তালা অফিস থেকে নজরুল ইসলাম: তালায় বাংলাদেশ পল্লী উন্নয়ন বোর্ড(বিআরডিবি) এর সার্বিক গ্রাম উন্নয়ন কর্মসূচি আওতায় মাসিক যৌথসভা ও ই-প্রশিক্ষণের ভাতার টাকা আত্মসাতের অভিযোগ নিয়ে সংবাদ প্রকাশ হলেও টনক নড়েনি বিআরডিবি অফিসার নারায়ণ চন্দ্র সরকারের। এমনকি সংশ্লিষ্ট দপ্তরের কর্মকর্তার যেন দেখেও না দেখার ভান ধড়েছেন! বাস্তবতা বলছে, হোক অনিয়ম ও দূর্নীতি না দেখলে ক্ষতি কি? তথ্য বলছে, পুনরায় উপজেলা বিআরডিবি কর্মকর্তা নারায়ণ চন্দ্র সরকারের নির্দেশে সার্বিক গ্রাম উন্নয়ন কর্মসূচি আওতায় ৩য় পর্যায় সমিতিভুক্ত সমবায়ীদের ১ দিনের মাসিক যৌথসভা ও ই-প্রশিক্ষণে ভাতার টাকা আত্মসাতের অভিযোগ উঠেছে। বুধবার (২০ ই নভেম্বর) তালা শিল্পকলা একাডেমির হল রুমে প্রশিক্ষন স্থানে সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায় উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসাবে উপস্থিত ছিলেন, সিভিডিপি-৩য় পর্যায় বিআরডিবি ঢাকার যুগ্ম-পরিচালক ও উপ-প্রকল্প পরিচালক মোহাম্মাদ তৌহিদুল হক। বিশেষ অতিথি হিসাবে উপস্থিত ছিলেন,বিআরডিবি সাতক্ষীরারউপ-পরিচালক আবু আফজাল মুহাম্মাদ সালেহ। অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করে তালা উপজেলা বিআরডিবি কর্মকর্তা নারায়ন চন্দ্র সরকার। উক্ত প্রশিক্ষণ অনুষ্ঠানে সমবায়ীদের উপস্থিতর সংখ্যা ছিলো মাত্র ৪৩ জন। এর পূর্বেও আরো ৫ টা প্রশিক্ষণ হয়েছে যেখানেও এমন কম সংখ্যক সদস্য উপস্থিত ছিলো। অথচ হাজিরা খাতায় ৬০ জনের স্বাক্ষর রয়েছে। তাহলে বাকি অনুপস্থিতির বরাদ্দকৃত অর্থ যাচ্ছে কোথায় ! প্রশ্ন থেকেই যাচ্ছে ? সূত্র বলছে, তালা উপজেলায় বিআরডিবি অফিসের আওতাধীন ২০ টি গ্রাম উন্নয়ন সমিতি রয়েছে। সমিতিভুক্ত ৬০ জন সদস্য নিয়ে ১ দিনের মাসিক যৌথসভা ও ই-প্রশিক্ষণ চলছে। প্রতিটা সমিতি থেকে ৩ জন করে সদস্য প্রশিক্ষণের অংশগ্রহণ করার কথা থাকলেও উপস্থিত সংখ্যা নগন্য। অনুপস্থিত সদস্যের ভাতার টাকা যাচ্ছে বিআরডিবি অফিসের কর্মকর্তা পকেটে। তাছাড়া অনুপস্থিতিদের প্রশিক্ষন স্বাক্ষর ঘরে বিআরডিবির কর্মকর্তা নারায়ন চন্দ্র নির্দেশে কর্মচারীরা নিজেইরাই স্বাক্ষর করে টাকা উত্তোলন করে নেওয়ারও সত্যতা মিলেছে। হাজিরা শিটে ৬০ জনের মোবাইল নাম্বার দেওয়া আছে তাদের মোবাইল নাম্বার যাচাই করলে তাদের না ব্যবহারে হাজির প্রতি ৩ শত টাকা ও খাবার বাবদ ১ শত ৫০ টাকা আতœসাৎতের বিষয়টি উন্মেচন হবে। এবিষয়ে উপজেলা বিআরডিবি কর্মকর্তা নারায়ণ চন্দ্র সরকারের কাছে বিষয়টি জানতে চাইলে তিনি অস্বীকার করে বলেন, যেসকল সমবায়ীরা উপস্থিত থাকে তাদের অর্থ এখান থেকে দেওয়া হয়। আর যাহারা উপস্থিত থাকেন না তাদের বরাদ্দকৃত অর্থ তাদের বাসায় গিয়ে পৌছে দেওয়া হয়।