আন্তর্জাতিক ডেস্ক:
শেষ সময়ে চলছে ‘টাইটান’ উদ্ধারের তোড়জোড়। আটলান্টিক মহাসাগরের গভীরে ঐতিহাসিক টাইটানিক জাহাজের ধ্বংসাবশেষ দেখতে গিয়ে পাঁচ পর্যটকসহ হারিয়ে যাওয়া ডুবোযান বা সাবমারসিবল ‘টাইটান’ এখনও উদ্ধার হয়নি। ডুবোযানটিতে ৯৬ ঘণ্টার জন্য মজুত থাকা অক্সিজেনও প্রায় ফুরিয়ে আসছে। মার্কিন কোস্ট গার্ডের অনুমান অনুযায়ী আর মাত্র ৫ ঘণ্টা টিকে থাকতে পারবেন ‘টাইটানের’ ভেতরে থাকা পর্যটকেরা।
উদ্ধার কর্মীরা বলছেন, ‘আমাদের আশাবাদী থাকতে হবে।’ তবে অভিযানের ক্যাপটেন বলছেন ভিন্ন কথা। তিনি বলেন, ‘সত্যি বলতে আমরা জানি না তারা কোথায়।’
ছোট সাবমেরিনটির উদ্ধারে আগের চেয়ে এখন দ্বিগুণ চেষ্টা চালাচ্ছে ফ্রান্স, কানাডা, যুক্তরাষ্ট্রের নৌ-বাহিনীসহ বিভিন্ন সরকারি-বেসরকারি বিশেষায়িত সংস্থা। বাড়ানো হয়েছে উদ্ধার অভিযানের পৃষ্ঠীয় সীমা ও গভীরতা। জাহাজ ছাড়াও উদ্ধার অভিযানে ব্যবহৃত হচ্ছে সামরিক বিমান ও সাগরের অনেক নিচের বস্তুর অবস্থান নির্ণয়ের প্রযুক্তি ‘সোনোবয়া’।
যাত্রা শুরুর এক ঘণ্টা ৪৫ মিনিট পরই পানির উপরে থাকা মূল জাহাজের সাথে ডুবোযানটির যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে যায়। তারপর থেকেই চলছে উদ্ধার অভিযান। বুধ ও বৃহস্পতিবার সমুদ্রের তলদেশ থেকে শব্দ শনাক্ত হওয়ায় কিছুটা আশার সঞ্চার হয়েছিল। তবে সেই শব্দ ‘টাইটান’ থেকেই এসেছিল কি না সে বিষয়ে নিশ্চিত হতে পারেনি কর্তৃপক্ষ।
পর্যটকবাহী সাবমেরিনে যারা ছিলেন তাদের পরিচয় জানা গেছে। তারা হলেন– ৫৮ বছর বয়সী ব্রিটিশ ধনকুবের হামিস হার্ডিং, ব্রিটিশ-পাকিস্তানি ব্যবসায়ী শাহজাদা দাউদ (৪৮) ও তার ছেলে সুলেমান দাউদ (১৯), ওশেনগেটের প্রধান নির্বাহী ৬১ বছর বয়সী স্টকটন রাস। পরিচালনার দায়িত্বে ছিলেন, ৭৭ বছর বয়সী নৌবাহিনীর অবসরপ্রাপ্ত ডাইভার পল-হেনরি নারগোলেট।
আবহাওয়ার কারণে আটলান্টিকে অভিযানের কাজটি বেশ ঝুঁকিপূর্ণ এবং জটিল বলছেন সাবেক নাসা মহাকাশচারী এবং মার্কিন নৌবাহিনীর অধিনায়ক মার্কিন সিনেটর মার্ক কেলি। সূত্র: বিবিসি, সিএনএন