১৫টি, তেঁতুলিয়া ইউনিয়নে ১০টি, তালা সদর ইউনিয়নে ১৮টি, ইসলামকাটি ইউনিয়নে ২১টি, মাগুরা ইউনিয়নে ১১টি,খলিশখালী ইউনিয়নে ২২টি, খেশরা ইউনিয়নে ১৫টি, জালালপুর ইউনিয়নে ১৪টি, খলিলনগর ইউনিয়নে ২২ টি সর্বোমোট ১৯৪ টা পূজা মন্ডপে পূজার আয়োজন চলছে। সরজমিনে তালা উপজেলা বিভিন্ন পূজা মন্ডপ ঘুরে দেখা যায়, সনাতন ধর্মাবলম্বীদের সবচেয়ে বড় ধর্মীয় উৎসব শারদীয় দুর্গাপূজার জন্য ব্যাপক উৎসাহ ও উদ্দীপনা নিয়ে চলছে ব্যাপক প্রস্তুতি। শেষ সময়ে প্রতিমা শিল্পীরা তাদের মনের মাধুরীর সাথেখ তুলির আঁচড়ে সুন্দর করে তুলছেন দূর্গা, গণেশ, কার্তিক ও মহিষাসুরের প্রতিমা। রাত দিন একত্রে চলছে কর্মযজ্ঞ। নির্দিষ্ট সময়ের আগে কাজ শেষ করার আশায় শিল্পী ও কারিগরদের যেন দম ফেলার সুযোগ নেই। প্রতিমা শিল্পী দেবকর পাল জানান, বাবার হাত ধরে এই কাজ শিখেছেন তিনি। তিনি মারা যাওয়ার পর থেকে প্রায় ১৮ বছর ধরে এ পেশায় আছেন। এ বছর তিনি ছয়টি মণ্ডপের প্রতিমা তৈরির কাজ পেয়েছেন। প্রতিটিতে ২০ থেকে ৩০ হাজার টাকা করে পাবেন। আশা করছি সময়ের মধ্য কাজ সমাপ্ত করতে পারবো। পুরোহিত যুধিষ্টীর চক্রবর্তী জানান, বিভিন্ন স্পটে মণ্ডপে শারদীয় দূর্গা পূজা উদযাপনের প্রস্তুতি গ্রহণ করা হচ্ছে। অধিকাংশ মণ্ডপের প্রতিমা তৈরির প্রাথমিক কাজ সমাপ্ত হয়েছে। কিছু কিছু প্রতিমা মৃৎশিল্পের স্বল্পতার কারনে কিছু টা কাজ বাকী আছে।খুব দ্রুত সে গুলোতে প্রতিমা তৈরির শেষ হবে বলে আশা করছি। উপজেলা পূজা উদযাপন পরিষদের সহ- সভাপতি নারায়ন মজুমদার জানান, প্রতি বছরের মতো এবারও সুষ্ঠু, সুন্দর ও শান্তিপূর্ণভাবে শারদীয় উৎসব সম্পন্ন হবে। এর সাথে যেকোন অপ্রীতিকর ঘটনা এড়াতে সিসি ক্যামেরা ও পুলিশ প্রশাসন সজাগ আছেন। তালা উপজেলা জাপার সভাপতি ও উপজেলা চেয়ারম্যান প্রার্থী সাংবাদিক এসএম নজরুল ইসলাম বলেন, সনাতন ধর্মের সবচেয়ে বড় এই ধর্মীয়নুষ্টান দূর্গা উৎসব। এই উৎসবটি সফল ভাবে পালন করতে তালা উপজেলা জাতীয় পার্টির পক্ষ থেকে সাম্প্রদায়িক সম্প্রতি সমুন্নত রাখতে সকলের সার্বিক সহযোগিতা কামনা করা হয়েছে। তালা থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মো: মমিনুল ইসলাম পিপিএম জানান, উপজেলার সমস্ত পূজা মন্ডপে শতভাগ নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে কাজ করে চলেছে। প্রতিটা পূজা মন্ডপে পুলিশ, আনসার, গ্রামপুলিশ সহ একাধিক আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর টহল শুরু করেছে। কোন প্রকার অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটাতে দেওয়া হবে না।